সাব্বির আহমেদ
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ এএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্লাটিনামজয়ন্তীতে স্মার্ট আওয়ামী লীগের রূপরেখা

প্লাটিনামজয়ন্তীতে স্মার্ট আওয়ামী লীগের রূপরেখা

পলাশীর আম্রকাননে বাঙালির স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে। তার ঠিক ১৯২ বছর পর বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে একই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় আওয়ামী লীগের অর্জন পৃথিবীর যে কোনো দেশের যে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য ঈর্ষণীয়। তৎকালীন বাস্তবতায় শুরুতে দলটির নামের সঙ্গে ‘মুসলিম’ শব্দটি থাকলেও ২১ অক্টোবর ১৯৫৫ তারিখে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ দলে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ। দলটির নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলার পর দলের নামে আসে আরেক দফা পরিবর্তন। দলটি পায় আজকের নাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২৩ জুন তারিখে দলটির প্রতিষ্ঠা নিছক কাকতলীয় নয়, বাঙালির পরাধীনতার গ্লানি মোচনের প্রত্যয় ছিল ২৩ জুন দলটির জন্মদিন নির্ধারণের মধ্যে।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চকে ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ ঘোষণা, বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায়, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের গোড়াপত্তন, ’৬৬ সালে ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’ ছয় দফা ঘোষণা, ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে আইয়ুব খানের পতন এবং ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচন আদায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়, ’৯০ সালে সেনাশাসনের অবসান, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার এবং জেল অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায়, একাত্তরের ঘাতক-দালাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, অগণতান্ত্রিক কোনো পথে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা—সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যে, দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতার লাল সূর্য এনে দিয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা, আওয়ামী লীগের দীর্ঘতম সময়ের নেতা শেখ হাসিনা বাঙালিকে এনে দিচ্ছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল।

একাত্তরের পরাজয় মানতে পারেনি পাকিস্তান আর তার বিশ্ব মোড়ল মিত্র আমেরিকা। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় এদেশীয় মীরজাফরদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান আর আমেরিকার চক্রান্তে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। আওয়ামী লীগ যাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে জেল অভ্যন্তরে হত্যা করা হয় জাতীর চার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। দীর্ঘ একুশ বছর বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কাউকে তার নামটি পর্যন্ত ঠিকমতো উচ্চারণ করতে দেওয়া হয়নি; আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবার-পরিজনরা পায়নি স্বাভাবিক জীবন। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি জেনারেল জিয়ার নেতৃত্বে আমেরিকা এখানে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের। সর্বোচ্চ আদালত ঘোষিত অবৈধ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবৈধ মন্ত্রিসভা, প্রশাসন, সেনাবাহিনী—সর্বত্র বসানো হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে; হত্যা করা হয়েছে শত শত সেনাসদস্যকে। তারা দেশ চালিয়েছিল পাকিস্তানি আদর্শের ধর্মান্ধতা আর সাম্প্রদায়িকতার নীতিতে; বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ধ্বংস করে চালু করেছিল একনায়কতন্ত্র—জেনারেল জিয়ার সেনাশাসন। আমেরিকা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই থামেনি, জিয়ার মাধ্যমে ধ্বংস করেছিল বাংলাদেশের রাজনীতি। জিয়া প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘মানি ইজ নট এ প্রবলেম’ এবং ‘আই উইল মেক পলিটিকস ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ানস’। জিয়া এমন ঘোষণা দিয়ে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে জেলে পুরেছেন; রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের মাত্র ৫৩ দিনের মধ্যে জেল থেকে বের করে এনেছিলেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত স্বাধীনতাবিরোধী এগারো হাজার ঘাতক-দালালকে। মূলত স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়েই জিয়া গড়ে তুলেছিলেন তার রাজনৈতিক সংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি); সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কয়েকজন বিপথগামী, সুযোগসন্ধানী ও বিভ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা।

