আমাদের দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভারদের অসতর্কতার কারণে সারা বছর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। আর ঈদ এলে সড়ক দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যায়। অনেক ঘরফেরা যাত্রীর ঘরে ফেরা হয় না। সড়কে তাদের প্রাণ দিতে হয়। ফলে একটি পরিবারে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে নেমে আসে স্বজন হারানোর শোকের ছায়া। দেখতে দেখতে ঈদুল আজহার আর কয়টা দিন বাকি। রাস্তায় ঘরফেরা যাত্রীদের বাড়ছে উপচেপড়া ভিড়। তাই এ ঈদে যেন সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ দিতে না হয়, সেদিকে অবশ্যই সবার লক্ষ রাখতে হবে। আমাদের একটু সাবধানতাই পারে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে আমাদের জীবন রক্ষা করতে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের সর্বস্তরের জনগণকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গণপরিবহন চালানোর সময় একজন গাড়িচালককে নিজ এবং গাড়ির ভেতরে সব যাত্রীর জানমালের কথা চিন্তা করে গাড়ি চালাতে হবে। গাড়ি চালানোর নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে গাড়ি চালাতে হবে। ওভারটেকিং ও অধিক টিপের আসায় মাত্রাতিরিক্ত জোরে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যাত্রীদেরও অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একটু আগে বাড়ি যাওয়ার আসায় গাড়িচালককে পেরেশানি দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, একটু দেরি করে বাড়ি ফেরা হলেও ভালো, কিন্তু লাশ হয়ে যেন বাড়ি ফিরতে না হয়। এ ছাড়া গণপরিবহনের মালিকদের সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে দৃষ্টি দিতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ও দক্ষ লোককে গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
অনেকে শহর-বন্দর থেকে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন। তাই এসব বাইকারদের হেলমেট পরিধান করতে হবে এবং বাইকের অতিরিক্ত গতি যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে গাড়ি চালাতে হবে। এ ছাড়া যাত্রা করার আগে মোটরবাইকের সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, খেয়াল করে নিতে হবে। বাইক দুর্ঘটনা হওয়ার বিশেষ একটা দিন হলো ঈদের দিন। মোটরবাইক দ্রুত ও সহজ বাহন হওয়ায় ঈদের দিন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে কোরবানির মাংস দেওয়ার জন্য অনেকে বাইক নিয়ে ছোটাছুটি করেন আর এ ছোটাছুটির কারণে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। সেইসঙ্গে ঈদে ট্রাফিক পুলিশদেরও দায়িত্বের প্রতি আরও দৃঢ় হতে হবে। যদি এভাবে আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করি, তাহলে এ ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।
শেখ আব্দুল্লাহ, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা কলেজ
মন্তব্য করুন