মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৪ এএম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ক্ষমতাসীন-ক্ষমতাহীনে জাসদ-মুসলিম লীগের গন্ধ

ক্ষমতাসীন-ক্ষমতাহীনে জাসদ-মুসলিম লীগের গন্ধ

হরতাল-অবরোধ মাড়িয়ে এখন অসহযোগের জার্নিতে বিএনপি। ব্যাপারটা মোটেই এমন নয় যে, গত ১৫ বছর তারা সরকারকে সহযোগিতা করেছে। তফাত এতটুকুই, মনের অসহযোগিতার কথা বিএনপি এখন মুখ খুলে ঘোষণা দিয়েছে। অসহযোগ আন্দোলন এ দেশের রাজনীতিতে নতুন উপাদান নয়। যেমন—নতুন নয় হরতাল-ঘেরাও-অবরোধও। কিন্তু এসব রাজনৈতিক অস্ত্র বিশেষ করে হরতাল-অবরোধ ভোঁতা হয়ে গেছে সেই কবেই। বিএনপি এগুলোর ধার-ভার নষ্ট করে আরেকটু বেশি ভোঁতা করেছে।

অবরোধের নামে বিএনপি ও তার মিত্রদের সাম্প্রতিক তৎপরতা আন্দোলনের মাঠে কোনো কাজে আসবে না—সেই সনদ দিচ্ছেন জাসদ নেতারা, যারা একসময় ছিলেন আগুন-সন্ত্রাস, সহিংসতা, অন্তর্ঘাত ও নৈরাজ্যের পুরোধা। বিএনপি সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বাভাবিক পথ ছেড়ে সন্ত্রাসবাদী শক্তিতে পরিণত হয়েছে, এমন মূল্যায়নও জাসদ নেতাদের। আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে জন্ম নেওয়া জাসদ বঙ্গবন্ধুকে মানসিকভাবে হত্যা করেছে তার তৈরি করা সদ্য স্বাধীন দেশে। সেই জাসদেরই এই বিএনপিকে সবক দেওয়া। বিএনপির জন্য এটি ট্র্যাজেডি না মশকরা, তা ভালো বোঝেন দলটির নেতাকর্মীরাই।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিণতির উদাহরণ হিসেবে মুসলিম লীগ আর জাসদ অন্যতম। ন্যাপের নামও চলে আসে এ তালিকায়। বিএনপি দিনে দিনে মুসলিম লীগের ভাগ্যবরণ করতে পারে বলে বদদোয়া আছে দলটির প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ থেকে। বছর দশেক পর বিএনপির নাম-নিশানা থাকবে না বলে অভিশাপও আছে আওয়ামী লীগ থেকে। মুসলিম লীগের কথা বলা হলেও আদতে বিএনপির মধ্যে জাসদের ছায়া পড়তে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীনরা বিএনপিকে সেই পথে ঠেলে দিতে পেরেছে বলেও মূল্যায়ন আছে। রাজনীতিতে শেষ কথা থাকে না। রাজনীতির বিশ্লেষণেও শেষ থাকে না। একসময় মানে বিএনপি আমলে আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে বিরোধী দলেও জায়গা পাবে না বলে তাচ্ছিল্য ছিল। ২০০১-এর পর তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বেশ কবারই বলেছিলেন। ঘটনা ঘটেছে উল্টো। শুধু ক্ষমতায় নয়, টানা তিনবারের পর এখন চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার রথে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি সংসদেও নেই, রাজপথের আন্দোলনেও মাঠে মরা অবস্থায়। ক্ষমতাসীনরা পারে না বিএনপিকে রাজনীতিতে আনফিট এবং নির্বাচনে নিবন্ধনহীন করে দেয়। বিএনপি আওয়ামী লীগকে এমনটি করতে না চাইলেও ইয়ার্কি-মশকরা করেছে। তবে একসময় মুসলিম লীগ চেয়েছে আওয়ামী লীগকে বিনাশ করতে। বঙ্গবন্ধুকে দুষ্কৃতকারী-পান্ডাসহ নানা বাজে শব্দে সম্বোধন করত তারা। আওয়ামী লীগকে তাচ্ছিল্য করত গরিব-ছোটলোক-মূর্খের দল বলে। দলটির কেউ পড়াশোনা জানেন বা কারোর সামাজিক ভ্যালু থাকতে পারে বলে স্বীকার করতে নারাজ ছিলেন মুসলিম লীগ নেতারা।