আমেরিকা এখানে থামেনি। কবজা করে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, আমদানি-রপ্তানি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটা সমাজতন্ত্রী ধারার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে গড়ে তোলে সম্পূর্ণ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা। জেনারেল জিয়া সামরিক ফরমানে সংবিধান সংশোধন করে মুছে দেয় সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা। জিয়ার ঘোষণা অনুসারে ধ্বংস করা হয় সুস্থ রাজনীতির চর্চা। সদ্য এইচএসসি পাস করা মেধাবী ছাত্রদের হিজবুল বাহার জাহাজে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মগজ ধোলাই প্রক্রিয়ায়। জাহাজ থেকে নামার সময় তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার্য সিল মারা পিস্তল। সন্ত্রাস ঢুকিয়ে তিনি নষ্ট করেছিলেন ছাত্ররাজনীতি। শুরু করা হয় রাজনীতির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, যার ধারাবাহিকতা দেখা যায় এরশাদ আমলেও। আমেরিকার তাঁবেদার সুশীল সমাজ তখন দাবি তোলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার। পরবর্তীকালে বেগম জিয়ার আমলে ছাত্ররাজনীতির শীর্ষে বসানো হয় ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের। সে সময়ে নষ্ট করা ছাত্ররাজনীতি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। রাজনীতি না থাকলে, জনগণের প্রতিনিধি না থাকলে সুবিধা হয় সাম্রাজ্যবাদী আর তাদের তাঁবেদারদের। সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্তে নষ্ট করা রাজনীতিতে সব দলে দেখা দিয়েছে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব।

জেনারেল জিয়ার আরেক অপকর্ম স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িকদের রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এই জামায়াতি সাম্প্রদায়িকরা জিয়া, বেগম জিয়া ও এরশাদ আমলে সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় এবং আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেয়েছে। ২০১৩ সালে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ৭০ হাজার কোটি টাকার স্বাধীনতাবিরোধী, মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অর্থনৈতিক চিত্র। এ অর্থনীতি এখন ফুলেফেঁপে কয়েকগুণ হয়েছে। এই সাম্প্রদায়িকরা পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রচারের নামে মাহফিল করে এবং ঘরে ঘরে গিয়ে অপধর্ম প্রচার করে দেশে মধ্যযুগীয় প্রবণতা এবং সাম্প্রদায়িকতার চাষাবাদ করেছে, যার প্রকাশ এখন সর্বত্র। এরা ক্রমাগত নষ্ট করে দিচ্ছে বাঙালির হাজার বছরের শক্তিশালী ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। জনগণের বড় একটা অংশ এখন ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার। জিয়া এবং তার উত্তরসূরিদের মাধ্যমে আমেরিকা এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তি বাংলাদেশকে মুখাপেক্ষী করে তুলেছে বৈদেশিক সাহায্যের। প্যারিস কনসোর্টিয়ামের ভিক্ষা ছাড়া তারা বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণা করতে পারতেন না। উন্নয়ন বাজেট তো বটেই, রাজস্ব বাজেটের বড় অংশ আসত পশ্চিমাদের দান-খয়রাত থেকে। এ সুযোগে আমেরিকা দেশে ঢুকিয়েছে দুর্নীতির বীজ। জিয়া বিসিকের জমি আর ব্যাংকের ঋণ দিয়ে দলে ভিড়িয়েছেন সারা দেশের টাউট-বাটপারদের।

স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ (মোজাফফর), ন্যাপ (ভাসানী), সদ্য গঠিত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ইত্যাদি। তারা সবাই ছিলেন গণতন্ত্রী ও সমাজতন্ত্রী। সবাই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি। বর্তমানে তার কন্যার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষে থাকা কয়েকটি ছোট ছোট বাম সংগঠনকে বাদ দিলে বড় বড় রাজনৈতিক সংগঠন সব পাকিস্তানি আদর্শের মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার নীতিতে বিশ্বাসী। তারা উদার অর্থনীতির নামে চরম পুঁজিবাদী। বাম সংগঠনগুলোও এখন সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার তাঁবেদারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার রাজনীতির মাঠ অনেক অনেক পঙ্কিল। এর মধ্যেই তিনি শত শত দেশি এবং আন্তর্জাতিক অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বিচার নিশ্চিত করেছেন সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার, জেল হত্যার, একাত্তরের ঘাতক-দালালদের; আনছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা এখনো ফেরত দিচ্ছে না সাজাপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের চাপ ছাড়াও তার সামনে প্রধান দুই চ্যালেঞ্জ—দুর্নীতি ও ধর্মান্ধ রাজনীতি।

ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূলোৎপাটন করতে সমর্থন দরকার লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের। তাদের একটা বড় অংশ আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদীদের ধামাধরা। বড় বড় গণমাধ্যম সাম্রাজ্যবাদীদের প্রচারযন্ত্রের কাজ করে চলছে, যার সুবিধা পায় ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িকরা। এ চক্রের বাইরে যারা আছেন, তারাও নিশ্চুপ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এ ক্ষেত্রে বাকহারা। সামান্য কয়েকজন ব্যতিক্রম ছাড়া, কেউ জোরালোভাবে কথা বলছেন না ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে। বাংলাদেশপন্থি লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের জন্য কথা বলার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতে হবে আওয়ামী লীগকেই।

আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনমতে, জেনারেল জিয়াপত্নী বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ সরকার আমলে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন বিশ্বে ৩১তম দুর্নীতির দেশ। তাদের নিরিখে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের দেশ পরিচালনার সময়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমনে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করলেও দেশের মানুষ এতে সন্তুষ্ট নয়। সম্প্রতি কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক বড় সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির খতিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিস্মিত হয় দেশবাসী। দুর্নীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আওয়ামী লীগকেই। অন্য কোনো দল বাঙালিকে কিছুই দিতে পারেনি, তাদের কাছে বাংলার মানুষ কিছু আশাও করে না। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারের ওয়াচডগগুলোকে তৎপর করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেখানে বেছে বেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দায়িত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রতি সপ্তাহে তাদের কাজকর্মের তদারকি এবং মূল্যায়ন করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আগামী দিনের বাংলাদেশের রূপকল্প এঁকেছেন প্রেক্ষিত পরিকল্পনায়। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে দেশবাসী এখন বিভোর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, অর্থনৈতিক শক্তিতে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে জনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। দেশ থেকে ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা দূর করে এবং দুর্নীতি দমন করে ’৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার আগে দরকার স্মার্ট আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।’ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সব সদস্যকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিক্ষিত করে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সদস্যদের বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দিয়ে দলের অভ্যন্তরে তার চর্চা প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলতে হবে। যোগ্য নেতা ও কর্মী তৈরি না হলে আগামী দিনের নিত্যনতুন প্রযুক্তিচালিত পৃথিবীতে অশুভ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করা সম্ভব হবে না। আওয়ামী লীগের সব স্তরের, সব সংগঠনের নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শানিত করে স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়ে তোলার এখনই সময়। স্মার্ট আওয়ামী লীগই এনে দেবে সুখী, সমৃদ্ধ, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সংস্কৃতিতে উন্নত, পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো স্মার্ট বাংলাদেশ।

লেখক: চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আরও ১৩ এসপির দপ্তর বদল

শীতকালে পেটে গ্যাস হওয়া থেকে বাঁচতে যেসব সবজি এড়িয়ে চলবেন

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হবে’

গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

‘বিএনপি সরকারে এলে ব্যাংক ও বীমা খাতে বড় সংস্কার হবে’  

রাজশাহীর নতুন কমিশনার জিল্লুর রহমান

এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল কবে, যা জানা গেল

বিয়ে নিয়ে ‘চমক’ দেবেন দেব-রুক্মিণী, চলছে পরিকল্পনা

প্রিপেইড মিটারের ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ যা বলছে

ডিআইজি পদে একযোগে ৩৩ জনের পদোন্নতি

১০

আলোচিত ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

১১

কানাডায় নেওয়ার কথা বলে নিল ৩৮ লাখ, নিঃস্ব ২ পরিবার

১২

মার্করামের বিশ্বরেকর্ড, প্রোটিয়াদের কাছে ধবলধোলাই ভারত

১৩

আমার মতো এত বেশি উত্থান-পতন কেউ দেখেনি: জোভান

১৪

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ 

১৫

সহজ, ঝটপট আর দারুণ মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া

১৬

কাঠের সেতুই ২০ গ্রামে স্বস্তির হাসি

১৭

রাবিতে বহুল প্রত্যাশিত ই-কার সেবা চালু

১৮

ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের শক্তিশালী দল ঘোষণা

১৯

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্তকে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা

২০
X