কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স ৩ মাস ১৩ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দানবাক্সগুলো থেকে এবার ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৩২৫ টাকা পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্স কমিটির আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে বাক্সগুলো খোলা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৬ মে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৪ মাসে ওই দানবাক্সগুলোতে জমা পড়েছিল ১৯ বস্তা টাকা। দিনভর গণনা শেষে এতে টাকার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। এ ছাড়া জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। দানবাক্সগুলো খুলে ২৩টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য। রাত ৯টা ২০ মিনিটে গণনা শেষে টাকার অঙ্ক জানানো হয়। এবারও দান সিন্দুকের টাকা গণনার সময় অনেক চিঠিপত্র পাওয়া গেছে। সেসব চিঠিতে দাতারা নিজেদের মনের বাসনার কথা লিখে জানিয়েছেন।
টাকা গণনায় মসজিদ-মাদ্রাসার ১৩৮ ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ-মাদ্রাসার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন।
প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানবাক্সগুলোতে টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন।
মন্তব্য করুন