মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
কাপ্তাই হ্রদের নাব্য সংকটে ৬ উপজেলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে নাব্য সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে লঞ্চ চলাচল। এতে রাঙামাটির ৬ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। কাপ্তাই হ্রদে নৌচলাচলের মাধ্যমে ৬টি উপজেলা বিলাইছড়ি-লংগদু-বরকল-জুরাছড়ি-বাঘাইছড়ি-নানিয়ারচর উপজেলার সব রুটে শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে রাঙামাটি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতি। তবে এই সময় যে উপজেলায় যতটুকু যাওয়া সম্ভব হবে, সে উপজেলায় ততটুকু যাবে যাত্রীবাহী বোট। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় নৌপরিবহনসহ কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে তৈরি হয় নানা সংকট। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনও কমে গেছে। হ্রদের নাব্য ফিরিয়ে আনতে জরুরিভিত্তিতে কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কাপ্তাই হ্রদবেষ্টিত নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইড়ির বিস্তীর্ণ জলাভূমি শুকিয়ে এখন পরিণত হয়েছে মাঠ-প্রান্তরে। হ্রদজুড়ে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর।  রাঙামাটি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দীন জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ায় শনিবার থেকে সব কয়টি উপজেলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্রদের নাব্য কমে যাওয়ায় হ্রদের মূল চ্যানেলগুলো পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না। বৃষ্টি বা উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে চলবার লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদপুর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কেটে যাওয়ার পর চাঁদপুর থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বন্দর ও পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে প্রতিকূল আবহাওয়া অনুকূলে আসায় এবং নদীবন্দরের জন্য কোনো সতর্কতা সংকেত না থাকায় নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনাক্রমে প্রায় ২১ ঘণ্টা পর আজ সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর-ঢাকা এবং চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে পুনরায় নৌযান চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে। এদিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ার খবরে রোববার হরতাল থাকায় শনিবার সকাল থেকেই ঘাটে প্রচুর যাত্রী হয় এবং বিপুলসংখ্যক যাত্রী নিয়ে সকাল ৯টায় এমভি ঈগল-৩ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর থেকে সারাদেশের সঙ্গে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
১৮ নভেম্বর, ২০২৩

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কোনো প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজবাড়ীতে ভোর থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।  প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিকভাবেই নদী পার হয়ে রাজধানীর ঢাকায় গন্তব্যে যাচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন।  এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করছে এবং এ ১৮টি ফেরি দিয়েই যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ফেরি বন্ধের কোনো বার্তা এখনো পাইনি। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিকভাবেই চলছে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল। সকাল থেকেই প্রতিদিনের মতো এ নৌপথে লঞ্চ চলাচল করছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি এর প্রভাবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  এ বিষয়ে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌপথে ১৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। এ ১৬টি লঞ্চ দিয়েই যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবেই লঞ্চ চলাচল করলেও ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে সন্ধ্যার পর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উপকূল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের  সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কেন্দ্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পায়রা সমুদ্রবন্দর ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। তবে বরিশাল নদীবন্দরে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের নদীবন্দরে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে। ভোলার যাত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলাম। এখন বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে নদীবন্দরে এসে দেখি সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আবার মেয়ের বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। আরেক যাত্রী রবিন বলেন, জরুরি কাজের জন্য মেহেন্দিগঞ্জের ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশে নদীবন্দরে এসেছিলাম। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি কোনো লঞ্চ যাবে না। এখন বাধ্য হয়ে সড়কপথে যেতে হবে। এদিকে মিধিলার প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও দমকা বাতাস হচ্ছে। তবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়নি।  বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আ. কুদ্দুস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি পায়রা বন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন।  
