ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল কোন প্রকার বাধা ছাড়াই ভালো ভাবে শেষ হয়েছে তবে কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই বৃষ্টির শঙ্কা ছিল। যদিও বৃষ্টির বাধা ছাড়া খেলা ভালোভাবে শুরু হলেও ঠিকই বেরসিকের মতো বৃষ্টি ঠিকই হানা দেয়। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৪ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেশিক্ষণ তা বন্ধ থাকেনি। বাংলাদেশ সময় ৪টা ২৫মিনিটে ফের শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল লড়াইটি। ভক্তদের জন্য সুসংবাদ হলো বৃস্টি হলেও কোন ওভার কাটা যায়নি।
মুম্বাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালটি হয়েছিল রান উৎসবের। ভারত এবং নিউজিল্যান্ড- দুই দলই করেছে ৩০০ এর বেশি রান। ৭০০ রানের বেশি ওই ম্যাচে জয় হয়েছে ভারতের। কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পিচে খেলা হচ্ছে তার পুরো উল্টো। এখানে শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, রানের জন্য মাথা কুঁড়ে মরছে ব্যাটাররা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। পুরো টুর্নামেন্টে টস জয় মানেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান উৎসব। এবারও সেই শঙ্কাই করেছিলেন অনেকে। তবে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর প্রোটিয়াদের উড়ন্ত সূচনার জায়গায় পড়তে হয়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। একদিকে তারা যেমন উইকেট তুলে নিচ্ছে, অন্যদিকে রানও আটকে রেখেছে। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে- উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক প্রকার আঁটকে রেখেছে কামিন্স-স্টার্করা।
এরই মধ্যে আউট হয়ে ফিরে গেছেন কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন এবং এইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারের শেষ বলেই মিচেল স্টার্ক ফিরিয়ে দেন টেম্বা বাভুমাকে। উইকেটের পেছনে জস ইংলিশের হাতে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।
৬ষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন কুইন্টন ডি কক। জস হ্যাজলউডের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে আসা ডি কক একেবারে জায়গামত এসে ব্যর্থ হলেন। দলীয় রান ছিল তখন ৮ রান।
দলীয় ২২ রানের মাথায় ফিরে যান এইডেন মার্করাম। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন তিনি। ১০ রান করে তিনি আউট হন হ্যাজলউডের বলে। ২৪ রানের মাথায় আউট হন রাসি ফন ডার ডুসেন। তিনি করেন ৬ রান।
অবশ্য বৃষ্টির পর প্রোটিয়াদের ইনিংস গড়ার দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছেন দুই হার্ড হিটার ব্যাটার ক্লাসেন ও মিলার। দুজনের প্রায় ১০০ রানের জুটিতে ৩০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১১ রান দাড়ায়। ক্লাসেন এবং মিলার অজিদের প্রধাণ অস্ত্র জাম্পাকে যেভাবে খেলছিল তাতে বাধ্য হয়েই অজি অধিনায়ক কামিন্স বোলিংয়ে নিয়ে আসেন পার্ট টাইম বোলার হেডকে। আর এসেই অজি ক্যাম্পে স্বস্তি ফেরান হেড। টানা দুই বলে ফেরান বিপদজনক ক্লাসেন ও জানসেনকে।
৩৩ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৭ রান।
মন্তব্য করুন