আমরা সবাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে অবগত। এটি একটি মরণঘাতী রোগ, সেও জানি। তারপরও কেন এ রোগ এত বিস্তারলাভ করছে, আমরা কি ভেবে দেখেছি? ভাবনার সময় এখনই। মরণঘাতী এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে, আবার জীবনহানিও হয়েছে। পরিসংখ্যানে এর সংখ্যা কম নয়। এখন আমরা জানি, এ রোগের উৎস সম্পর্কে। এটি একটি মশাবাহিত রোগ, যা আমাদের চারপাশে অবস্থান/ঘোরাফেরা করে এবং আমাদের চোখের সামনেই বংশবিস্তার করে। মশার বংশবিস্তারের স্থানগুলো সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা। আমাদের আরও জানতে হবে, শুধু আমাদের নিজেদের সচেতন হলেই চলবে না, প্রতিবেশীদেরও ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। কেননা, এডিস মশা যদি ডেঙ্গু আক্রান্ত কারও কামড় দিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তিকে কামড় দেয়, তখন সেই ব্যক্তিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এ কারণে নিজের সচেতনতার পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সমন্বিত সচেতনতার ফলেই শুধু ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হলে সময় ও অর্থ নষ্ট হয়, এমনকি জীবনহানিও হতে পারে। আমরা সচেতন হয়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবিলা করতে চাই, অনাকাঙ্ক্ষিত জীবনহানি প্রতিরোধ করতে সচেতনতা অত্যাবশ্যক।
আপনি, আপনার সন্তান, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুরক্ষা করুন এবং সব জায়গায় সব অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচনা করুন। আপনার নিকটস্থ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে পারেন। যেখানে লোকসমাগম বেশি, সেসব স্থানে আলোচনা করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করার সুযোগ আছে। মোট কথা আপনার প্রয়োজনে যেভাবেই হোক, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই আপনি, আমি, আমরা মরণঘাতী ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে পারব।
লেখক: বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট; ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট; লোকাল গভর্নমেন্ট ডিভিশন
মন্তব্য করুন