নিষেধাজ্ঞায় পড়া মার্তিনেজকে ছাড়াই সেমিফাইনাল খেলবে অ্যাস্টন ভিলা
কাতারে হওয়া ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিানার ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর পেছনে লিওনেল মেসির পর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল তাদের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। ২৫ বছর বয়সী এই গোলকিপারের কৃতিত্বে ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল আলবেসিলিস্তেরা। তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের পথে ফাইনাল সহ দুইবার টাইব্রেকারে হয়েছিলেন দলের ত্রাতাও। তবে শুধু জাতীয় দল নয় নিজের ক্লাবের হয়েও একই ভূমিকায় দেখা যায় আর্জেন্টিনার বাজপাখিকে।     বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল অ্যাস্টন ভিলার জার্সিতে দেখা যায় তাকে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের তৃতীয় সারির প্রতিযোগিতা উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিঁলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে অ্যাস্টন ভিলার জয়ের নায়ক ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার। দুই লেগ মিলে সমতায় থাকা ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ালে ম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই আর্জেন্টাইন গোলকিপার। তবে দলকে জেতানোর পরেও একটি দুঃসংবাদ পেতে হচ্ছে মার্তিনেজকে। তার কৃতিত্বে ভিলেনসরা সেমি ফাইনালে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে তাকে ছাড়াই নামতে হবে অ্যাস্টন ভিলাকে। আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে উনাই এমরির দলের হয়ে গোলবারের নিচে দাড়াতে পারবেন না মার্তিনেজ। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপারকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। কারণ, কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে মোট তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি। গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্তিনেজ। প্রথমবার ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন রেফারি। এরপর ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়ালে সেখানেও লিঁলে সমর্থকদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন মার্তিনেজ। কিন্তু দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের পরও অ্যাস্টন ভিলার গোলবার সামলান মার্তিনেজ। সাধারণ নিয়মে হলো, দুটি হলুদ মিলে লাল কার্ড দেওয়ার। তবে ফুটবলের অন্য একটি নিয়মের কারণে বেঁচে যান মার্তিনেজ। ফুটবলের আইনপ্রণেতা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) ১০ নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘ম্যাচে (অতিরিক্ত সময়সহ) সতর্কবার্তা ও কার্ড পেনাল্টিতে (টাইব্রেকে) বিবেচিত হবে না। ম্যাচে এবং টাইব্রেকে হলুদ কার্ড দেখা ফুটবলার মাঠের বাইরে যাবেন না।’ অর্থাৎ ম্যাচের নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড-টাইব্রেকারে কাজে আসবে না। যদিও ম্যাচ শেষে টাইব্রেকে হলুদ কার্ড দেখানোর রেফারির ওপের ক্ষোভ প্রকাশ করেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার।তবে এটা আবার সামগ্রিক কার্ড দেখার হিসেবে যোগ হয়। তাই লাল কার্ড না পেলেও, ঠিকই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন মার্তিনেজ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টাইগার পেসার মারুফ মৃধার বোলিং তাণ্ডবে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে ভারত যুবারা।  শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে আইসিসির একাডেমি মাঠে ফাইনালে খেলতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দরকার ১৮৯ রান। মারুফ মৃধার বোলিংয়ে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।  সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুতেই টাইগার পেসারদের সামনে দিশেহারা হয়ে যায় ভারতের টপঅর্ডার। ১৩ রানে বিদায় নেন ৩ ভারতীয় ব্যাটার। তিনটি উইকেটই শিকার করেন ১৭ বছর বয়সী মারুফ মৃধা। এরপর টিম ইন্ডিয়ার ওপর চড়াও হন ডানহাতি পেসার রাহানাদ দৌলা বর্ষন। শচীন দাস ও প্রীয়ংসু মালিয়ার উইকেট তুলে নেন তিনি। অভিনাশকে ফিরিয়ে ৬১ রানে ভারতের ৬ নম্বর উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের যুবারা। সপ্তম উইকেটের ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক। তাদের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারত যুবারা। দুজনেই ফিফটি তুলে আউট হন। ১৪৫ রানের মাথায় ৫০ রানে সাজঘরে ফিরে যান মুশির খান। সর্বোচ্চ ৬২ রান করা অভিষেককে ফেরান সেই মারুফ মৃধা। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল।  টাইগারদের বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা ৪১ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন।  
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

ওড়িশার কাছে হেরে কিংসের স্বপ্ন ভঙ্গ
তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের। এএফসি (এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন) কাপে ওড়িশার বিপক্ষে ড্র করলেই ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে খেলতে পারত কিংসরা। তবে ডি গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে মোরসালিন-রবসনরা।  সোমবার (১০ ডিসেম্বর) ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গ স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসকে ১-০ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে পৌঁছেছে ওড়িশা এফসি। ম্যাচের ৬১ মিনিটে কর্নার কিক থেকে হেডে একমাত্র গোলটি করেন ডিফেন্ডার ফল। ভুবনেশ্বরে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আসরর গফুরভ। কিংসের সীমানায় পেছনে থেকে দৌড়ে এসে ট্যাকল এই বিদেশি ফুটবলার। তবে বিপদজনক ফাউল না হলেও সরাসরি লাল কার্ড দেখান ভিয়েতনামিজ রেফারি। অথচ ম্যাচের শুরু থেকে ওড়িশার সঙ্গে সমানতলে লড়াই করে বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্থের অর্ধেক পার হলে পাল্টা আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতি যায় কিংস।  দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় দশ জন নিয়ে খেলে কিংস। ম্যাচের ৬১ মিনিটের মাথায় কর্ণার আদায় করে নেয় ওড়িশা। মরক্কোর মিডফিল্ডার আহমেদ জাওহুর কর্ণার কিক থেকে দুর্দান্ত হেড থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার ফল। শেষ দিকে মোরসালিনেদের নামালেও আজ আর সমতায় ফিরতে পারেনি ব্রুজেন শিষ্যরা। যোগ করা সময়ের ৭ মিনিটেও গোল পরিশোধ করতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। ফলে ১-০ গোলের হারে ইন্টার জোনাল কাপের সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হয় কিংসের। অন্যদিকে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্টার জোনাল কাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ভারতের ওড়িশা এফসি।  
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভাগ্য দোষে সেমিতে আবারও আটকালো প্রোটিয়ারা      
যে কোনো খেলায় ভাগ্য অনেক বড় কিছু। ভাগ্য সহায় না থাকায় বিশ্বের অনেক বড় বড় দলও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের দেখা পায়নি। এরকম দলের তালিকা করা হলে সবার উপরের দিকেই থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের নাম। ক্রিকেটে সবচেয়ে দুর্ভাগা দল যদি প্রোটিয়াদের বলা হয় তাহলে আপত্তি করার লোক খুব বেশি থাকবে না। পুরো বিশ্বকাপে ভালো খেলে সেমিফাইনালে গিয়েই কেনো জানি ভাগ্য আর সহায় দেয়না বাভুমাদের। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তার ব্যতিক্রম হলো না অস্ট্রেলিয়াকে বাগে পেয়েও ভাগ্য আর ক্যাচ মিসের মহরায় ফাইনাল আর যাওয়া হলো না প্রোটিয়াদের। অনেক কাছে এসেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তিন উইকেটের পরাজয় বরণ করে নিতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ রান করেছেন মিলার। তাছাড়া ৪৭ রান এসেছে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। অজিদের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। জবাবে খেলতে নেমে ৪৭ ওভার ২ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান এসেছে ট্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৩০ রান করেছেন স্মিথ। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন জেরাল্ড কোয়েটজে ও তাবরাইজ শামসি।  এই ম্যাচ হারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সবচেয়ে বেশি দোষ ধরতে পারে নিজেদের তারপর হয়তো ভাগ্যের। পুরো ম্যাচে তারা যতগুলো ক্যাচ মিস করেছে তার অর্ধেক ধরলেও ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত।   ছোট পুঁজি নিয়েও বোলাররা দারুণ লড়াই করলেও বাজে ফিল্ডিং ও প্রথমে বাজে ব্যাটিংয়ের জন‍্য সেমি-ফাইনালে হেরে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।   ২১৩ রানের লক্ষ্যে শুরুটা উড়ন্ত করেছিলেন ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছিটকে দেওয়ার আভাস দিয়েছিল তাদের ব্যাটিং। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে ফিরে এসেছে বারবার। কলকাতার উইকেটে টার্ন ছিল, মহারাজ ও শামসি সেখানে ছড়ি ঘুরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ওপর। শুরুতে পেসাররা মার খাওয়ায় ইনিংসের সপ্তম ওভারেই স্পিনারের দ্বারস্থ হন টেম্বা বাভুমা। বোলিংয়ে এসে উইকেট এনে দেন মার্করাম। একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ওয়ার্নার। দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি এই ওপেনার আউট হয়েছেন ১৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি মিচেল মার্শ। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পরও অস্ট্রেলিয়াকে চাপে পড়তে দেননি হেড ও স্মিথ। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন হেড। