প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিবে ঢাবি শিক্ষক সমিতি
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ ছাড়া ২৬ মে (রবিবার) একই দাবি নিয়ে একটি মানববন্ধন আয়োজন করবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রোববার (১৯ মে) অনুষ্ঠিত ঢাবি শিক্ষক সমিতির এক সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সোমবার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২৬ মে রবিবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে এবং এই সময়ের মধ্যে প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ বাতিল না হলে ওই মানববন্ধন থেকে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এতে আরও বলা হয়, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে জারিকৃত এসআরও নং ৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এটি প্রত্যাখ্যান করে ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় উপস্থিত শিক্ষকরা এই পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাখ্যানপূর্বক তীব্র প্রতিবাদ করেন। এক মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ বাতিলের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের জরুরি সভায় ৩০ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৭ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ওই কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬১ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করে সর্বজনীন পেনশনে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের পক্ষে মতামত প্রদান করেন।  
৬ ঘণ্টা আগে

তিন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনকালে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ সপ্তাহ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন (এফবিইউটিএ)। রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণার কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গত ২৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ এক সভায় মিলিত হয়। সভায় গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ, বুধবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত (এসআরও নং-৪৭- আইন/২০২৪) পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বিষয়ে শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করার দাবিতে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ১৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। একই দাবিতে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত শিক্ষক সমিতি সাধারণ সভায় মিলিত হয়ে এর প্রতিবাদ করে এবং অবিলম্বে প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের দাবিতে বিবৃতি প্রদান করে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিষয়টি সমাধানে শিক্ষকদের নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্রদত্ত আবেদন সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ফেডারেশনের নেতারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে।  এতে আরও বলা হয়, আলোচনা শেষে বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনকালে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সোমবার থেকে ৫ মে ২০২৪ তারিখ রবিবার পর্যন্ত সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

কুবি কোষাধ্যক্ষের গাড়ি আটকে দিল শিক্ষক সমিতি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর এবার দাবি আদায়ে কোষাধ্যক্ষের গাড়ি আটকে দিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।  প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় প্রধান ফটকে তালা দিয়ে গাড়ি আটকে দেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় কোষাধ্যক্ষকে সঙ্গ দিতে আসেন উপাচার্যপন্থি কয়েকজন শিক্ষক। তখন কোষাধ্যক্ষ গাড়ি থেকে বের হয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে চলমান দাবি নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় আইকিউসির পরিচালক অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম শেখ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহেরকে মারতে যান। সাবেক শিক্ষার্থী ও  চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেন। সাবেক শিক্ষার্থীদের এমন আচরণে প্রক্টরিয়াল বডি নীরব ভূমিকা পালন করলেও সন্ধ্যায় শিক্ষকরা মূল ফটকে চেয়ার নিয়ে বসলে প্রক্টর এসে বাধা দেন। এ সময় একজন নারী শিক্ষকের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় তাকে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, আমরা নির্বাচিত শিক্ষক সমিতি যখন উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই, তিনি গণতান্ত্রিক শিক্ষক সমিতিকে মানেন না বলে জানান। আমরা উপাচার্যের রুমে থাকা অবস্থায় রুমের দরজায় হামলা হলেও কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়নি প্রক্টরিয়াল বডি। উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক নাকি জামায়াতের। তাহলে আমি উপাচার্যকে প্রশ্ন করি, স্যার সিমাগো র‍্যাঙ্কিংয়ে যে আগালো এটা কি জামায়াতের অবদান? বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবৈধভাবে ইনক্রিমেন্ট নেন উপাচার্য, তিনি তা স্বীকারও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি ভোগের জায়গা বানিয়েছেন। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য আমরা কার্যালয়ের তালা খুলে দেই। পরে আবার কার্যালয়ে তালা দেই। তাকে বলি, স্যার আপনি এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন না। তখন ওনি গাড়ি থেকে নামেন। এরপর আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওনার সঙ্গে কথা বলতে গেলে আইকিউএসির ডিরেক্টর আমার দিকে মারার জন্য তেড়ে আসেন। তিনি বলেন, সন্ধ্যায় যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আমরা শিক্ষকরা অবস্থান নেই তখন প্রক্টর এসে বাধা দেন। একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গেও উচ্চবাচ্য করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে যখন কিছু সাবেক শিক্ষার্থীরা উচ্চবাচ্য করেন তখন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নীরব ভূমিকা পালন করেন।  এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এখন কোনো কথা নাই। ইউ আর ওয়েল এক্সপেরিয়েন্সড অ্যাবাউট ইট। উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মঈনকে ট্রেজারারের গাড়ি আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পদক্ষেপে ওরা সাড়া দেয় না।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল শিক্ষক সমিতি 
