রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ মখদুম আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব ফেসবুকে এ অভিযোগ করে পোস্ট দেন। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজুল ইসলাম ও শাহ মখদুম হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মিঠু। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। অপূর্ব ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি পারিবারিক কারণে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। তাকে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহীতে এলে তার লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অভিযোগ অস্বীকার করে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অপূর্বকে কোনো ধরনের হুমকি দিইনি। তার সঙ্গে স্বাভাবিক কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টা একটু আগে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
০৩ মে, ২০২৪

নারী কয়েদির সঙ্গে কারারক্ষীর অনৈতিক সম্পর্ক, দেখে ফেলায় নির্যাতন
গাইবান্ধা জেলা কারাগারের ভেতরে কারারক্ষীর সঙ্গে এক নারী কয়েদির অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় এক নারী হাজতিকে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই হাজতির মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং নারী ইউনিটে পুরুষ ঢুকে মারধর করেছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা মোছা. করিমন নেছা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলা কারাগারের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা জানাজানি হলে জেলার সর্বত্র এ বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।  অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী পাঁচ বছর যাবৎ গাইবান্ধা জেলা কারাগারে হাজতি হিসেবে রয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই হাজতির মা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, জেলা কারাগারে কর্মরত প্রধান কারারক্ষী মো. আশরাফুল ইসলাম এবং নারী কয়েদি (রাইটার) মোছা. মেঘলা খাতুনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদের অনৈতিক কার্যকলাপ আমার মেয়ে দেখে ফেলায় তার প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ও রাইটার মেঘলা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এ কথা কাউকে বললে মেয়েকে মেরে ফেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।  লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আশরাফুল ইসলাম তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় কারাগারের ভেতরে শ্লীলতাহানিসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। বিভিন্ন সময় তার পোশাক ধরে টানাটানি করেছেন। মেয়েকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করার চেষ্টাও করেছেন।  এ নিয়ে জেল সুপারের কাছে বিচার দেওয়ার কথা বললে আশরাফুল প্রকাশ্যে ভুক্তভোগীকে বলেন, জেলার সাহেব তার লোক। তিনি নিজের টাকা খরচ করে জেলারকে বদলি করে নিয়ে এসেছেন। জেলার তার কোনো বিচার করতে পারবেন না।  চলতি বছরের ২০ মার্চ দুপুরে আশরাফুলের নেতৃত্বে কয়েদি মেঘলা খাতুন, রেহেনা, আলেফা এবং কারারক্ষী তহমিনা, শাবানা গং কারাগারের নারী ইউনিটের বারান্দায় ভুক্তভোগীকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারেন। একপর্যায়ে আশরাফুল, সিআইডি কর্মকর্তা আনিছ এবং হাবিলদার মোস্তফা কারাগারের নারী ইউনিটে প্রবেশ করে মেয়েকে টেনেহিঁচড়ে সেলের ভেতর নিয়ে যান। মেয়ের হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে, রশি দিয়ে দুই পা বেঁধে লাঠি দিয়ে ঊরু ও পায়ের পাতায় বেদম মারধর করেন। কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে বিবস্ত্র করেন। এ ঘটনা বাইরে প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় তাকে।  অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কারারক্ষী মো. আশরাফুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেল সুপার মো. জাবেদ মেহেদী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।  কারাগারের ভেতরে সব অবৈধ কার্যকলাপ, কয়েদিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আপনি জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না- এমন প্রশ্নে জেল সুপার বলেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, মঙ্গলবার কারাগারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমানকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসীদের হত্যার হুমকি ভারতের
ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেষ্টার পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গেলেও সে দেশে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীদের হত্যার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। গত শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বিদেশের মাটিতে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারত সরকার ২০২০ সাল থেকে পাকিস্তানে ২০ জনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। গার্ডিয়ানের এ প্রতিবেদনের এক দিনের মাথায় এই মন্তব্য করলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব দেয়নি মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এ প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রাজনাথ সিং বলেন, যদি তারা (সন্ত্রাসী) পাকিস্তানে পালিয়ে যায়, আমরা তাদের হত্যা করার জন্য পাকিস্তানে প্রবেশ করব। তিনি বলেন, ভারত সবসময় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু কেউ যদি ভারতের দিকে বারবার আড় চোখে তাকায়, ভারতে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রচার করার চেষ্টা করে, আমরা তাদের রেহাই দেব না।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) একটি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের যোগসাজোশ থাকায় পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা পর্যন্ত চালায় ভারত। এ ছাড়া চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের মাটিতে দুই পাকিস্তানি নাগরিককে হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। যদিও ভারত তখন বলেছিল, এটি মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচার।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসীদের হত্যার হুমকি ভারতের
ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেষ্টার পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গেলেও সে দেশে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীদের হত্যার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ ১৮কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বিদেশের মাটিতে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারত সরকার ২০২০ সাল থেকে পাকিস্তানে ২০ জনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদনের একদিনের মাথায় এই মন্তব্য করলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব দেয়নি মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রাজনাথ সিং বলেন, যদি তারা (সন্ত্রাসী) পাকিস্তানে পালিয়ে যায়, আমরা তাদের হত্যা করার জন্য পাকিস্তানে প্রবেশ করব। তিনি বলেন, ভারত সবসময় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু কেউ যদি ভারতের দিকে বারবার আড় চোখে তাকায়, ভারতে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রচার করার চেষ্টা করে, আমরা তাদের রেহাই দেব না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) একটি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের যোগসাজোস থাকায় পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা পর্যন্ত চালায় ভারত। এ ছাড়া চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের মাটিতে দুই পাকিস্তানি নাগরিককে হত্যার সাথে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। যদিও ভারত তখন বলেছিল, এটি মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচার।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

কাফনের কাপড় পাঠিয়ে বিএনপি নেতাকে হত্যার হুমকি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে বিএনপি নেতা অকিল উদ্দিন ভূঁইয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩১ মাচ) ভোরে উপজেলার গোদনাইলে তার বাসার সামনে হুমকি দিয়ে কে বা কারা কাফনের কাপড়, সাবান, আতর, আগরবাতি রেখে গেছে। বাসার সামনে রেখে যাওয়া প্যাকেটে লেখা রয়েছে, ‘অকিল তুই দুনিয়া থেকে বাহির হ, এই লও, প্রস্তুত থাক’।  অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় ট্যাংক লরি মালিক সমিতির সভাপতি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চলছে।’ জানা গেছে, গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ওয়েল কোম্পানির ডিপো। এখান থেকে নয় হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ১২৭টি ট্যাংক লরি ঢাকা বিমান বন্দর টার্মিনালে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। প্রভাশালী কয়েকজন কোম্পানিকে পাঁচ লাখ টাকা জামানত দিয়ে বিশ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক লরি চালুর পাঁয়তারা করছে। এটি চালু হলে সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ী, চালক ও শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে গত শনিবার সমিতির এক সভায় জানানো হয়। পাশাপাশি জ্বালানি তেল পরিবহনে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করে ওই সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া। এ বিষয়ে অকিল উদ্দিন ভূঁইয়ার ভগ্নিপতি শরিফুজ্জামান বলেন, ‘ভোরে মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বাসায় যাই। সকাল ৭টায় বৃষ্টির পর বাসার সামনে কাফনের কাপড়ের প্যাকেটটি পাওয়া যায়। সাধারণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে যে কেউ এটি করতে পারে।’ পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের চট্টগ্রাম প্রধান কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন্স) আসিফ মালিক কালবেলাকে বলেন, ‘ট্যাংক লরির ধারণ ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নাই।’
৩১ মার্চ, ২০২৪

কালবেলার সাংবাদিককে হত্যার হুমকি থানায় জিডি
বাগেরহাটের ফকিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার ও টাকা আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফকিরহাটের সাতবাড়িয়া গ্রামের মাহামুদুল হাসান (২৭) এ হত্যার হুমকি দেন। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। সাংবাদিক মনিরুজ্জামান কালবেলার প্রতিনিধি। এ ছাড়া ফকিরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। গত শনিবার রাতে হুমকির ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফকিরহাট থানায় তিনি জিডি করেন। গত ১১ মার্চ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ফকিরহাট মডেল থানায় তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাহামুদুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লেখেন সাংবাদিক মনিরুজ্জামান। সেখানে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত সরকারি চাকরির নামে প্রতারণা করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারক মাহমুদুল কখনো কাস্টমস কর্মকর্তা আবার কখনো রাজনৈতিক নেতার সহযোগী পরিচয়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। কামরুজ্জামান সুজন নামে এক ব্যক্তি গত ৭ মার্চ তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, প্রতারণার সংবাদ প্রকাশ করায় মাহমুদুল প্রাইভেটকারে অফিসে এসে গালাগাল ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। নিম্নবিত্ত পরিবারের বেকার হয়েও মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যে তিনি কীভাবে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। ফকিরহাট মডেল থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম বলেন, মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। সবগুলোই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

