রমজানের সম্মান রক্ষায় সরকার ব্যর্থ: চরমোনাই পীর
মাহে রমজানের সম্মান রক্ষায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।  শনিবার (২৩ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ১২তম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।  আলোচনায় দলের নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিম, মাদ্রাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন। জিয়াউল করীম বলেন, একদিকে নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের আহাজারি চলছে। মানুষের আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। এ জন্য দেশে আশঙ্কাজনকহারে ভিক্ষাবৃত্তি বাড়ছে। সর্বত্র গরিব ও অসহায় মানুষের আহাজারি চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, রোজাদার মানুষের সম্মানে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম। সবাই সিন্ডিকেট করে রোজাদারদের কষ্ট দেয়।  চরমোনাই পীর দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার হঠাৎ করে কেন কোরআন ও ইফতারের বিরুদ্ধে অবস্থা নিল, তা ভেবে দেখতে হবে। ভিনদেশিদের খুশি করতে দেশের মানুষের ঈমান ও আমলের উপর ছুরি চালাবেন তা হবে না।  তিনি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনার রোজাদারদের পক্ষে, কোরআনের পক্ষে থাকবেন না ভিনদেশি সংস্কৃতির পক্ষে থাকবেন এটা স্পষ্ট হওয়া উচিত। কেননা আমরা দেখছি, স্বরস্বতি পূজায় কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ৭২টি পূজামণ্ডপ করা হয়। আর ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন তিলাওয়াত এবং ইফতারে নিষেধাজ্ঞা করে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে।
২৩ মার্চ, ২০২৪

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে দরকার আল্লাহভীরু নেতৃত্ব : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, রমজান মাসের সম্মানে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়, ব্যতিক্রম বাংলাদেশে। বাংলাদেশে রমজানের প্রতি ন্যূনতম সম্মানবোধ তো নেই-ই, উল্টো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়। রমজান মাসের মূল শিক্ষা হলো- আল্লাহভীতি অর্জন করা। মানুষের জীবনের সকলক্ষেত্রে আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারলে এধরণের মানুষ দ্বারাই কেবল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। শনিবার (১৬ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে বিশেষ তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় চরমোনাই পীর ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় না থাকায় দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে সে কখনো রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে না। ব্যাংক লুটের মতো কাজে সম্পৃক্ত হতে পারে না। কাজ না করেই বিল উত্তোলন করতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহভীরু শাসক প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষ মানুষকে খুন, হত্যা করছে। এমতাবস্থায় রমজানের শিক্ষাগ্রহণ করে আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুফতী রেজাউল করীম বলেন, সরকার দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ না নিলেও ইফতার বন্ধ করতে কাজ করে। অতীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইফতারের বরাদ্দ বাতিল করে দিয়ে রমজানের প্রতি অসম্মান করছে। সরকার বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যাংক, শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে সবকিছু লুট করছে। তিনি বলেন, আমদানিসহ বাজারব্যবস্থাও চলছে সরকারের সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। রমজানে অসহায় মানুষের আহাজারি আল্লাহর আরশ কাপিয়ে তুলছে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক-অভিভাবকরা মানে না : চরমোনাই পীর
শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ এর মাধ্যমে মুসলমান সন্তানদের ইসলামী শিক্ষা ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।  ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুস সবুর।  চরমোনাই পীর বলেন, বর্তমান সরকারের সাথে বাংলাদেশের সিংহভাগ জনগণ নেই। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েছে। শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা না থাকলে আমরা জান দিয়ে তা প্রতিরোধ করব। এই শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ গঠন করা তো দূরের কথা পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস হবে। এতে শান্তি আসবে না। এই শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানে না ও প্রত্যাখ্যান করে।  ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, সরকার রাজনীতি ও ক্ষমতার জন্য ইসলামের কথা বলে। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বসে থাকবে না। সেক্যুলারিজম বিশ্বাস করলে মুসলমান থাকতে পারে না।  দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান কারিকুলাম দেখে মনে হয় তারা মানুষকে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট বানাতে চায়।  বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ইয়াকুব হোসেন বলেন, ২০১৯ পর্যন্ত শিক্ষানীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তা দেইনি। তিনি চরমোনাই পীরের উদ্দেশে বলেন, আজকেই আন্দোলনের খসড়া কর্মসূচি দিন। আমি ৩৭টি শিক্ষা কমিশন পড়েছি কিন্তু আলোর মুখ দেখেছে ২০১০ এ। সাধারণ ও মাদরাসা শিক্ষকদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন ও শক্তিশালী কারিকুলাম কমিটি করে দিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান। আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, ড. আরিফুল ইসলাম, কলামিস্ট মুসা আল হাফিজ, ড. সরোয়ার হোসেন, আসিফ মাহতাব, সাংবাদিক নেতা মুন্সী আবদুল মান্নান, ড. হাফেজ মাবরুক বিল্লাহ, মাহমুদুল হাসান রায়হান, ড. শহীদুল হক, ড. মোস্তফা মনজু, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আবুল কাশেম, এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনে সভাপতি নুরুল বশর আজিজী, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ। উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ বাতিলের দাবিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে ২৫ জানুয়ারি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

