কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কুবি কোষাধ্যক্ষের গাড়ি আটকে দিল শিক্ষক সমিতি

কুবি কোষাধ্যক্ষের গাড়ি আটকে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালবেলা
কুবি কোষাধ্যক্ষের গাড়ি আটকে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর এবার দাবি আদায়ে কোষাধ্যক্ষের গাড়ি আটকে দিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় প্রধান ফটকে তালা দিয়ে গাড়ি আটকে দেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় কোষাধ্যক্ষকে সঙ্গ দিতে আসেন উপাচার্যপন্থি কয়েকজন শিক্ষক। তখন কোষাধ্যক্ষ গাড়ি থেকে বের হয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে চলমান দাবি নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

এ সময় আইকিউসির পরিচালক অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম শেখ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহেরকে মারতে যান। সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেন। সাবেক শিক্ষার্থীদের এমন আচরণে প্রক্টরিয়াল বডি নীরব ভূমিকা পালন করলেও সন্ধ্যায় শিক্ষকরা মূল ফটকে চেয়ার নিয়ে বসলে প্রক্টর এসে বাধা দেন। এ সময় একজন নারী শিক্ষকের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় তাকে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, আমরা নির্বাচিত শিক্ষক সমিতি যখন উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই, তিনি গণতান্ত্রিক শিক্ষক সমিতিকে মানেন না বলে জানান। আমরা উপাচার্যের রুমে থাকা অবস্থায় রুমের দরজায় হামলা হলেও কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়নি প্রক্টরিয়াল বডি। উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক নাকি জামায়াতের। তাহলে আমি উপাচার্যকে প্রশ্ন করি, স্যার সিমাগো র‍্যাঙ্কিংয়ে যে আগালো এটা কি জামায়াতের অবদান? বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবৈধভাবে ইনক্রিমেন্ট নেন উপাচার্য, তিনি তা স্বীকারও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি ভোগের জায়গা বানিয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য আমরা কার্যালয়ের তালা খুলে দেই। পরে আবার কার্যালয়ে তালা দেই। তাকে বলি, স্যার আপনি এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন না। তখন ওনি গাড়ি থেকে নামেন। এরপর আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওনার সঙ্গে কথা বলতে গেলে আইকিউএসির ডিরেক্টর আমার দিকে মারার জন্য তেড়ে আসেন।

তিনি বলেন, সন্ধ্যায় যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আমরা শিক্ষকরা অবস্থান নেই তখন প্রক্টর এসে বাধা দেন। একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গেও উচ্চবাচ্য করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে যখন কিছু সাবেক শিক্ষার্থীরা উচ্চবাচ্য করেন তখন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নীরব ভূমিকা পালন করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এখন কোনো কথা নাই। ইউ আর ওয়েল এক্সপেরিয়েন্সড অ্যাবাউট ইট।

উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মঈনকে ট্রেজারারের গাড়ি আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পদক্ষেপে ওরা সাড়া দেয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী ৩ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?

ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

অর্ধযুগে পা রাখল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব

বগুড়ায় স্বর্ণ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

শিশু অপহরণকারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

চুরি যাওয়া জিনিস প্রধান শিক্ষককে কিনে দিতে বললেন শিক্ষা অফিসার

মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পাইলট অসিম জাওয়াদ

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ৫

তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়বেন স্বামী-স্ত্রী

১০

সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সাবাব

১১

চলাচলের রাস্তায় ঘর নির্মাণ করলেন আ.লীগ নেতা

১২

মা দিবস উপলক্ষে বিএনপি কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত ব্যানার

১৩

সুনামগঞ্জে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান

১৪

জামিন পেলেন সেই ৫ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা

১৫

২০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা

১৬

দুই তরুণীকে নিয়ে পালানো সেই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি

১৭

সিগারেটের বাক্সের লোভে ভাতিজার গলা কাটল চাচা

১৮

১১ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার

১৯

ধানকাটা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

২০
X