চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষক সমিতি

তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালবেলা
তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার চৌধুরী ও উপ-উপাচার্যের অধ্যাপক বেণু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষক সমিতি। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে তারা।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে কর্মসূচির প্রথম দিন পালন করে শিক্ষক সমিতি। যা চলবে আগামী মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল হক বলেন, শিক্ষক সমিতিকে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। চায়ের নিমন্ত্রণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর যোগ্য না। আমরা কখনো এমনটি দেখিনি, আইনকে অমান্য করে আলাদা সিন্ডিকেট গঠন করে প্রশাসনকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে। আমার প্রশ্ন হলো, যারা এই দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক হবে তাদের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, মেরিন সাইন্সেস ও ফিশারিজ ভবন উদ্বোধন নিয়ে নানা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট ইউজিসি চিঠি দেওয়ার পরেও যথাযথ জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, ভিসি একদিকে শিক্ষক সমিতিকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ দিচ্ছেন অপর দিকে আমাদের কর্মসূচিকে ভণ্ডুল করারও পাঁয়তারা করছেন। আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কর্মসূচি আছে জেনেও একই স্থানে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এমন বিজয় উল্লাস করতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি কোনো আনন্দ র‍্যালিও করতে পারবে না বলেও নির্দেশনা রয়েছে। অথচ আজ তারা আমাদের অবস্থান কর্মসূচিকে ভূলুণ্ঠিত করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ভিসি মহোদয় আমাদের চায়ের আমন্ত্রণ জানান। আমরা চা খেতে গেলে আমাদের চায়ে যদি বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় তখন কী হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভিসি বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, যিনি ‘৭৩-এর এক্ট’-কে মেনে চলেন না তার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কোনো অধিকার নেই।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আযম ডালিম বলেন, আমার মনে হয় আপনার (ভিসি) এখন সময় এসেছে; বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলার সুযোগ দেন এবং আপনাকে চেয়ার ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না এই ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনসিপি থেকে বহিষ্কার হয়ে মাহিনের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য

বেরোবিতে তৃতীয় দিনেও অনশন চলছে, গঠনতন্ত্র চূড়ান্তে ইউজিসির সভা বৃহস্পতিবার

মাটির নিচে মিলল পিস্তল-গুলি

জুলাই গণহত্যার আসামির জামিন বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া-আসা করলে কি ৪০ দিনের ইবাদত নষ্ট হয়ে যায়?

হঠাৎ অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর প্রধান

ইসিকে ৪০ লাখ ইউরো সহায়তা দেবে ইইউ

ভারতীয়রা কেন অন্ধভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করে?

আ.লীগ কার্যালয়ে এবার বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাইনবোর্ড

চমক রেখে ভারতের এশিয়া কাপ স্কোয়াড ঘোষণা

১০

স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ

১১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব

১২

ভারতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী : দুই দেশের সম্পর্ক কি স্বাভাবিক হবে?

১৩

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সাক্ষাৎ

১৪

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মালামাল জব্দ

১৫

ডাকসু নির্বাচন / বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর সম্মিলিত প্যানেল ঘোষণা

১৬

‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বার্তা ফাঁসকারী পুলিশ সদস্য রিমান্ডে

১৭

যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা

১৮

ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকেও পাল্টা জবাব দিল ইসরায়েল

১৯

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের এক বছর, কী ভাবছেন ইডেন শিক্ষার্থীরা

২০
X