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা হেডকে ফেরান মহারাজ। বাঁহাতি এই ওপেনার ফিরে যান ৬২ রানের ইনিংস খেলে। মার্নাস ল্যাবুশেনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শামসি। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি ১৮ রান করা এই ব্যাটারের। দ্রুতই ফিরে গেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শামসির শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বলের লাইন মিস করে ফিরে গেছেন বোল্ড হয়ে। নিজের সবশেষ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা ম্যাক্সওয়েল এদিন আউট হয়েছেন ১ রানে। সবশেষ ৬৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে সাউথ আফ্রিকা। তবে তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্মিথ ও জশ ইংলিস জুটি। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৭ রান। স্মিথকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোয়েতজে। লম্বা সময় টিকে থাকা স্মিথকে ফিরতে হয় ৬২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে। স্মিথ ফেরার পর স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইংলিস। তখনও হাতে পর্যাপ্ত বল থাকায় চাপ নেয়ার তেমন প্রয়োজন ছিল না তার। অস্ট্রেলিয়া যখন জয় থেকে ২০ রান দূরে তখন সাজঘরে ফেরেন ইংলিস। কোয়েতজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৪৯ বলে ২৮ রান করা অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করেন কামিন্স ও স্টার্ক। এর আগে ইডেন গার্ডেন্সের উইকেট আজ তার নিজস্ব রূপ বদলে মৃত্যু ফাঁদ হয়ে যেন অপেক্ষা করছিল প্রোটিয়াদের জন্য। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েন কুইন্টন ডি কক-টেম্বা বাভুমারা। নতুন বলে বাড়তি বাউন্স আর সুইংয়ে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন তারা। ১৪ ওভারের মধ্যেই আউট হয়ে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন এবং এইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারের শেষ বলেই মিচেল স্টার্ক ফিরিয়ে দেন টেম্বা বাভুমাকে। উইকেটের পেছনে জস ইংলিশের হাতে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। ৬ষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন কুইন্টন ডি কক। জস হ্যাজলউডের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে আসা ডি কক একেবারে জায়গামত এসে ব্যর্থ হলেন। দলীয় রান ছিল তখন ৮ রান। দলীয় ২২ রানের মাথায় ফিরে যান এইডেন মার্করাম। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন তিনি। ১০ রান করে তিনি আউট হন হ্যাজলউডের বলে। ২৪ রানের মাথায় আউট হন রাসি ফন ডার ডুসেন। তিনি করেন ৬ রান। এর পর বেরসিকের মতো হানা দেয় বৃষ্টি। কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর প্রোটিয়াদের ইনিংস গড়ার দায়িত্ব কাধে তুলে নেন দুই হার্ড হিটার ব্যাটার ক্লাসেন ও মিলার। দুজনের প্রায় ১০০ রানের জুটিতে ৩০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১১ রান দাড়ায়। ক্লাসেন এবং মিলার অজিদের প্রধান অস্ত্র অ্যাডাম জাম্পাকে মাঠের চার পাশে আছড়ে ফেলতে থাকেন। যেভাবে তারা খেলছিল তাতে বাধ্য হয়েই অজি অধিনায়ক কামিন্স বোলিংয়ে নিয়ে আসেন পার্ট টাইম বোলার হেডকে। আর এসেই অজি ক্যাম্পে স্বস্তি ফেরান হেড। টানা দুই বলে ফেরান বিপদজনক ক্লাসেন ও জানসেনকে তবে তখনও ক্রিজে ছিলেন কিলার মিলার। দুই বলে দুই উইকেট হারানোর পর জেরাল্ড কোয়েটজেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোয়েটজে। ৩৯ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। এক পাশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চললেও অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিলার। ১১৪ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। ১১৬ বলে ১০১ রান করে ফিরেছেন তিনি। শেষ দিকে কেশব মহারাজ-কাগিসো রাবাদারা দ্রুত ফিরলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

মিলারের শতকে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
এবারের ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথমে ব্যাটিং মানেই রান উৎসব। এই বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩০০ এর নিচে কোনো ম্যাচেই করেনি প্রোটিয়ারা আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের সেমিফাইনালেও একই লক্ষ্য ছিল টেম্বা বাভুমার দলের। তাই টস জিতেই ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাভুমা। তবে বাভুমার দলের সামনে ছিল ক্ষেপে ওঠা অজি পেস অ্যাটাক যার সামনে এক ডেভিড মিলার ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারল না। শেষ পর্যন্ত মিলারের শতকেই লড়াই করার মতো পুঁজি পেল কখনোই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে না পারা দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হতে হলে ওয়ার্নার-হেডদের দরকার ২১৩ রান।   বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারের দুই বল আগেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০১ রান আসে ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে। অন্যদিকে অজিদের হয়ে প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক নেন তিনটি করে উইকেট।     