বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

ভোলায় সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

ভোলায় সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। ছবি : সংগৃহীত
ভোলায় সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। ছবি : সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ভোলায় মাঝারি ধরনের দমকা হাওয়া সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব থেকে রক্ষায় ভোলা জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

ভোলা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবের ক্ষতি থেকে রক্ষায় (বৃহস্পতিবার) থেকে ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরী হাট, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, মির্জাকালু-আলেকজান্ডের, হাকিম উদ্দিন-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, নাজিরপুর-কালাইয়া, ভেলুমিয়া-ধলিয়া রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। মাঠে কাজ করছে প্রায় ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। জারি করা হয়েছে ৭নং বিপদ সংকেত।

স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ১৩ হাজার ৮৬০ জন ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের ২ হাজার সদস্য রয়েছেন। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কেল্লা। জেলা সদরসহ জেলার ৭ উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম।

জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপপরিচালক মো. আব্দুর রশিদ জানান, জেলার দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ মানুষ দুর্যোগে ঝুঁকিতে রয়েছে। সকাল থেকেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করছেন। আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৮৩টি পয়েন্টে একটি করে সাংকেতিক পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইকিংসহ বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা।

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো ফাহমিদ খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের ৯৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা মাঠে কাজ শুরু করছে।

জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লাগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ঝড়ের আগাম বার্তা মানুষের মাঝে প্রচার করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের কাছে ৭৪৩ টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, গো খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

১০

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

১১

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

১২

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

১৩

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

১৪

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

১৫

টিটিইসহ ৫ জন আসামি / তিন মাসেও শেষ হয়নি ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার তদন্ত

১৬

স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

১৭

রওনা দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, পাল্টা প্রস্তুতি ভেনেজুয়েলার

১৮

দেশে হবে আরও ৫১৬ কমিউনিটি ক্লিনিক

১৯

ফেসবুকে আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছু বললেই পাবেন না ভিসা

২০
X