বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু নিজ নামে এবং তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামে মাত্র ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকায় ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় ৩০ কাঠা জমি কিনেছিলেন। যার প্রকৃত দাম ছিল ১১০ কোটি টাকা। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, জমির দাম কম দেখিয়ে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানি লন্ডারিং করেছেন আবদুল হাই, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
সোমবার আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে আবদুল হাইসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন তার স্ত্রী শিরিন আক্তার, ভাই শেখ শাহরিয়ার ওরফে পান্না, মেয়ে শেখ রাফা হাই, ছেলে শেখ ছাবিদ হাই ও দলিলদাতা আমিন আহমেদ।
ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার আমিন আহমেদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০১২ সালের আগস্ট মাসে দুটি দলিলে ৩০ কাঠার কিছু বেশি জমি কেনেন শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। পরে আমিনকে তিনি ব্যাংকের ১৩৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৭৮ কোটি ৫০ লাখ এবং নগদ ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। তবে কেনা জমির মূল্য কম দেখিয়ে ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেন আবদুল হাই। এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, জমিটি আবদুল হাই স্ত্রী শিরিন আক্তার, মেয়ে শেখ রাফা হাই ও ছেলে শেখ ছাবিদ হাইয়ের নামে হস্তান্তর করেন। জমি হস্তান্তরে তাদের সহযোগিতা করেন আবদুল হাইয়ের ভাই বিএম কম্পিউটার্স ও ক্রাউন প্রোপার্টিজের মালিক শেখ শাহরিয়ার ও দলিলদাতা আমিন আহমেদ।