আ. লীগ স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন দিয়ে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা আগামী ৭ জানুয়ারি পাতানোর নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো আরও একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।  শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। সবার সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে চরমোনাই পীর বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র জাতির অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ও দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের যথাযথ প্রতিদানের জন্য দোয়া করছি। তিনি বলেন, জাতি এমন এক সময় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে, যখন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ভোটাধিকার চ্যালেঞ্জের মুখে। মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ। অধিকার বঞ্চিত মানুষ অধিকার ফিরে পেতে দিক্বিদিক ছুটোছুটি করছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে মানুষ ভোট দিতে পারছে না দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে।  চরমোনাই পীর বলেন, নিত্যপণ্যের কষাঘাতে মানুষের জীবন জর্জরিত। দেশে যখন জাতীয় সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠছে। বিরোধী দল ও মতের উপর সরকারের খড়গহস্ত প্রসারিত। সংকটের পর পর সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্বাধীনতার মূল অর্জন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার হারিয়ে জাতি এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে। দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে জেলা ও থানায় থানায় পতাকা র‌্যালি কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সংগঠনের সকল শাখায় শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় পতাকা র‌্যালি করার জন্যে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। ঢাকায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বেলা ১২টায় সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যৌথভাবে পতাকা র‌্যালি কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে : চরমোনাই পীর
রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।  বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগপর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দিতেই ইসি জনবিদ্বেষী সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।    চরমোনাই পীর বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে এধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেওয়ার এই চক্রান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মতপ্রকাশের অধিকারকে রুদ্ধ করার এই অশুভ উদ্যোগ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনীতিক সংকটকে আরও ঘণীভূত করবে।  তিনি বলেন, বিরোধীদলবিহীন প্রহসনের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে ডামি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগপর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ার দলবাজ ইসির আবেদন আমলে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা দেশে সংকটকে আরও প্রকট করে তুলবে। মুফতি রেজাউল করিম বলেন, জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে দমিয়ে রাখতে দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের ভয়াবহ দুর্গতির মধ্যে নীলনকশার এই অন্যায় পদক্ষেপকে গণমানুষ ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাচ্ছে। ইতোপূর্বে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনও ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন প্রহসন বা ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোটপ্রদানের মতো আরও একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করছে। জনগণ পরিকল্পিত ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচনকে বর্জন করেছে। ১২ কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দেশের চলমান সংকট থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে পারে। এ জন্য আমরা ৩টি প্রস্তাবনা দিয়েছি। এই প্রস্তাবনা মেনে নিয়ে দ্রুত ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন।  প্রস্তাবনা হলো- ১. বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত একতরফা তপশিল বাতিল করে গ্রেপ্তার বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।  ২. বর্তমান বিতর্কিত পার্লামেন্ট ভেঙে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।  ৩. কার্যকরী সংসদ, রাজনৈতিক সংহতি এবং শতভাগ জনমতের প্রতিফলনের জন্য পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনই অধিকতর উত্তম পদ্ধতি; যা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে তা প্রবর্তন করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিভ্রান্তিকর পাঠ্যপুস্তক বাতিল করতে হবে : চরমোনাই পীর
