শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিরল রোগে আক্রান্ত ছিল শিশুটি, নিঃশ্বাস নিতে বিপত্তি

ডেভিড ভেটার (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত
ডেভিড ভেটার (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত

জন্মের পর মাত্র কয়েক সেকেন্ড মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছিল। এরপরই শুরু হয় বাবল বা বুদবুদবন্দি জীবন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই বাবলের ভেতর কেটেছে পুরোটা সময়।

১৯৭১ সালে জন্ম নেওয়া এই শিশুর জীবনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। শুধু ওই শিশুর জন্যই বিশেষভাবে প্লাস্টিকের বাবল তৈরি করা হয়েছিল। ঘরে কিংবা বাইরে- সব জায়গায় এই বাবলেই বন্দি ছিল শিশুটির জীবন। সিবিএস নিউজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন হয়েছে।

সিভিয়ার কম্বাইন্ড ইমিউনোডেভেশিয়েন্সি ডিজিজ বা স্কিড নিয়ে জন্ম হয় ডেভিড ভেটারের। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে রোগপ্রতিরোধের কোনো ক্ষমতা থাকে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এই শিশুটি বেঁচেছিল মাত্র ১২ বছর। তবে পুরোটা সময় তাকে কাটাতে হয়েছে প্লাস্টিকের বুদবুদের ভেতর। এ জন্য পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ডেভিডের নাম দিয়েছিল বয় ইন দ্য বাবল।

হিউসটনের টেক্সাস চিল্ড্রেন্স হসপিটালে জন্ম হয় ডেভিডের। মাত্র ২০ সেকেন্ড মুক্ত বাতাসের স্বাদ পেয়েছে সে। এরপরই একটি প্লাস্টিকের আইসোলেটর বাবলে তাকে রাখা হয়। তবে ডেভিডের জন্মের আগেই ক্যারোল অ্যান ও ডেভিড জে ভেটার দম্পতি তাদের এক ছেলে সন্তান হারিয়েছেন এই রোগে। তাই এই দম্পতিকে চিকিৎসকরা সতর্ক করে দিয়েছিল তাদের পরবর্তী সন্তানও স্কিডে আক্রান্ত হতে পারে।

৬ বছর বয়সে প্রথমবার বাবলের বাইরে দুনিয়ায় পা রাখে ডেভিড। নাসার ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি বিশেষ আইসোলেটর বাবলের কারণে সেটা সম্ভব হয়। ডেভিডের পোশাক দেখতে অনেকটা স্পেসসুটের মতো ছিল। এটা গায়ে দিয়ে সে হাঁটতে এবং বাইরে খেলতে পারত। জটিল এই সুট পরতে মেলা বেগ পোহাতে হতো ডেভিডকে। কিন্তু এই সুটের কারণেই প্রথমবার মা-ছেলে আলিঙ্গন করতে পারে।

ইমিউন ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ম্যাচ হওয়ার বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসার নজির রয়েছে। তবে ১৯৮৩ সালে ডেভিডের বাবা-মা জানতে পারেন, পুরোপুরি ম্যাচ না হলেও বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করে ছেলেকে বাঁচানো যাবে। তাই ডেভিডের বোন ক্যাথরিন ম্যারো দান করে। এর চার মাস পরই লিম্ফোমা ক্যানসারে মারা যান ডেভিড।

বিরল এই স্কিড রোগে শুধু ছেলে শিশুরাই আক্রান্ত হয়। এখন বুদবুদবন্দি ডেভিডের নামেই এই রোগের চিকিৎসা ও গবেষণায় একটি সেন্টার খোলা হয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা পুরো জীবনকাল জীবিত থাকছে। আর এই চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে ডেভিডের রক্তের কোষ থেকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব, যা বললেন ছেলে জয়

শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

১০

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

১১

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

১২

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১৩

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১৪

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১৫

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৬

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৭

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

১৮

বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী : ব্যারিস্টার অসীম

১৯

প্রত্যেক উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

২০
X