দেশ স্বাধীনের পর ঘটনাপ্রবাহে জন্ম নেওয়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদকে পেয়েছিল অস্বাভাবিক পথে ক্ষমতা দখলের মোহে। তারা শুধু বৈজ্ঞানিক তন্ত্রই কায়েম করতে চায়নি, দেশে কেবল নিজেদেরই মেধাবী ভাবত। মুসলিম লীগের মানসিকতায় আওয়ামী লীগকে ভাবত মূর্খের দল। সেই জাসদের অনেকের ঠিকানা আজ আওয়ামী লীগে। কোনোমতে, আওয়ামী লীগের ধারেকাছে থাকতে পারাই এখন তাদের ইহজনমের পরম শান্তি-স্বস্তির। অহমিকার ছিলছিলা আজকের আওয়ামী লীগের মধ্যেও সংক্রমিত। অথচ শুধু বাংলাদেশের নয়, উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল উর্দু (আওয়াম)-ইংরেজিতে (লীগ) মেলানো নাম আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ আন্দোলন ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি মুক্তিযুদ্ধের লেগাসি ও বঙ্গবন্ধুর ঠিকঠিকানা কদ্দূর রাখছে, তা বেশ আলোচিত-সমালোচিত। আগের মতো এখন জনগণের ওপর নির্ভর করছে না বা তাদের তা লাগছে না। গোটা দেশকে নিজেদের ভাবা, বাদবাকিদের তাচ্ছিল্য করার মুসলিম লীগ-বিএনপির রোগ তাদেরও আচ্ছা মতো পেয়ে বসেছে। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা বা দেখানো আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখলে অনেকে ভাবতে পারেন না, দলটির আজকের নেতারা কত বিত্তবান। যেখানে একসময় ছিল চিত্তের শক্তি, যা ঢেকে গেছে বিত্তের শক্তিতে।

১৯৪৭ সালের পর সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনাগত পরিবর্তন হয় পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশে। এর আগে, ১৯৩০ ও ১৯৪০-এর দশকের তরুণ ছাত্র যুবক শ্রেণি যারা স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখে রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল, তাদের খুব অল্পসংখ্যক কমিউনিস্ট পার্টিতে ও কংগ্রেসে এবং ব্যাপকসংখ্যক যোগ দেয় মুসলিম লীগে। কেননা, ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে বাংলায় বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম ও মওলানা ভাসানী। তাদের বিশেষত সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের উদার রাজনৈতিক মনোভাব এবং তার প্রতিফলনে বাঙালি মুসলমান তরুণ ছাত্র, যুবক ব্যাপকভাবে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। একদা পাকিস্তান আন্দোলনে যেসব নেতা ও ব্যক্তি নিজের জীবন যৌবন বিসর্জন দিয়ে সংগ্রাম করেছে তারাই নিজেদের আবিষ্কার করেছে স্বাধীন পাকিস্তানে পরাধীনরূপে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের অল্পদিনের মধ্যেই পূর্ব বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভেতরে ঘটে তুমুল রাজনৈতিক পরিবর্তন। মুসলিম লীগের সমর্থক প্রগতিশীল ছাত্ররা রাজনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করে ছাত্রলীগ। যে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনটি কোনো অভিভাবক ছাড়াই নিজেরা পরিচালিত হয় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রদান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। আগেকার মুসলিম লীগ দখল করে জমিদার ও সামন্ত শ্রেণির ক্ষমতালোভী গোষ্ঠীটি। ১৯৪৯ সালে প্রতিক্রিয়াশীল মুসলিম লীগ পরিত্যাগ করে গঠন হয় আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে মুসলিম লীগসহ অন্যরা পাকিস্তান আমলেই তাদের জীবিত সত্তা হারিয়ে ফেলে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ঘটনা পরিক্রমায় ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনেই ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ছয় দফা এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সফল নেতৃত্বদানের ধারাবাহিকতায় পূর্ব পাকিস্তানের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয় আওয়ামী লীগ। নানাবিধ সমস্যার মধ্য দিয়েই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ভেতরের সব বাঙালি শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ। জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধ ও এ দেশের জনতা। স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীনদের নেতৃত্বের বিরোধ থেকে জন্ম নেয় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের তকমাধারী জাসদ। যেখানে সমাজতন্ত্র নিজেই বিজ্ঞান সেখানে ‘বৈজ্ঞানিক’ শব্দটি জুড়ে দিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও তারা অনেকটাই সংগঠিত হতে থাকে। স্বাধীন বাংলাদেশে গোপন রাজনৈতিক খেলা শুরু সেখান থেকেই। একঝাঁক তরুণ মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে গঠিত জাসদের ভেতরে গোপনে আশ্রয় ও প্রশ্রয় পেতে থাকে স্বাধীনতাবিরোধী বিভিন্ন দলের নিষিদ্ধরা। জাসদও তাদের কাছে নিয়ে নিজেদের কালিমার মাত্রা আরও তীব্র করে। আর ঘটাতে থাকে রক্তের হোলি উৎসব। এর জেরে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে। হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বীরদের।