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিতে হাইকোর্টের রায়ের বিপরীতে আপিল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি (প্রবিশিস)। এ ব্যাপারে  সব ধরনের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত রয়েছে সংগঠনটি। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম মনজুর মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৮ মার্চ থেকে উদ্ভূত ঘটনাবলিতে, বিশেষ করে রাত্রি দ্বিপ্রহরে একটি ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে অনাহৃত আগমন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি, সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বুয়েট ছাত্রের বহিষ্কার দাবি, উপাচার্য মহোদয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ না করা, টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন, ১ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধে জারিকৃত আদেশ স্থগিতকরণ, শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলন এবং একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতার বিষয়ে বুয়েট শিক্ষক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেইসঙ্গে কিছু পর্যবেক্ষণও সন্নিবেশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো-  প্রথমত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেজিস্ট্রার মহোদয়ের। সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো যাচ্ছে। নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণের আহবান জানাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করার যে রায় গত ১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টে দিয়েছেন তার বিপরীতে আপিল করার বিষয়টিতে প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হবেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। তৃতীয়ত, ২০১৯-পরবর্তী বিগত বছরগুলিতে বুয়েটে শিক্ষা-কার্যক্রম অবাধে চলেছে এবং সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় ছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা ইত্যাদি আমাদের সবার দায়িত্ব। শিক্ষক সমিতি এমন পরিবেশই প্রত্যাশা করে। এমতাবস্থায় বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (২৫ মার্চ) উপাচার্য ঢাকার সেগুনবাগিচা রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেছেন, এক সময় স্থবির হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক সমিতি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই স্থবির ছিল না। বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর থেকে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, প্রশাসনিক কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি, নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্য, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণে বৈষম্য তৈরি, তথ্য গোপন করে ইনক্রিমেন্ট গ্রহণসহ আর্থিক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল ও স্থবির করে রেখেছেন। অতীতের অন্য উপাচার্যরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন। তাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অত্যন্ত গতিশীল ছিল। বিশেষ করে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প এসেছে।  এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ১৬ বছরের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য সাবেক উপাচার্য ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রথম সমাবর্তন সফলভাবে সম্পন্ন করেন। একদিনের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অস্থিরতা ছিল না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষার টাকা থেকে শিক্ষকদের অ্যাওয়ার্ড ও শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাৎ, গবেষণা খাতের বরাদ্দের তহবিল তছরুপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করেছেন। নিয়োগের শর্ত শিথিল করে, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ অগ্রাহ্য করে এবং নিয়োগ বোর্ড সদস্যদের নোট অব ডিসেন্ট উপেক্ষা করে একাধিক বিভাগে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বিভাগগুলো চলছে ধুঁকে ধুঁকে। উপাচার্য দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র সাতজন শিক্ষকের পদ এনেছেন।  একটি কর্মকতা-কর্মচারীর পদও তিনি নতুন করে আনতে পারেননি। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দও আনতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, সবই আগের উপাচার্যের আমলের।  উপাচার্য সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, স্থায়ীকরণ কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে কার্যবিবরণী মনগড়াভাবে তৈরি করেন। সবমিলিয়ে গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নই করতে পারেননি। এমনকি তার সময়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এ দাবিও অমূলক। অতীতেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। প্রতিনিয়ত তিনি আইন, নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। উপাচার্য ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র প্রভাষক পদে চাকরি নিয়ে চলে যান। সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।  দীর্ঘ ১২ বছর একই পদে চাকরি করার পর পুনরায় চাকরি নবায়ন করতে না পেরে ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তির আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কথাটি উল্লেখ করেননি। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপাচার্যের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।  ২০১১ সালে অবসর গ্রহণকালীন সময়ে তার বেতন ছিল ৩৪,০০০/- টাকা। প্রজ্ঞাপন অনুসারে সর্বশেষ বেতন স্কেল ৩৪,০০০/- টাকা অথবা ৫৬,৫০০/- টাকা অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ৬৮,৫৩০/- টাকা বেতন নির্ধারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করছেন এবং পরবর্তীতে দুটি ইনক্রিমেন্ট যুক্ত করে বর্তমানে ৭৪,৪০০/-টাকা বেতন স্কেলে বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করছেন।  যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি, অনৈতিক এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির শামিল হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তিনি অবৈধ বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা আরও বলেন, শিক্ষক সমিতি মনে করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছেন। তার দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। উপাচার্যের এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন: কে হবে সাধারণ সম্পাদক?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২৪ গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনানুষ্ঠানিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের আগেই তিনি গত বৃহস্পতিবার বশেমুরবিপ্রবি থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র। এ অবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডলে। জানা গেছে, শিক্ষক সমিতির নিয়মানুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রথম শর্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক হতে হবে। সেক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে চাকরি থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করলে তার প্রার্থী থাকার সুযোগ নেই। আবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর অব্যাহতি গ্রহণ করলেও রয়েছে বেশকিছু জটিলতা। শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৮(ঝ) নং ধারা অনুযায়ী, ‘নির্বাচনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক অনানুষ্ঠানিকভাবে এবং কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষিত হবে।’  এ ছাড়াও বলা হয়েছে, ‘চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে বিদায়ী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক একটি সাধারণ সভা আহূত হবে যা বার্ষিক সভা নামে অভিহিত হবে। এই সভায় বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বিগত বছরের কার্যক্রমের বিবরণী উপস্থাপন করবেন এবং কোষাধ্যক্ষ পূর্ববর্তী বছরের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষিত হিসাব পেশ করবেন। নবনির্বাচিত সংসদ দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বিদায়ী সংসদ রুটিন কাজ চালিয়ে যাবেন।’ এ ধারা অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির দায়িত্বভার গ্রহণের যে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা তা এখনো ঘটেনি এবং অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই ছাড়পত্র নিয়ে সাদ্দাম হোসেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করায় তিনি আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই নন। ফলে এই ধারা অনুযায়ী, তার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের সুযোগ নেই। অপরদিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একটি কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণের পর সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেও প্রয়োজন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করা। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় প্রসঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষক নেতা বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র এক নয়। তাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বিষয়ে মন্তব্য করাটা কঠিন। আর এ ধরনের বিষয় আগে কোথাও ঘটেছে বলেও জানা নেই। তবে আমরা যদি আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকাই তাহলে কোনো প্রার্থী তার বৈধতা হারালে অপর প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হয় আর প্রতিপক্ষ প্রার্থী একজন হলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। আবার অনেক সময় ফল ঘোষণার পরও বিভিন্ন অভিযোগে ফল স্থগিত করা হয়, বাতিল করা হয় এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক সময় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকেও জয়ী ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতি কি করবে সেটি তাদের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ না থাকলে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ সাদ্দাম হোসেনের ছাড়পত্র গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল কথা হবে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কে দায়িত্ব পালন করবেন এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির লিখিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং রোববারে প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. গোলাম ফেরদৌস। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এ ছাড়া এদিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কে পালন করবেন এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চবিতে আন্দোলন / ভিসির সঙ্গে বসছে না শিক্ষক সমিতি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতিকে মৌখিক ও চিঠি দিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির একাংশের নেতারা এতে সাড়া দেননি। ফলে আইন অনুষদের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করার দাবি আদায়ে সমিতির আগ্রহ প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ স্বাক্ষরিত এক আমন্ত্রণপত্র শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়।  এর আগে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীকে মোবাইল ফোনে কয়েকদফা কল করে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্র উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. আবুল মনসুর কয়েক দফা শিক্ষক সমিতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানান। এ ছাড়া গত ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারের মাধ্যমে কর্মসূচি চলাকালীন সমিতির নেতাদের আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করা হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার কালবেলাকে বলেন, আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কয়েকদফা কল করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর আগে ওনাদের কাছে দুজন সিনিয়র প্রফেসর গেছেন। তারপরও ওনারা আসছেন না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ আমি স্থগিত রেখেছি। দীর্ঘদিন ধরে আইন অনুষদের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে আমি সমাধান করতে চাচ্ছি। সব মিলিয়ে আলোচনায় বসা উচিত।  