প্রতারণার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে ছাত্রলীগের হত্যার হুমকি
প্রতারণার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাগেরহাট ফকিরহাটের সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে মাহামুদুল হাসানের (২৭) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। তিনি ফকিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনিকে হত্যার হুমকি দেন ওই নেতা। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে হুমকির ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শেখ মনি। জিডি নম্বর ৮১০।  তিনি জাতীয় দৈনিক কালবেলা, স্থানীয় দৈনিক রানার ও দৈনিক ফুলতলা পত্রিকার প্রতিনিধি। এছাড়া ফকিরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। এর আগে, সোমবার (১১ মার্চ) ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে ও ফকিরহাট মডেল থানায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে একাধিকবার নগদ ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে প্রায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারণার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন তিনি।  প্রতারক মাহমুদুল হাসান কখনো কাস্টমস কর্মকর্তা আবার কখনো রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগী হিসেবে পরিচয় দিয়ে মানুষকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাত। ভুক্তোভোগীদের মধ্যে একই এলাকার কামরুজ্জামান সুজন টাকা দিয়েও চাকরি এবং টাকা ফেরত পেতে ব্যর্থ হয়ে প্রতারক মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থানায় অভিযোগ করেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর মাহামুদুল হাসান সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনির অফিসে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হত্যার হুমকি দেয়।  হুমকির বিষয়ে সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনি জানান, ভুক্তভোগী কর্তৃক থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাহামুদুল হাসানের নামে সংবাদ প্রকাশ করার পর একটি সাদা প্রাইভেট কারে আমার অফিসে এসে গালাগাল ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তার এমন আক্রমণাত্মক ব্যবহারে আমিসহ অন্য সাংবাদিকরা হতবাক হয়ে যাই। গরিব পরিবারের বেকার সন্তান হয়েও মাত্র বছর দুইয়ের মধ্যে এই ছেলেটি কীভাবে কোটি টাকার মালিক হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফকিরহাট মডেল থানা ওসি মো. আশরাফুল আলম বলেন, হুমকিদাতা মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এসেছে। তার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

চাঁদাবাজির সংবাদ করায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি
রাজধানীর মিরপুরের ভাষানটেকসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন ও ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না পেয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করায় বেসরকারি টেলিভিশন মোহনা টিভির অপরাধবিষয়ক সিনিয়র প্রতিবেদক কাজী ইহসান বিন দিদারকে গুম ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এর আগে, গতকাল ২ মার্চ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে চাঁদা দাবি ও হামলার সচিত্র প্রতিবেদন করেন। এরপর থেকেই বিদেশি বিভিন্ন নম্বর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রোববার (৩ মার্চ) হুমকির ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন দিদার। জিডি নম্বর ২১৯। হুমকির বিষয়ে মোহনা টিভির সাংবাদিক দিদার বলেন, ২ মার্চ মিরপুরের ভাসানটেক এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের একটি রিপোর্ট সম্প্রচার হওয়ার পর আজ সকাল থেকেই +৪৪৪৪৪৬০ আর +৪৪৪৪৪৬২ এই দুটি নম্বর থেকে ফোন দেওয়া শুরু হয়। প্রাণে মেরে ফেলা, গুম করে ফেলাসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয় সংবাদ প্রকাশের কারণে। এরপর বারবার আমার লোকেশন জানার চেষ্টা করা হয়। বলা হয় তোকে একদম উড়িয়ে দিব। নিউজ করার শিক্ষা দিয়ে দিব। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান। তিনি বলেন, আমরা হুমকিদাতাদের শনাক্তে কাজ করছি।
০৩ মার্চ, ২০২৪

এবার মুশতাক-তিশাকে হত্যার হুমকি