হালের বিএনপিও কি সেই পথ ধরেছে? আন্দোলন-সংগ্রামে তারা আওয়ামী লীগের কাছে শিশু শ্রেণির ছাত্র। আবার জাসদের তেজ বা পারফরম্যান্সের কাছেও নস্যি। এরপরও আন্দোলনের মাঠে আওয়ামী লীগের পাঠ নেওয়ার চেষ্টা। হরতাল-অবরোধ, মানি না-মানি নার চর্চা। ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনের ডামি শো। প্রকৃত অর্থেই বিএনপি রাজনীতিতে অবস্থান হারাতে বসেছে, নাকি ‘চাপ সৃষ্টি’র মাধ্যমে দলটিকে নির্বাচনে কোণঠাসা করে ফেলা হচ্ছে—এ প্রশ্ন আছে। জনপ্রিয়তা হারিয়ে এক সময়ের প্রভাবশালী মুসলিম লীগের রাজনীতির মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার মাঝে বিএনপির জন্য অনেক পঠন রয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্যও কম নয়। কে ভবিষ্যতে মুসলিম লীগের পরিণতি ভোগ করে এখনই বলা না গেলেও কিছু গন্ধ অনুভব করেন এখনো জীবিত থাকা রাজনীতির ঘা খাওয়ারা। সাধারণ মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মুসলিম লীগ বিকল্প নেতৃত্ব তালাশ করেও পায়নি। মওলানা ভাসানীর আওয়ামী মুসলিম লীগ বা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক লীগ নেতৃত্বে সক্ষম হলেও মানুষ গ্রহণ করেনি। মানুষ ক্রমেই চুম্বকের মতো ছুটেছে মুজিবের দিকে। আজকের আওয়ামী লীগের জন্য সেখানে পাঠ আছে, পঠনও আছে। আর বিএনপির জন্য রয়েছে কঠিন বার্তা। কয়েক বছর ধরেই বিএনপির শীর্ষ থেকে প্রান্তিক নেতারা তিক্ত অভিজ্ঞতায় তিতা হয়ে পড়েছেন। নেতাদের অনেকেরই ঠিকানা এখন জেলখানা। প্রায় দিনই নানা মামলার রায়ে বাকিরাও জেলমুখী। ২০১৩ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নেমে সেই ব্যর্থতার সিরিজ এখনো টানতে হচ্ছে। তা টানতে গিয়ে জাসদ কিসিমের গোপন সংগঠনের ছায়া ভর করেছে দলটিতে। আবার মুসলিম লীগের নমুনাও বিদ্যমান। বিএনপিকে পথে নিতে পারার মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা’—এ তিনটি শব্দে গাঁথা ক্ষমতাসীনদের জন্যও শুভ সংবাদ হতে পারে না। যেনতেনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা এখনকার বড় সাফল্য। এতে নীতি, নৈতিকতা, আদর্শ হয়ে গেছে আপেক্ষিক। তার ওপর বিনা ভোট-রাতের ভোটের কলঙ্ক ভাত-ভোটের আন্দোলনে ঐতিহ্যগাথা দলটির বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে দম্ভের চরম চর্চার দুর্গন্ধও।

লেখক: ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে চেলসির বড় জয়

নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা

কেইনের হ্যাটট্রিকে লেইপজিগকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

১০

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

১১

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

১২

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১৩

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১৪

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১৫

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৬

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

১৭

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১৮

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১৯

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

২০
X