সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১২ এএম
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মধ্যপ্রাচ্য নীতি পাল্টে দিলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ২০২৫ ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ করেছে। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ শিরোনামের এ নথিতে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটন আর বিদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ বা সরকার পতনের অভিযানে জড়াবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্যকে সংকট নয়, বিনিয়োগের নতুন অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলাই হবে মূল লক্ষ্য।

২৯ পৃষ্ঠার কৌশলগত নথি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, অভিবাসন রোধ, দেশীয় শিল্পভিত্তি রক্ষা এবং প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা। এর পাশাপাশি পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন প্রভাব পুনঃস্থাপনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নতুন কাঠামো

নথিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আর অতীতের মতো ‘অন্তহীন যুদ্ধ’ চালাবে না; তবে কোনো শত্রুভাবাপন্ন শক্তিকে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণের সুযোগও দেবে না। নতুন নীতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যগত গুরুত্ব—বিশেষ করে তেলের ওপর নির্ভরতা—হ্রাস পেয়েছে। এখন অঞ্চলটিকে পারমাণবিক জ্বালানি, এআই, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বিস্তারের জায়গা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সিরিয়া: চারপক্ষীয় সমীকরণ

কৌশলে সিরিয়াকে ‘স্থিতিশীলতার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে শান্তির জন্য চারপক্ষীয় কাঠামো—যুক্তরাষ্ট্র, আরব মিত্র, তুরস্ক ও ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে নথিতে উল্লেখ আছে। ইসরায়েলের সিরিয়ায় হামলা স্থগিতের আহ্বান জানালেও ওয়াশিংটন দামেস্কের নতুন নেতৃত্বকে প্রশংসা করেছে।

ইরাককে গুরুত্বহীন করা

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের অন্যতম বড় ফাইল ছিল ইরাক। কিন্তু নতুন কৌশলে দেশটিকে কার্যত অগ্রাধিকারের বাইরে রাখা হয়েছে, যা ওয়াশিংটনের নীতি পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত।

গালফে নীতি পরিবর্তন

গালফ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে এই ‘চাপের কূটনীতি’ কার্যকর হয়নি। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন অঞ্চলের নেতৃত্বকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে যে কোনো সংস্কার চাপিয়ে না দিয়ে স্থানীয়ভাবে শুরু হলে তাতে সহযোগিতা করবে। তথ্যসূত্র : শাফাক নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায়

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে : বুলবুল

সময়মতো স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার : মাসুদুজ্জামান

‎জকসু নির্বাচন / প্রার্থীদের ডোপটেস্ট আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর

ডিসেম্বরের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার 

সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনের ‎বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা

ডা. আসিবুলের বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না : আদালত

আইজিপির অপসারণ ও বিচার চাইলেন পিন্টুর স্ত্রী

নিবন্ধনহীন নারী রাষ্ট্রের চোখে অদৃশ্য : নারীর অধিকার সুরক্ষায় শতভাগ নিবন্ধন জরুরি

১০

চট্টগ্রামে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে ব্যারিস্টার মীর হেলাল

১১

কালবেলার অনুসন্ধানে ধরা হানিট্র্যাপ চক্র, আটক ২

১২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ নেতাকে শোকজ

১৩

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি

১৪

‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে’

১৫

আরএমপির ১২ থানায় ওসি পদে রদবদল

১৬

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষ

১৭

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আইইবিতে দোয়া মাহফিল

১৮

৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে দুঃসংবাদ দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সোমবার

২০
X