দর্শনার্থীদের তোপের মুখে অমর একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর আবারও আলোচনায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনির মাধ্যমে তাদের মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার ভিডিও। এরপরই ফেসবুকে লাইভে আসেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মুশতাক ও তার স্ত্রী। তারা জানান, তাদেরকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে তাদের দিন কাটছে বলেও দাবি করেন এই দম্পতি। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মুশতাক কালবেলাকে বলেন, অনেকেই বিষয়টিকে মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের হত্যার হুমকির ভিডিও গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো হবে। এতে সবাই জানতে পারবে আসল ঘটনা। এ ঘটনায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় জিডি করেন তিনি। এ ছাড়া নতুন করে জিডি করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ। তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই সমালোচনা আরও তীব্র হয় একুশের মেলায় তাদের বই প্রকাশের পর। মেলায় নিয়মিত তার বই ছাপানোর সেই প্রকাশনী স্টলে গেলে গত শুক্রবার কিছু মানুষের তোপের মুখে মেলা ছাড়তে বাধ্য হয় এই ‘অসম’ জুটি। নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার রাত ৯টার পর খন্দকার মুশতাক আহমেদ শাহবাগ থানায় গিয়ে জিডি করেন। গত রোববার রাতে হঠাৎ লাইভে আসেন মুশতাক-তিশা। লাইভে এসে মুশতাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তাদের দুজনকে গুলি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বেঁচে থাকার অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তারা। জানতে চেয়েছেন কী দোষ তাদের। বইমেলায় তাদের ২টি বই প্রকাশ হয়েছে। মুশতাক বলেন, ইতোমধ্যে শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন তিনি। গত ৯ তারিখও তাদের উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা বইমেলাতে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে, বই ছিঁড়েছে। তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হত্যার হুমকিদাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির এই সদস্য।  তিনি বলেন, মেলা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল তাদের নিরাপত্তা দেওয়া। বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এবার মুশতাক-তিশাকে হত্যার হুমকি
বাংলাদেশের আলোচিত ও সমালোচিত ‘অসম জুটি’ খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমন অভিযোগ করে ভিডিও বার্তা দেন মুশতাক-তিশা। এর আগে গত শুক্রবার তোপের মুখে একুশের বইমেলা থেকে বের হয়ে যান এই দম্পতি।    সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মুশতাক কালবেলাকে বলেন, আপনারা আমাদের ভিডিও বার্তা দেখেছেন। ভিডিওতে শুধু আমাদেরই দেখিয়েছি। অনেকেই বিষয়টিকে মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন। আমাদের যে হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই ভিডিওটি গণমাধ্যমের কাছে আজ পাঠাব। তখন সকলেই জানবে বিষয়টি সত্য কি না।  হুমকির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মুশতাক বলেন, আমরা গত ৯ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় জিডি করেছিলাম। যেহেতু আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে নতুন করে জিডি করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করিনি তবে আমি বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেব।    রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই সমালোচনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে একুশের মেলায় বই প্রকাশের পর। মেলায় নিয়মিত তার বই ছাপানোর সেই প্রকাশনী স্টলে গেলে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কিছু মানুষের তোপের মুখে মেলা ছাড়তে বাধ্য হয় এই ‘অসম’ জুটি। নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার রাত ৯টার পর খন্দকার মুশতাক আহমেদ শাহবাগ থানায় গিয়ে জিডি করেন। এবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে হঠাৎ লাইভে আসেন মুশতাক-তিশা। লাইভে এসে মুশতাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাকে এবং স্ত্রী তিশাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কি বাঁচার অধিকার নেই? আমরা কী দোষ করেছি। আমরা শরিয়তসম্মতভাবে আইন মেনে বিবাহ করেছি। বইমেলায় আমাদের ২টি বই প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। আপনাদের সকলকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। গত ৯ তারিখও আমাদের উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। আমি এবং স্ত্রী অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যারা আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করছি। লাইভে এসে খন্দকার মুশতাকের স্ত্রী তিশা বলেন, আমি একজন নারী আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই? আমরা সম্পূর্ণ শরিয়তসম্মতভাবে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমাদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মুশতাক বইমেলায় বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারীরা বইমেলাতে আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে, বই ছিঁড়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া। খন্দকার মুশতাকের করা জিডিতে বলা হয়েছে, একুশে বইমেলা উপলক্ষে মিজান পাবলিশার্স থেকে তাদের ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’ ও ‘তিশার ভালবাসা’ নামে দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশনা ও পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায় যান তারা। এ সময় ক্রেতা ও ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময়, ছবি তোলা ও অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ উপস্থিত অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন তাদের হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকে। এ সময় খন্দকার মুশতাক আহমেদের প্রকাশিত কয়েকটি বই ছিঁড়ে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X