মুম্বাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালটি হয়েছিল রান উৎসবের। ভারত এবং নিউজিল্যান্ড- দুই দলই করেছে ৩০০ এর বেশি রান। ৭০০ রানের বেশি ওই ম্যাচে জয় হয়েছে ভারতের। কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পিচে খেলা হচ্ছে তার পুরো উল্টো। এখানে শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, রানের জন্য মাথা কুঁড়ে মরছে ব্যাটাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। পুরো টুর্নামেন্টে টস জয় মানেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান উৎসব। এবারও সেই শঙ্কাই করেছিলেন অনেকে। তবে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর প্রোটিয়াদের উড়ন্ত সূচনার জায়গায় পড়তে হয়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। একদিকে তারা যেমন উইকেট তুলে নিচ্ছে, অন্যদিকে রানও আটকে রেখেছে। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে- উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক প্রকার আটকে রেখেছে কামিন্স-স্টার্করা। ১৪ ওভারের মধ্যে আউট হয়ে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন এবং এইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারের শেষ বলেই মিচেল স্টার্ক ফিরিয়ে দেন টেম্বা বাভুমাকে। উইকেটের পেছনে জস ইংলিশের হাতে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। ৬ষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন কুইন্টন ডি কক। জস হ্যাজলউডের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে আসা ডি কক একেবারে জায়গামত এসে ব্যর্থ হলেন। দলীয় রান ছিল তখন ৮ রান। দলীয় ২২ রানের মাথায় ফিরে যান এইডেন মার্করাম। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন তিনি। ১০ রান করে তিনি আউট হন হ্যাজলউডের বলে। ২৪ রানের মাথায় আউট হন রাসি ফন ডার ডুসেন। তিনি করেন ৬ রান।  এর পর বেরসিকের মতো হানা দেয় বৃষ্টি। কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর প্রোটিয়াদের ইনিংস গড়ার দায়িত্ব কাধে তুলে নেন দুই হার্ড হিটার ব্যাটার ক্লাসেন ও মিলার। দুজনের প্রায় ১০০ রানের জুটিতে ৩০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১১ রান দাড়ায়। ক্লাসেন এবং মিলার অজিদের প্রধান অস্ত্র অ্যাডাম জাম্পাকে মাঠের চার পাশে আছড়ে ফেলতে থাকেন। যেভাবে তারা খেলছিল তাতে বাধ্য হয়েই অজি অধিনায়ক কামিন্স বোলিংয়ে নিয়ে আসেন পার্ট টাইম বোলার হেডকে। আর এসেই অজি ক্যাম্পে স্বস্তি ফেরান হেড। টানা দুই বলে ফেরান বিপদজনক ক্লাসেন ও জানসেনকে।  তবে তখনও ক্রিজে ছিলেন কিলার মিলার। দুই বলে দুই উইকেট হারানোর পর জেরাল্ড কোয়েটজেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোয়েটজে। ৩৯ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। এক পাশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চললেও অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিলার। ১১৪ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। ১১৬ বলে ১০১ রান করে ফিরেছেন তিনি। শেষ দিকে কেশব মহারাজ-কাগিসো রাবাদারা দ্রুত ফিরলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।   
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

ক্লাসেন-মিলারের লড়াইয়ের পর হেডের জোড়া আঘাত
ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল কোন প্রকার বাধা ছাড়াই ভালো ভাবে শেষ হয়েছে তবে কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই বৃষ্টির শঙ্কা ছিল। যদিও বৃষ্টির বাধা ছাড়া খেলা ভালোভাবে শুরু হলেও ঠিকই বেরসিকের মতো বৃষ্টি ঠিকই হানা দেয়। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৪ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেশিক্ষণ তা বন্ধ থাকেনি। বাংলাদেশ সময় ৪টা ২৫মিনিটে ফের শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল লড়াইটি। ভক্তদের জন্য সুসংবাদ হলো বৃস্টি হলেও কোন ওভার কাটা যায়নি। মুম্বাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালটি হয়েছিল রান উৎসবের। ভারত এবং নিউজিল্যান্ড- দুই দলই করেছে ৩০০ এর বেশি রান। ৭০০ রানের বেশি ওই ম্যাচে জয় হয়েছে ভারতের। কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পিচে খেলা হচ্ছে তার পুরো উল্টো। এখানে শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, রানের জন্য মাথা কুঁড়ে মরছে ব্যাটাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। পুরো টুর্নামেন্টে টস জয় মানেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান উৎসব। এবারও সেই শঙ্কাই করেছিলেন অনেকে। তবে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর প্রোটিয়াদের উড়ন্ত সূচনার জায়গায় পড়তে হয়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। একদিকে তারা যেমন উইকেট তুলে নিচ্ছে, অন্যদিকে রানও আটকে রেখেছে। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে- উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক প্রকার আঁটকে রেখেছে কামিন্স-স্টার্করা। এরই মধ্যে আউট হয়ে ফিরে গেছেন কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন এবং এইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারের শেষ বলেই মিচেল স্টার্ক ফিরিয়ে দেন টেম্বা বাভুমাকে। উইকেটের পেছনে জস ইংলিশের হাতে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। ৬ষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন কুইন্টন ডি কক। জস হ্যাজলউডের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে আসা ডি কক একেবারে জায়গামত এসে ব্যর্থ হলেন। দলীয় রান ছিল তখন ৮ রান। দলীয় ২২ রানের মাথায় ফিরে যান এইডেন মার্করাম। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন তিনি। ১০ রান করে তিনি আউট হন হ্যাজলউডের বলে। ২৪ রানের মাথায় আউট হন রাসি ফন ডার ডুসেন। তিনি করেন ৬ রান।  অবশ্য বৃষ্টির পর প্রোটিয়াদের ইনিংস গড়ার দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছেন দুই হার্ড হিটার ব্যাটার ক্লাসেন ও মিলার। দুজনের প্রায় ১০০ রানের জুটিতে ৩০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১১ রান দাড়ায়। ক্লাসেন এবং মিলার অজিদের প্রধাণ অস্ত্র জাম্পাকে যেভাবে খেলছিল তাতে বাধ্য হয়েই অজি অধিনায়ক কামিন্স বোলিংয়ে নিয়ে আসেন পার্ট টাইম বোলার হেডকে। আর এসেই অজি ক্যাম্পে স্বস্তি ফেরান হেড। টানা দুই বলে ফেরান বিপদজনক ক্লাসেন ও জানসেনকে। ৩৩ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৭ রান।      
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
আগামী ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। যেখানে ভারতের প্রতিপক্ষ হতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।  বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে ফিরেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছিলেন বিধ্বংসী এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাকে বিশ্রামে দিয়েছিল অজি টিম ম্যানেজমেন্ট। একাদশে ম্যাক্সওয়েলের আগমনে বাদ পড়েছেন পেস অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। বিশ্রাম শেষে অজি শিবিরে আরও ফিরেছেন মিচেল স্টার্ক।             অন্যদিকে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে প্রোটিয়ারা।    দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ফান ডার ডুসেন, এডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজে, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও তাবরেজ শামসি। অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশানে, জশ ইংলিশ (উইকেটকিপার), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজেলউড।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। দ্বিতীয় সেমিতে কলকাতায় ফাইনালের লড়াইয়ে দুপুরে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। তবে ইডেন গার্ডেনসের মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পাশাপাশি ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও পড়েছে। এমনিকি পুরো দিনে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাতেই দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফলাফলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বেরসিক বৃষ্টি।  বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।  বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে ম্যাচের ভেন্যু ইডেন গার্ডেনসে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, ম্যাচ শুরুর সময়ে বেরসিক বৃষ্টি বাধা দিতে পারে। তা ছাড়া আজ কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ২৫ শতাংশ। বৃষ্টি ছাড়াও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যতি বৃষ্টির কারণে কোনো ভাবে খেলা অসম্পূর্ণ থাকে বা ফলাফল না আসে তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। কারণ সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রেখেছে আইসিসি।  আজই সেমিফাইনাল শেষ করার চেষ্টা করবেন ফিল্ড আম্পায়াররা। ন্যূনতম ২০ ওভার করে খেলা চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তবেই খেলা গড়াবে রিজার্ভ ডেতে। সেক্ষেত্রে পরের দিনে একই সময়ে মাঠে গড়াবে বাকি অংশটুকু। আর রিজার্ভ ডেতেও বৃষ্টির কারণে খেলা সম্ভব না হলে পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী এগিয়ে থাকা দলকে ফাইনালিস্ট ঘোষণা করা হবে। বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে তিনে ছিল পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আর সেক্ষেত্রে মেগা ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে প্রোটিয়া বাহিনী।  
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

সেমিফাইনাল জয়ের নায়ক শামির যত রেকর্ড
