কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ১০:১২ এএম
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ১০:২৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কাউন্সিলরের পদত্যাগ, নেপথ্যে কী?

যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস ও সাবিনা আক্তার। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস ও সাবিনা আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে দলটির ডেপুটি লিডার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা আক্তার পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশিদের নিয়ে তার দলের এক নেতার বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেন।

বিবিসির শুক্রবারের (২৮ জুন) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের আগে এক নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেন লেবার পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য স্যার কিয়ার স্টার্মার।

সোমবারের (২৪ জুন) ওই অনুষ্ঠানে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশি অভিভাসীদের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যদি কেউ আসে; তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না।’ এ জন্য তিনি বর্তমান সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।

কিয়ারের এ বক্তব্য ভালোভাবে নেননি বাংলাদেশি অভিবাসীরা। কাউন্সিলর সাবিনা আক্তারও চরম ক্ষুব্ধ হন এবং প্রতিবাদে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে সাবিনা বলেন, ‘দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে আলাদা করে এবং আমার বাংলাদেশী পরিচয়কে অপমান করে তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার এবং লেবার পার্টির একজন গর্বিত সদস্য ছিলাম। আমি সারা জীবন দলকে রক্ষা করেছি এবং এর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এটা স্পষ্ট, আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কাছে এ ধরনের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’

এদিকে স্থানীয় রাজনীতিবিদদেরও তোপের মুখে পড়েছেন কিয়ার। এতে অনেকটা বাধ্য হয়ে ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। তার বক্তব্য ভুলভাবে মানুষের কাছে পৌঁছেছে বলে দাবি করেন।

গত বৃহস্পতিবার স্টাফোর্ডশায়ারে আরেক নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে কিয়ার বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা আমাদের দেশের জন্য অনেক অবদান রেখে চলেছেন। তাদের উদ্বিগ্ন বা আঘাত করার উদ্দেশ্যে আমি কিছু বলিনি। বরং আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে, লেবার পার্টি নির্বাচনে জয়ী হলে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দলের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করব।

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডেইলি সান’ বিতর্ক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল। নির্বাচনের আগে এ ধরনের বিতর্ক যুক্তরাজ্যে বেশ প্রভাবকের কাজ করে। এখানে দেওয়া বক্তব্য দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হিসেবেই ধরে নেন ভোটাররা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সন্দেহ-অবিশ্বাসে দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয় : রিজওয়ানা

পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : রাজউক চেয়ারম্যান

অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ দিচ্ছে স্কয়ার গ্রুপ

এসএমসিতে পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ

দেশে ফের ভূমিকম্প

৪৯১ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ

যুবদল নেতা বহিষ্কার

টেরিটরি সেলস ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ট্রান্সকম

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা 

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১০

প্রাক্তন স্ত্রীকে চমকে দিলেন আমির খান

১১

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের 

১২

বিশ্বকাপে প্রথম পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

১৩

যেসব জেলা রয়েছে ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে

১৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য গ্রুপিং প্রকাশ, বাংলাদেশের গ্রুপে কারা

১৫

দিল্লিতে ভয়াবহ বিপর্যয়, স্কুল-কলেজে নতুন নির্দেশনা

১৬

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে চিকিৎসকের আপত্তিকর ভিডিও, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪ 

১৭

কবে ঘোষণা করা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি জানা গেল

১৮

‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট-২’ নামে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ৬৪

১৯

ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২০
X