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি / ভোলায় সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ভোলায় মাঝারি ধরনের দমকা হাওয়া সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব থেকে রক্ষায় ভোলা জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। ভোলা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবের ক্ষতি থেকে রক্ষায় (বৃহস্পতিবার) থেকে ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরী হাট, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, মির্জাকালু-আলেকজান্ডের, হাকিম উদ্দিন-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, নাজিরপুর-কালাইয়া, ভেলুমিয়া-ধলিয়া রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। মাঠে কাজ করছে প্রায় ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। জারি করা হয়েছে ৭নং বিপদ সংকেত। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ১৩ হাজার ৮৬০ জন ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের ২ হাজার সদস্য রয়েছেন। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কেল্লা। জেলা সদরসহ জেলার ৭ উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপপরিচালক মো. আব্দুর রশিদ জানান, জেলার দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ মানুষ দুর্যোগে ঝুঁকিতে রয়েছে। সকাল থেকেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করছেন। আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৮৩টি পয়েন্টে একটি করে সাংকেতিক পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইকিংসহ বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো ফাহমিদ খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের ৯৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা মাঠে কাজ শুরু করছে। জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লাগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ঝড়ের আগাম বার্তা মানুষের মাঝে প্রচার করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের কাছে ৭৪৩ টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, গো খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা রয়েছে। 
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

সমাবেশকে কেন্দ্র করে বন্ধ খেয়াঘাট, স্বাভাবিক লঞ্চ চলাচল
রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ ঘিরে দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও অভিযোগ উঠেছে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খেয়াঘাট। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সদরঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে লঞ্চ থাকলেও যাত্রী উপস্থিতি কম। যাত্রীর অপেক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলগামী বিভিন্ন রুটের লঞ্চগুলো। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদরঘাট এলাকা সরজমিনে দেখা যায়, ঘাটে লঞ্চ থাকলেও যাত্রী উপস্থিতি কম। যাত্রীর অপেক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলগামী বিভিন্ন রুটের লঞ্চগুলো। ঘাটে অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা গেছে, পারাবত ১২, এমভি টিপু ১৩, ফারহান ৭, মর্নিং সান ৫ লঞ্চগুলো। সদরঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সুন্দরবন ১৫ ও ১৬ বরিশাল থেকে স্বাভাবিক যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে এবং রাতে পারাবত ১২ ও ১৮ স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এদিন পটুয়াখালী ও ঝালকাঠির উদ্দেশে একটি করে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে সকালে সদরঘাটের উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসেনি। শনিবার দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে এখন পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধের কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়নি পরিবহন মালিকরা। তবে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী লঞ্চ চলাচল আগের তুলনায় কমেছে। শুক্রবার সকালে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঢাকা নদী বন্দরে নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চের চাইতে কম সংখ্যক লঞ্চ ভিড়েছে। ভোলা ও বরগুনা রুটের লঞ্চও কম ছিল সদরঘাটে। এর মধ্যে কোনো রুটে একটি ও কোনো কোনো রুটে দুইটি করে লঞ্চ নোঙর করেছে। ঢাকায় দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ কম ভিড়লেও ঢাকা থেকে নিয়মিত হারেই লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। অন্যান্য রুটগুলোতেও ঢাকা থেকে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। সদরঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে যাত্রী কম। সারাদিনই বিভিন্ন রুট থেকে লঞ্চ এসেছে এবং ছেড়ে যাচ্ছে। রাতেও ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাবে।’ শুক্রবার বিকেল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নদী পারাপারকারি খেয়া নৌকা অভিযোগ করেছে স্থানীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বুড়িগঙ্গার এই অংশের দুই পারের যাত্রীরা। সকালের দিকে খেয়া পারাপার অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল থেকেই তা কমতে শুরু করে। সন্ধ্যার আগে তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ের মানুষের নদী পারাপারে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই নদী পার হতে ঘাটে এসে খেয়া বন্ধ দেখে চলে যান। শনিবার সকাল থেকেও খেয়া পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন খেয়া মাঝিরা। মাঝি শরীফ বলছেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে বলেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট ঘাট এলাকার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছে, খেয়া পারাপার বন্ধ থাকার কথা তাদের জানা নেই। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় আধা কিলোমিটার দূরে বাবুবাজার ব্রিজ ব্যবহার করে নদী পার হতে হচ্ছে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। ওয়াইজ ঘাট এলাকার মাঝি কাদের বলেন, ‘সারা দিনই নৌকা চালিয়াছি। বিকেলে ওইপার (কেরানীগঞ্জ অংশ) থেকে নৌকা বন্ধ করেছে স্থানীয় নেতারা।’ সদরঘাট নৌ-থানার ওসি শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘খেয়া পারাপার বন্ধের বিষয়টা জানা নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। আর ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে। আমরা নদীতে টহল দিচ্ছি। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ঘাটে অবস্থান করছে।’ আজ রাত ১১ টা পর্যন্ত সদরঘাট রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে নিয়মিত চলাচলকারী সাভার, ভিক্টর, আজমেরি গ্লোরি ও বিহঙ্গ যাত্রী পরিবহনকারী বাস ছেড়ে যেতে ও আসতে দেখা গেছে।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

বরগুনা-বেতাগী-ঢাকা রুট / লঞ্চ চলাচল বন্ধে বেড়েছে পণ্য পরিবহন ব্যয়
দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনা-বেতাগী-ঢাকা রুটের অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ ও পণ্য পরিবহনে ব্যয় বেড়েছে। এতে বেড়ে গেছে পণ্যের দাম। বেকার হয়ে পড়েছেন লঞ্চ ও ঘাট শ্রমিকরা। ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ঘাট ইজারাদাররা। গত সোমবার বরগুনা নদীবন্দর থেকে ‘রাজহংস-৮’ লঞ্চ রাত ৮টায় বেতাগী লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এ রুটের লঞ্চ চলাচল। সেই থেকে তিন দিন ধরে এ রুটে লঞ্চ চলছে না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, লঞ্চ বন্ধ হওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়েছেন। ফলে বিকল্প মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করে নিয়ে আসায় বাড়তি ব্যয়ের চাপ এখন পড়েছে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে। বেতাগী পৌর শহরের কাপড় ব্যবসায়ী হারুন-অর-রশীদ বলেন, লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প পথে মাল পরিবহনে ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে বেশি দামে পণ্য বিক্রয়ে বাধ্য হচ্ছি। ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচলরত এম কে শিপিং লাইন্স কোম্পানির বরগুনা ঘাটের ম্যানেজার এনায়েত হোসেন বলেন, আগে এই পথে চলাচলকারী একেকটি লঞ্চে বরগুনা নদীবন্দর ঘাট থেকেই প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী হতো। বর্তমানে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ২০০-৩০০ যাত্রী হচ্ছে। যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। বেতাগী লঞ্চঘাট শ্রমিক মো. সাহারুল হাওলাদার বলেন, আমার মতো অনেকেই বেকার হয়ে গেছে। আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। বেতাগী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, এই পথের লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। প্রাচীন এই নৌপথ বন্ধ হয়ে যাওযায় ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। গতকাল বুধবার সরেজমিন বেতাগী লঞ্চ স্টেশনে গেলে দেখা যায়, যে সময়টায় সেখানে যাত্রীরা ভিড় করতেন, সেই সময়টায় যেন জনশূন্য ও খাঁ খাঁ করছে। পরিণত হয়েছে যেন বিরাণভূমিতে। বরগুনা-বেতাগী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী একাধিক যাত্রী বলেন, লঞ্চে চলাচলের মতো সুবিধা দেশের আর কোনো বাহনে নেই। এতে যাতায়াত খুবই আরামদায়ক ছিল। বন্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি, বরগুনা-বেতাগী-ঢাকা রুটের স্বাভাবিক ও সবসময় যেন আগের মতো লঞ্চ চলাচল করে। বরগুনা জেলা যাত্রীকল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, বরগুনা জেলার ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে লঞ্চ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু কম ভাড়াই নয়, লঞ্চ ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দদায়ক। এভাবে লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় আমরা ব্যথিত হয়েছি। এম কে শিপিং লাইন্স কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মাসুম খান বলেন, আমরা ঢাকা-বরগুনা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি ট্রিপে দেড় থেকে ২ লাখ টাকার লোকসান হয়। গত মাসে ৩৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এত লোকসান দিয়ে আর লঞ্চ চলাচল করাতে পারছি না। জ্বালানির দাম কিছুটা কমলে হয়তো পুষিয়ে থাকতে পারতাম। বরগুনা নদীবন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, আমাদের না জানিয়েই হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করার পর আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
২৪ আগস্ট, ২০২৩

বরগুনা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
যাত্রী সংকটের কারণে ঢাকা-বরগুনা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে লঞ্চ চলাচল। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচলরত এম কে শিপিং লাইন্সের বরগুনা ঘাটের ম্যানেজার মো. এনায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরগুনা থেকে সড়কপথে মাত্র ছয় ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছানো যায়। কিন্তু লঞ্চে সময় লাগে বেশি। এ কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই আমরা যাত্রী সংকটে ভুগছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় দিনের পর দিন আমরা লোকসান গুনেছি। কিন্তু এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই নিরুপায় হয়ে লাগাতার লোকসান এড়ানোর জন্যই কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় এ রুটে চলাচলরত যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়বে বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়া লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করার পাশাপাশি কম ভাড়ায় পণ্য পরিবহন করা হতো। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন বিকল্প মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করতে হবে ব্যবসায়ীদের। এতে বহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বরগুনা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আল-আমিন তালুকদার বলেন, আমি বাসে যাতায়াত করতে পারি না। বাসে যাতায়াত করলে অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করি। আমার মতো এরকম অসংখ্য যাত্রী রয়েছেন যারা বাসে যাতায়াত করতে পারে না। সেসব যাত্রীর ভোগান্তি কয়েকগুণে বৃদ্ধি পাবে লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে। এছাড়াও অনেক অসুস্থ রোগী আছেন যাদেরকে বরগুনা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যেতে হয়। বাসে যেতে পারেন না বলে তাদেরকে লঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইসব রোগীও ভোগান্তিতে পড়বেন। বরগুনা জেলা যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, বরগুনার ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে লঞ্চ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু কম ভাড়াই নয়, লঞ্চ ভ্রমণ একটি আনন্দদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণও। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় আমরা ব্যথিত হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসব।   এ বিষয়ে বরগুনা বাজারের ব্যবসায়ী মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, ঢাকা থেকে আমরা নিয়মিত লঞ্চে পণ্য পরিবহন করে থাকি। লঞ্চে পণ্য পরিবহন যেমন নিরাপদ ঠিক তেমনি ভাড়াও কম। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের বিকল্প পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন করতে হবে। এতে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। তাই পণ্যের দামও বেড়ে যাবে।
২২ আগস্ট, ২০২৩
X