

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও পাসপোর্ট সূচকে বেশ পিছিয়ে। সামরিক এবং প্রযুক্তি খাতে ভারত যতটা এগিয়েছে ঠিক তার উল্টোটা ঘটেছে পাসপোর্টের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচকে ভারতের এমন দুর্বল চিত্র উঠে এসেছে।
ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধার ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সূচকে ভারত গত বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ৮৫তম স্থানে নেমে এসেছে। বিশ্বের ১৯৯টি পাসপোর্টের মধ্যে ভারতের এমন অবস্থানকে হতাশাজনক বলছেন পর্যবেক্ষকরা।
নয়াদিল্লির থেকেও পাসপোর্ট সূচকে এগিয়ে রয়েছে রুয়ান্ডা, ঘানা ও আজারবাইজানের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশ। বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা মাত্র ৫৭টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পান, যা আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার নাগরিকদের সমান।
পাসপোর্ট সূচকে গত বছরের মতো এবারও ১৯৩টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সিঙ্গাপুর। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ১৮৯টি দেশে ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে জাপান। পাসপোর্টের ক্ষমতা কেবল একটি ভ্রমণ নথি নয়; এটি একটি দেশের সফট পাওয়ার এবং বৈশ্বিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। একটি দুর্বল পাসপোর্ট নাগরিকদের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যবসা, উচ্চশিক্ষা এবং পেশাগত সুযোগ সীমিত করে। এর ফলে ভিসা খরচ বাড়ে এবং ভ্রমণের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়।
২০১৪ সালে যখন ভারতে প্রথমবার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে তখন ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ ছিল ৫২টি দেশে এবং র্যাঙ্ক ছিল ৭৬তম। এর এক বছর পরই বড় ধাক্কা খায় ভারতীয় ভিসা, অবস্থান একলাফে গিয়ে দাঁড়ায় ৮৫-তে। তবে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে একটু উন্নতি হলেও এবার আবার অবনতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক তীব্র প্রতিযোগিতা এবং কূটনৈতিক দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার ফলে ভারতের পাসপোর্টের সূচক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
মন্তব্য করুন