উপাচার্য বলেন, আন্দোলন করার কিছুই নেই। ২৬ দফা দাবির ২০ দফা আমি অনেক পরিশ্রম করে বাস্তবায়ন করেছি। মাঝেমধ্যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেয়। ট্রেন আটকে দেয়। ভাঙচুর করে বসে। এগুলো তো দীর্ঘদিনের সমস্যা। চাইলেই একদিনে সমাধান সম্ভব নয়। শিক্ষক সমিতির ভাষ্য এসব আমাদের সমাধান করতে হবে। আমার কথা হলো, এসব দাবি সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান করতে হবে। ব্যাপারগুলো রাজনৈতিক। উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষক সমিতির দাবি ছিল নতুন বাস দিতে হবে। আমি কয়েকদিন আগেই কয়েকটি বাস ও মাইক্রোবাস যুক্ত করেছি। শিক্ষকদের পারিতোষিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকার গেস্ট হাউসে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছি। মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে সিনিয়র শিক্ষকদের টেলিফোন বিল প্রদান করেছি। চট্টগ্রামে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য ফ্ল্যাট অথবা ভবন ক্রয়ে কমিটি করে দিয়েছি। শিক্ষক সমিতি বাংলা ও আইন বিভাগের নিয়োগ স্থগিত চেয়ে আন্দোলন শুরু করে। আমি যখন এগুলোও সমাধান করতে গেলাম, তারা পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন শুরু করল। তাদের উদ্দেশ্য যদি দাবি আদায় হয়, তাহলে আলোচনায় বসে সমাধান করতে হবে। আমার দরজা খোলা। আমি যে কোনো সময় আলোচনায় বসে সব দাবি পূরণের মানসিকতা রাখি। এটা অতীতেও আমি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে চলমান এ কর্মসূচিতে ১০-১৫ জন শিক্ষক অংশ নিচ্ছে। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উপাচার্য প্রার্থীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অতীতে বিভিন্ন উপাচার্যের দায়িত্বপালনকালীন সময়ে আন্দোলনরত এ শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  এসব বিষয়ে কথা বলতে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষক সমিতি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার চৌধুরী ও উপ-উপাচার্যের অধ্যাপক বেণু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষক সমিতি। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে কর্মসূচির প্রথম দিন পালন করে শিক্ষক সমিতি। যা চলবে আগামী মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত।  অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল হক বলেন, শিক্ষক সমিতিকে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। চায়ের নিমন্ত্রণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর যোগ্য না। আমরা কখনো এমনটি দেখিনি, আইনকে অমান্য করে আলাদা সিন্ডিকেট গঠন করে প্রশাসনকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে। আমার প্রশ্ন হলো, যারা এই দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক হবে তাদের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, মেরিন সাইন্সেস ও ফিশারিজ ভবন উদ্বোধন নিয়ে নানা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট ইউজিসি চিঠি দেওয়ার পরেও যথাযথ জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও বলেন, ভিসি একদিকে শিক্ষক সমিতিকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ দিচ্ছেন অপর দিকে আমাদের কর্মসূচিকে ভণ্ডুল করারও পাঁয়তারা করছেন। আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কর্মসূচি আছে জেনেও একই স্থানে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এমন বিজয় উল্লাস করতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি কোনো আনন্দ র‍্যালিও করতে পারবে না বলেও নির্দেশনা রয়েছে। অথচ আজ তারা আমাদের অবস্থান কর্মসূচিকে ভূলুণ্ঠিত করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।  সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ভিসি মহোদয় আমাদের চায়ের আমন্ত্রণ জানান। আমরা চা খেতে গেলে আমাদের চায়ে যদি বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় তখন কী হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভিসি বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।  সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, যিনি ‘৭৩-এর এক্ট’-কে মেনে চলেন না তার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কোনো অধিকার নেই।  বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আযম ডালিম বলেন, আমার মনে হয় আপনার (ভিসি) এখন সময় এসেছে; বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলার সুযোগ দেন এবং আপনাকে চেয়ার ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।  শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না এই ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ হয়।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

রাবি শিক্ষক সমিতি ও ডিন সিন্ডিকেট নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের নিরঙ্কুশ জয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের (হলুদ প্যানেল) জয়জয়কার। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ৩৯টি পদের মধ্যে ৩৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা।  অন্যদিকে শুধু ৪টি অনুষদের ডিন নির্বাচিত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সৈয়দ এম এ ছালাম এবং রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক আবদুস সালাম অনানুষ্ঠানিকভাবে এই ফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতিতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৯। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯২৪ জন। ভোট বাতিল হয়েছে ২৯টি। শিক্ষক সমিতি নির্বাচন নির্বাচনে শিক্ষক সমিতির ১৫টি পদের মধ্যে সবকটিতেই নির্বাচিত হয়েছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ (হলুদ প্যানেল) মনোনীত সব প্রার্থী। এতে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। হলুদ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার ৪০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক সাবিরুজ্জামান পেয়েছেন ৩১৯ ভোট। এ ছাড়া হলুদ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম কামরুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ পদে ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক পার্থ বিপ্লব রায় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার নির্বাচিত হয়েছেন। হলুদ প্যানেল থেকে সদস্য পদে ১০ জন নির্বাচিত সদস্য হলেন, ইনস্টিটিউট অব আদার ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের শারমিন আক্তার, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের এ এইচ এম হেদায়েতুল ইসলাম চন্দন, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. আব্দুস সাত্তার, ফার্মেসি বিভাগের ড. আব্দুল কাদের, দর্শন বিভাগের ড. আফরোজা সুলতানা, মনোবিজ্ঞান বিভাগের তানজির আহম্মদ তুষার, ফলিত গণিত বিভাগের ড. আলী আকবর, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা ইতিহাসের ড. এ এইচ এম তাহমিদুর রহমান, এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের ড. মেসবাউস সালেহীন ও গণিত বিভাগের সাজুয়ার রায়হান। ডিন নির্বাচন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে হলুদ এবং সাদা উভয় প্যানেল থেকে ছয়জন করে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। হলুদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডিনরা হচ্ছেন, আইন অনুষদে আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদে নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদে এস এম এক্রাম উল্যাহ, প্রকৌশল অনুষদে বিমল কুমার প্রামাণিক, ভূ-বিজ্ঞান অনুষদে এ এইচ এম সেলিম রেজা। অন্যদিকে সাদা প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডিনরা হচ্ছেন, কলা অনুষদে মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, জীববিজ্ঞান অনুষদে গোলাম মোর্ত্তুজা, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদে খন্দকার মো. মোজাফফর হোসেন ও ফিশারিজ অনুষদে মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া সাদা প্যানেলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দুজন ডিন। তারা হলেন, কৃষি অনুষদে অধ্যাপক আরিফুর রহমান ও চারুকলা অনুষদে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। সিন্ডিকেট নির্বাচন সিন্ডিকেট নির্বাচনে পাঁচটি পদের সবকটিতেই হলুদ প্যানেল জয় পেয়েছে। এতে প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ এ কে এম মাহমুদুল হক, অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে রসায়ন বিভাগের হাসান মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক পদে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের খালিদ বিন ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক পদে ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের রাকিবুল ইসলাম। এছাড়া প্রভাষক পদে কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিজু খন্দকার। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি নির্বাচন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির নির্বাচনে একটি মাত্র পদে হলুদ প্যানেল থেকে মনোনীত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কালাম ফজলুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষা পরিষদ শিক্ষা পরিষদের ছয়টি পদে বিরোধীদলীয় সাদা প্যানেলের কোনো প্রার্থী ও হলুদ প্যানেল থেকে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় হলুদ প্যানেলের মনোনীত ছয়জন শিক্ষক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. মনিরুজ্জামান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মোস্তাফিজুর রহমান, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের ইমতিয়াজ আলম নির্বাচিত হয়েছেন। সহকারী অধ্যাপক ছাড়া ক্যাটাগরিতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুহাম্মদ কামরুল হাসান, বাংলা বিভাগের গৌতম গোস্বামী এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের নাজিয়া আফরিন নির্বাচিত হয়েছেন।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাবি শিক্ষক সমিতি ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার স্থগিতের অনুরোধ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশের শ্রম আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে। তাই বিচারকাজ চলার সময় তার নোবেল পুরস্কার স্থগিত রাখতে নোবেল কমিটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে তিনি এ অনুরোধ জানান। ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে ১৬০ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন দাবি করে এর প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, এরই মধ্যে ড. ইউনূস রাজস্ব মামলায় অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন। যেহেতু আমাদের রাষ্ট্রীয় আইনে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং শ্রম আইনে তার বিচার প্রক্রিয়া চলছে, তাই নোবেল কমিটির কাছে আমাদের অনুরোধ, এ বিষয়ে একটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসের এ পুরস্কার যেন স্থগিত করা হয়। ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কিছু মানুষ যারা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত, তারা যখন কোনো অন্যায় এবং দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেন, তখন মানবতা লজ্জিত হয়। প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত। এ ১৬০ জন, যারা বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত মানুষ। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, যে প্রতিষ্ঠান ১৬০ জনের বিবৃতি প্রচার করেছে, তারা টাকার বিনিময়ে করেছে। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য ড. ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। মানববন্ধনে আরও ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক আবদুস সামাদ, অধ্যাপক আবদুল বাছির, অধ্যাপক জিয়া রহমান, অধ্যাপক হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু প্রমুখ। ২০১ কৃষিবিদের বিবৃতি: ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২০১ বিশিষ্ট কৃষিবিদ। গতকাল গণমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠান কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) দপ্তর সম্পাদক এম এম মিজানুর রহমান। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন কেআইবির সাবেক মহাসচিব ড. মির্জা এ জলিল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এনামুল হক, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সাবেক সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কেআইবির কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কেআইবির কার্যনির্বাহী সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদসহ ২০১ জন।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X