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন রেকর্ড ভাঙ্গা গড়ার খেলায় নেমেছিল ভারত। বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সেমিফাইনালে সর্বোচ্চ দলীয় রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে স্বাগতিকরা। এদিন আবার ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ও এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙেন বিরাট কোহলি। এতকিছুর পরও ম্যাচ সেরার পুরস্কার কিন্তু কোহলির ভাগ্যে জোটেনি। কিউইদের বিপক্ষে সাত উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়া ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ শামি পেয়েছে ম্যাচ সেরা হওয়ার সম্মান। বুধবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত। ৫৭ রানের বিনিময়ে সাতটি উইকেট শিকার করেন পেসার মোহাম্মদ শামি। ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরিতে একাদশে সুযোগ পান এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোহাম্মদ শামি। এরপরের কাহিনী তো ইতিহাস। একের পর এক প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। আজ লড়তে থাকা কিউইদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসানো সেই শামিই জানালেন তার এতো ভালো বোলিংয়ের রহস্য। খেলা শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় তিনি বলেন, 'কোনো রহস্য নেই। ভালো খেলার তাগিদ থেকেই এসেছে এমন সাফল্য। আগের দুই আসরে ভালো খেলেও আমরা হেরে গিয়েছিলাম। তবে এবার আমরা জয়ের জন্য এবার সবকিছুই করেছি। কোনো ধরনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।' নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের হয়ে সবচেয়ে সেরা বোলিং করার রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার লাভের পাশাপাশি অ্যাডাম জাম্পাকে টপকে ২৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকাতেও শীর্ষে উঠে এসেছেন শামি। ভারতের প্রথম বোলার হিসেবেও বিশ্বকাপের ম্যাচে ৭ উইকেট নিলেন। গড়লেন আরও কয়েকটি নজির।  ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৫০টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন শামি। বুধবার ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে আউট করে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট পূর্ণ করলেন শামি। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে ১৭টি ম্যাচ লাগল শামির। এটিও একটি নজির। বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে ৫০ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে শামিই দ্রুততম।   এছাড়াও এবার বিশ্বকাপে ছয়টি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ৫ উইকেট নিলেন তিনি। তিন বার ম্যাচের সেরার পুরস্কারও পেলেন। বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭ উইকেট নিলেন ৫৭ রান খরচ করে। এই নিয়ে বিশ্বকাপে চতুর্থ বার ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন তিনি। যা বিশ্বে আর কোনও বোলারের নেই। ১০০তম এক দিনের ম্যাচ খেলতে নেমে ভারতের প্রথম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে ৭টি উইকেট নিলেন। ছাপিয়ে গেলেন আশিস নেহরার বিশ্বকাপের এক ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়ার নজিরকেও। এখন ফাইনালে শামির খেলা দেখতে উদগ্রীব পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দেখতে ওয়াংখেড়েতে বেকহাম
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে স্বাগতিক ভারত। ২০১৯ বিশ্বকাপের শেষ চারের লড়াইয়ে কিউইদের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ নিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত শর্মারা।  তবে এবারের প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইনাল দেখতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহাম। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার শেষ চারের লড়াই দেখতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন ইন্টার মায়ামির সহমালিক ও সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেকহাম। মূলত ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ভারত সফরে এসেছেন এই তারকা। সংস্থাটির তিন দিনের সফরের অংশ হিসেবে ভারতে অবস্থান করছেন বেকহাম। নারী ও মেয়েদের ক্ষমতা এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠিত করতে ইউনিসেফের সঙ্গে জুটি বেঁধেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। বাংলাদেশি সময় ১টা ৪৫ মিনিটের সময় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন ডেভিড বেকহাম। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটার ‘ক্রিকেট ইশ্বর’ শচীন টেন্ডুলকার। দুজন একই সঙ্গে স্টেডিয়ামে হাঁটেন এবং হাত নাড়িয়ে দর্শকদের অভিবাদন জানান। এছাড়াও ভারত ও নিউজিল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলানো ও কথা বলেন বেকহাম।  শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ওয়াংখেড়ের ভিভিআইপি গ্যালারিতে বসে রোহিত-কোহলিদের খেলা উপভোগ করছেন বেকহাম।  
১৫ নভেম্বর, ২০২৩
X