হঠাৎ নেমে আসা মুষলধারার বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সবাই যখন দৌড়ে ড্রেসিংরুমে, ঠিক তখনই বাইরের সিঁড়িতে বসে হতাশায় কাঁদছিলেন চাঁদপুরের গনি আদর্শ বিদ্যালয়ের ক্রিকেটার রজত কুমার দাস।
ওপেনিংয়ে অতিরিক্ত ডট বল খেলেছিলেন, দলের রানও হয়েছে কম। বৃষ্টি আইনে খেলা না হলে নিশ্চিত হার, এমন সমীকরণ দেখেই হতাশ হয়ে পড়েন রজত। হয়েছেও তাই। এমন হার মানতে পারেননি তিনি, যে মাঠে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষকে ৮৮ রানে আটকে দিয়েছিল তারা, সে মাঠে এমন হার ছুঁয়ে গেছে পুরো দলকেই। তবু অধিনায়ক সালমান জাহান নিয়াজির সেরা ব্যাটার ও টুর্নামেন্টসেরা হওয়াটাই যেন তাদের একমাত্র সান্ত্বনা।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে ৩ উইকেটে জিতেছে দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়। দিনাজপুরের হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান এবারই প্রথম স্কুল ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। আগে ব্যাটিং করে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় চাঁদপুরের দলটি। রান তাড়ায় ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১০২ রান তোলে দিনাজপুর।
বৃষ্টি আইনেই চার রানে এগিয়ে ছিল তারা। বৃষ্টি থামার পর ৪০ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৮ রান, ৩০.৪ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে দিনাজপুর। চার ব্যাটারকে ফিরিয়ে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত হারই সঙ্গী হলো চাঁদপুরের। ৭০ বলে ২৪ রান, সঙ্গে ক্যাচমিস ও রানআউট মিলিয়ে এক হতাশার ফাইনাল হয়ে রইল রজতের। এমন এক ম্যাচের স্মৃতি ভুলে যেতে চাইবেন নিশ্চয়ই এ ওপেনার।
ম্যাচে দিনাজপুর এগিয়ে ছিল বৃষ্টির সময়ই। ২০ ওভারের খেলা চলছিল তখন। ৯৩ রান করা দিনাজপুর বৃষ্টি আইনে তখনো ৫ রান পিছিয়ে। ৪ উইকেট নিয়ে চাঁদপুরকে আটকে দেওয়া ম্যাচসেরা হওয়া আইনুল ইসলাম তখন ক্রিজে। পরপর দুই বাউন্ডারিতে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
বৃষ্টি নামার পর দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা তো বলেই দিলেন, ‘এবার জোরে বৃষ্টি হোক সমস্যা নেই।’ জোরে বৃষ্টি হয়ে থেমেও ছিল, ম্যাচও হয়েছে ১০ ওভারের বেশি। তবে শিরোপা নিশ্চিত করতে সমস্যা হয়নি দিনাজপুরের দলটির।
মন্তব্য করুন