নতুন শিক্ষাক্রমে চালু হওয়া যেসব বইয়ে ইসলামী চেতনাবিরোধী বিষয় রয়েছে সেগুলো বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।  তিনি বলেন, শিক্ষাক্রমে ভুল, বিভ্রান্তিকর ও ইসলামী চেতনাবিরোধী বিতর্কিত পাঠ্যবই বাতিল করতে হবে। স্কুল-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তকে ভুল ইতিহাস সন্নিবেশিত করে আগামী প্রজন্মকে আত্মপরিচয়ের সংকটে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সাথে ডারউইনের বিতর্কিত মতবাদ পাঠ্যভুক্ত করে মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদার ওপর আঘাত করা হয়েছে। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, আমাদের এই সরল প্রতিবাদকে শিক্ষামন্ত্রী ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, সাহস থাকলে পাঠ্য বই নিয়ে আলেমদের সাথে বসুন, ভুল আছে কিনা জাতি দেখবে। ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বাদ দিয়ে ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করলে ধর্মপ্রাণ জনতা স্বাগতম জানাবে। অন্যথায় পরিণতি সুখকর হবে না। মুফতি রেজাউল করিম বলেন, অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে নতুন করে বই ছাপানোর কাজ করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে হাক্কানি ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এ ধরনের পাঠ্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাই অবিলম্বে আপত্তিকর বই ও সিলেবাস বাতিল করতে হবে।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গুতে মানুষের ক্ষতির দায় এড়াতে পারেন না দুই মেয়র : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ও মানুষের ক্ষতির দায়ভার ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।’  তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবহেলা ও অযোগ্যতা প্রমাণ করে তারা দেশ ও জনগণের চেয়ে কীভাবে আগামীবার পুনরায় ক্ষমতায় যাবে তা নিয়ে ব্যস্ত। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’ রোববার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ও চিকিৎসায় সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চরম অবহেলা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দেশে ২০০০ সালে ডেঙ্গু রোগী প্রথম শনাক্ত হয় ঢাকায়। বর্তমানে তা ৫৯টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৮ সালে আক্রান্ত শতভাগ রোগীই ছিল ঢাকায়। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৫০ ভাগ আক্রান্ত রোগী ঢাকার বাইরের জেলায়। যেভাবে সারা দেশে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’ তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকার দুই সিটির জন্য ১০২ কোটি এবং ২২-২৩ অর্থবছরে ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি।’ আরও পড়ুন : ডেঙ্গু নিয়ে ডব্লিউএইচওর হুঁশিয়ারি পীর সাহেব বলেন, ‘বর্তমান ডেঙ্গু মারাত্মাক আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকার নীরবে সব দেখছে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও সরকার গুরুত্ব দেয়নি, ফলে আজ সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে।’ 
২৩ জুলাই, ২০২৩

দেশে স্বৈরাচার ও মিথ্যাবাদী সরকার ক্ষমতায় আছে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশে জালিম ও স্বৈরাচার সরকার জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে। এই জালিম ও মিথ্যাচারদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, ইসলাম ও ঈমান বাঁচানোর আন্দোলন করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষকে ভোটের ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করতে হয়।  শুক্রবার (২১ জুলাই) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সোশ্যাল গার্ডেন মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, জীবনবাজি রেখে যারা দেশকে স্বাধীন করেছে, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে পানি। দেশে একটি ফ্যাসিবাদ, জালিম ও মিথ্যাবাদী সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভোট চোর, ভোট ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে এলে এরা পালাতে বাধ্য হবে।  তিনি বলেন, আজ মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হয়, এটা কী  স্বাধীনতা? মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মনির হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ খালেকজ্জুামান, আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আইনুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান সরকার প্রমুখ। সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদকে সিনিয়র সহসভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২৩-২০২৫ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই। সম্মেলনে ১১ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম।   জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চুরি হয়েছে। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা আজ স্বাধীনতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় যা ছিল তা আজ নেই।  তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে লড়াইয়ে নামবে বলে আমি আশাবাদী। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমকে অসম্মান করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেদিন যা বলেছেন তা ঘৃণ্য, আমি এই বক্তব্যের জন্য নিন্দা জানিয়েছি।
২১ জুলাই, ২০২৩
X