শফিকুল ইসলাম
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫ এএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রাজনীতিকরা বলছেন, থিওরি দিয়ে জীবন চলে না

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

বিভিন্ন ধরনের সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুনভাবে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা এরই মধ্যে কার্যকরও হয়েছে। বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুল্ক-কর বাড়ানোর কারণে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আদায় করা যাবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা সরকারের রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। করের এই অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা মানুষের পকেট থেকে যাবে। এদিকে নতুনভাবে শুল্ক-কর বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলছেন, বর্ধিত করের চাপ আরও জনদুর্ভোগ বাড়াবে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন ঊর্ধ্বমুখী, এত বড় সংকটের মধ্যেও একটা সরকারি নির্দেশে যারা ১০০টি পণ্যের ওপর হঠাৎ করেই কর ও ভ্যাট বাড়িয়ে দিতে পারে, যারা টিসিবির ট্রাকসেল বন্ধ করে নিরন্ন-বুভুক্ষু মানুষের অন্ন জোগানোর পদ্ধতি বন্ধ করে দিতে পারে, বুঝতে হবে যে তারা খুবই থিওরিতে চলে। থিওরির চেয়ে বড় যে প্রাত্যহিক জীবন, সেই জীবন বোঝে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মান্না বলেন, তারা অর্থনীতির ভালো ভালো সংজ্ঞা বোঝে, কিন্তু অর্থনীতি যে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার হিসাব-নিকাশ, সেটা বোঝে না। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বড় কষ্টে আছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ সংস্কারেও আর আস্থা রাখবে না। আমরা সংস্কার চাই, একই সঙ্গে নির্বাচন চাই। যত তাড়াতাড়ি ও যোগ্যতার সঙ্গে সম্ভব সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। ফলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে। এমনিতেই যেখানে জনজীবনে নাভিশ্বাস। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের (স্যান্ডেল) ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে।

রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনো লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এমন এক সময়ে কর বাড়ানো হলো, যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন। এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে এবং নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনগণের নিত্যদুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার—প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে। দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদের সফল দেখতে চায় কি না, মানুষের ক্ষুধা নিবৃতির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরই প্রমাণ করতে হবে।

আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এবিসিসিআই) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ গতকাল কালবেলাকে বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক বলেই সরকার কর বৃদ্ধি করেছে। ফলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এর পেছনের কারণ হলো— বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে সীমাহীন লুটপাট ও বিপুল টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে কর বৃদ্ধিতে আমদানি-রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। গিয়াস আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুণী এবং অভিজ্ঞ মানুষ। কিন্তু সরকার পরিচালনায় দক্ষ নন। এজন্যই অনেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে চাচ্ছে। তবে সেটি হতে দেওয়া ঠিক হবে না। সরকারের উচিত হবে দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে হয় না।

বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়েই চলছে। জনগণের জন্য অপরিহার্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের সংসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তদুপরি শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে জনগণের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আরোপিত শুল্কের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ আরও একদফা বৃদ্ধি পাবে। কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল যে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। কিন্তু সরকার বিষয়টির ওপর নজর রাখেনি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বর্ধিত বাড়তি চাপ তৈরি না হয় সেজন্য অবিলম্বে শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

শতাধিক পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপ ও টিসিবির পণ্য বিক্রয় বন্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। এক বিবৃতিতে দলটির আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবার আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে করে ইন্টারনেট ব্যবহার, এলপি গ্যাসসহ প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

তারা বলেন, মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের অন্যায্য শর্ত পূরণে সরকার জনগণের ওপর নতুন করে এই করের বোঝা চাপিয়েছে। আমরা এই কর বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারি এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। টিসিবির উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় বাড়াতে হবে। সামনে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সরকারি এই ঘোষণা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে কষ্ট দেবে। সরকারের উচিত রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য কর ফাঁকি বন্ধ করা, পাচারকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত আনা, দুর্নীতিবাজদের থেকে উদ্ধারকৃত অর্থ ও সম্পদকে কাজে লাগানো, একাধিক বাড়ি ও গাড়ির ক্ষেত্রে কর পুনর্বিন্যাস করা।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অস্বাভাবিকভাবে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও কর আরোপের সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটা ‘আগুনে ঘি ঢালার’ মতো। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ যখন দিশেহারা তখন এই পদক্ষেপ জনদুর্ভোগ আরও চরমে নিয়ে যাবে। তিনি সরকারের ব্যর্থতার দায়ে মানুষ শাস্তি পেতে পারে না। তিনি আইএমএফের পরামর্শে নেওয়া এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা গতকাল কালবেলাকে বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। কিন্তু আজ পাঁচ মাস হয়ে গেলেও সরকার কিছুই করতে পারেনি। আমি বলব, টালবাহানা না করে অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। নতুনভাবে করের বোঝা মানেই জনগণের ভোগান্তি। এতে করে মানুষের জীবন আরও অতীষ্ট হবে। এমনিতেই গ্যাসের সংকট প্রকট হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। মানুষ কিন্তু ঘরে বসে থাকবে না। এহসানুল হুদা আরও বলেন, মানুষ অক্সফোর্ড আর হার্ভার্ডের সংস্কার বোঝে না। সুতরাং করের হার পুনর্বিন্যাস করতে হবে।

বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম কালবেলাকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাস হলেও তারা কাজের কাজ কিছুই করতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলা, নিত্যপণ্যের বাজার কোথাও শৃঙ্খলা আনতে পারছেন না। এর মধ্যে করের হার বাড়িয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অমানবিক। অবিলম্বে কর বৃদ্ধির হার প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না। কারণ আমাদের মাঠে নামার অভিজ্ঞতা আছে। সুনাম রক্ষা করতে চাইলে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কারও হাতিয়ার হবেন না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়ন বিতরণ ২৪ আগস্ট

টয়লেটে বসে দীর্ঘ সময় কাটান? যে ভয়াবহ রোগের ঝুঁকির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করলেন বাঁধন 

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মেহেরপুরে পৌরসভা ঘেরাও

বিশ্ব মশা দিবস / মশা দমনে সচেতনতাই আনবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা

কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

চার্টার্ড সেক্রেটারি : ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী এক পেশা 

সিজিএসের সংলাপে বক্তারা / রাজউক দুর্নীতিমুক্ত না হলে ঢাকা বাঁচবে না

যাদের নিয়ে উমামার প্যানেল ঘোষণা

বিয়ের পর স্বাস্থ্য ও ভুঁড়ি বাড়ে কেন? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

১০

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে ম্যাচ অফিসিয়াল হিসেবে থাকছেন যারা

১১

ছাগল হত্যার অভিযোগে যুবক কারাগারে

১২

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পে বিশাল নিয়োগ, ৮ম শ্রেণি পাসেও আবেদন

১৩

ড. সরোয়ার ও আসিফ মাহতাবকে হত্যার হুমকি ইস্যুতে হেফাজতের বিবৃতি 

১৪

গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি, গ্রাহকদের যে বার্তা দিল তিতাস

১৫

পাকিস্তানি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক

১৬

আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান

১৭

রহস্যময় ছবির পাশে লেখা ‘আম্মু-আব্বু আমারে মাফ করে দিও’

১৮

এবার এনবিআরের ৩ কর্মকর্তাকে বদলি

১৯

পানি উঠেছে অমিতাভ বচ্চনের বাংলোতে 

২০
X