ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী জেমিনা গোল্ডস্মিথ ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন তিনি দুপক্ষেরই মানুষ কারণ তাকে পাকিস্তানে ইহুদিবিদ্বেষের এবং যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে। তিনি এসময় ২০২২ সালে তার স্বামী ইমরান খানের ওপর হামলার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন ইহুদিদের প্রতি সমর্থনের কারণেই এমন হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি একটি মুসলিম দেশে ১০ বছর বসবাস করেছি। আমি গাজাতে এবং পশ্চিম তীরেও গিয়েছি। আমার পরিবারের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাকে ইহুদিত্বের কারণে অজস্রবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার স্বামীর ওপর গুলি চালানো হয়েছে। তার আততায়ীর দাবি অনুযায়ী, ইহুদিদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার জন্য এমন হামলা করা হয়। এদিকে আমার সন্তানরা যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষ এবং পাকিস্তানে ইহুদিবিদ্বেষের শিকার হয়েছে।
উল্লেখ্য জেমিনার দুই ভাই জ্যাক গোল্ডস্মিথ এবং বেন গোল্ডস্মিথ চলমান সংকটে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন। জেমিনা তাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের সঙ্গে প্রকাশ্য কলহে জড়িয়ে পড়েন। তবে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, টুইটারে এসব বাহাসে কোনো লাভ নেই। আমার মুসলিম ও ইহুদি দুই ধর্মের পরিবারই রয়েছে যাদের আমি গভীরভাবে ভালোবাসি।
এদিকে টানা ১১ দিন পেরিয়ে ১২ দিনে পদার্পণ করেছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। এতে ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ফিলিস্তিন। নিহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু হয়েছে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। তবে এত বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য গাজায় ত্রাণ যাচ্ছে মাত্র ২০ ট্রাক। খবর বিবিসির।
চলমান এ যুদ্ধে মানবিক সংকটের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর। দুই দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি মিলে অলোচনার মাধ্যমে রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এ সীমান্ত দিয়ে গাজার ১০ লাখ উদ্বাস্তু লোকের জন্য ২০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, সড়কপথ মেরামতের পর শুক্রবার নাগাদ এ চালান গাজায় পৌঁছাতে পারে। বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে ত্রাণবাহী ট্রাক চলাচলের পথে সড়কের গর্তগুলো ভরাট ও ও মেরামতের কাজ চলছে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে রাফাহ সীমান্ত থেকে গাজায় ট্রাক যেতে আট ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। ফলে শুক্রবার নাগাদ এ সহায়তা গাজায় পৌঁছাতে পারে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রথম চালানে কেবল ২০ টন ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে। এ ছাড়া সীমান্তে সবমিলিয়ে ১৫০টির মতো ট্রাক অপেক্ষামাণ রয়েছে। যদি এগুলো অনুমতি পায় তবে পরবর্তী সময়ে প্রবেশ করতে পারে। এগুলোর প্রবেশ করা অনুমতির ওপর নির্ভরশীল।
মন্তব্য করুন