গাজা উপত্যকায় অভিযানে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আইডিএফ গাজায় অভিযান চালালে পালটা আক্রমণের শিকার হয়ে তিনি নিহত হন।
হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড টেলিগ্রামে জানায়, রোববারের হামলায় আরও তিন সেনা হামলায় আহত হয়েছেন। তারা জানায়, এতে এক ইসরায়েলি আহত হয়েছে। আরেকজন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া আরও দুজন স্বল্প আহত হয়েছেন। গাজার খান ইউনিস অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসী স্থাপনা’ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানায় আইডিএফ।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রোববার জানিয়েছে তাদের একটি ট্যাঙ্ক ভুলক্রমে মিসরীয় একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা করেছে। গাজার সঙ্গে মিসরের সীমান্তে এমন ঘটনা ঘটেছে।
মিসরীয় সামরিক বাহিনী তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে তেমন ক্ষতি হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
মিসরীয় সেনারা হামলার বিষয়ে জানায়, ‘ইসরায়েলি বাহিনী হামলার সঙ্গে সঙ্গেই এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে।’
মিসরীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলায় গাজায় মিসরীয় সাহায্য পাঠানো বন্ধ হবে না। এ পর্যন্ত মিসরের উদ্যোগে গাজায় রাফা সীমান্ত দিয়ে ৩৭ ট্রাক ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এই সীমান্ত প্রায় দুই মাইল দীর্ঘ। উল্লেখ্য, গাজার সঙ্গে শুধু মিসরেরই সীমান্ত রয়েছে।
৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল ও গাজায় সীমান্ত পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
তৃতীয় সপ্তাহে পৌঁছেছে ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধ। এখনো হামাসের হাতে ইসরায়েলি ২১২ নাগরিক বন্দি রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে এসব লোক বন্দি হয়েছেন। এদের মধ্যে মার্কিন নাগরিক মা ও মেয়েকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এ দুই মার্কিনির মুক্তিতে মধ্যস্থতা করা কুয়েতের কর্তৃপক্ষও বাকি দুজনের মুক্তির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মন্তব্য করুন