বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। গতকাল রোববার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশটির এমন মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সারাহ কুক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্বাধীন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তার দলের সঙ্গে আমার এটি প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উৎসাহিত করে। যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে পারে। এ সময় তিনি কোনো প্রশ্ন নেননি।
পরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন বিষয় আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। উনি জানতে চেয়েছিলেন প্রস্তুতি কেমন। উনি অতিরিক্ত যেটা বলেছেন নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়। আলোচনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা উঠে এসেছে জানিয়ে সিইসি বলেন, পর্যবেক্ষকের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, স্বচ্ছতার ওপর জোর দিয়ে থাকব। এজন্য পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমের কাছ থেকে খুব বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করে থাকব। কারণ, নির্বাচনের যে একটি দর্পণ, তা প্রতিফলিত হবে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে। তিনি (সারাহ) বলেছিলেন, গণমাধ্যমের জন্য যে নীতিমালা হয়েছে, সেখানে পারমিশন (অনুমতি) নিয়ে যেতে হবে। আমরা বলেছি, পারমিশন বলে কিছু ছিল না। শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যম থেকে যে দাবিটা আসছে, সেটা হলো মোটরসাইকেলের বিষয়। আমরা বলেছি একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হয় কি না। যারা মাসলম্যান (পেশিশক্তি ব্যবহারকারী) তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সংকট তৈরি করে কি না। একই সঙ্গে বলেছি, গণমাধ্যমের যে দাবি, সেটাও যৌক্তিক। মোটরসাইকেল ছাড়া তাদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড কাভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। সেজন্য বলেছি, এটা আমরা আন্ডার রিভিউ (বিবেচনাধীন) রেখেছি। সেটা আমরা এডিকুয়েটলি (যথাযথভাবে) পরিবর্তন করব।
সিইসি বলেন, সারাহ কুক আশা করেছেন, ইলেকশন যেন পার্টিসিপেটরি (অংশগ্রহণমূলক এবং ক্রেডিবল (গ্রহণযোগ্য) হয়।
বৈঠকে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান ও ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন