লেবাননের কাছে হেরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জটিল করে তোলা বাংলাদেশ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারানো লাল-সবুজদের সমীকরণ সহজ— জিতলেই সেমিফাইনাল। এ অবস্থায় ভুটানের বিপক্ষে ইতিবাচক খেলতে চায় হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। ‘কোচ চান বিল্ড আপ, পজিশনভিত্তিক এবং পাল্টা আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলাতে। এ নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। যদি আমরা বেশি সময় বল পায়ে রাখতে পারি, তাহলে বেশি আক্রমণের সুযোগ পাব’— ম্যাচের আগে বলছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
তরুণদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করলেন দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, ‘তরুণরা ভালো করছেন। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে আমরা ইতিবাচক ফুটবল খেলছি। আমি মনে করি আমরা সবাই উজাড় করে খেলতে পারলে দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’
মালদ্বীপকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসী হলেও পা জমিনেই রাখতে চান জামাল ভূঁইয়া, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নই। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভালো নয়। লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচের শেষদিকে আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হতে গিয়ে হেরেছি। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছিলাম, দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের মধ্যে পাসিং ফুটবল খেলছিলাম। প্রতিপক্ষের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। আমরা সেটা দেখাতে চাই।’
ভুটান ম্যাচের আগে উইঙ্গার ইব্রাহিম বলেছেন, ‘মালদ্বীপ জয়ের পর কোচ বলেছেন, পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা অনেক বছর ধরে সেমিফাইনালে যেতে পারছি না। এখনো আমরা বলতে পারছি না যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত। আগে আমাদের জয় নিশ্চিত করতে হবে, এরপর আমরা সেলিব্রেশন করব।’ বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলে গেছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আসার পর থেকেই এমন হয়েছে। লেবানন ম্যাচে ৮০ মিনিটে গিয়ে গোল হজম করে হারটা ফুটবলারদের অনেক আঘাত দিয়েছে। তাদের মনে হয়েছে, আমরাও তো লেবাননকে হারাতে পারতাম। সে উপলব্ধি থেকেই কিন্তু তারা সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেলেছে। মালদ্বীপ কিন্তু আমাদের প্লেয়ারদের এ আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণে তাদের খেলাটা খেলতে পারেনি। আমরা এটা ধরে রাখতে চাই।’
মন্তব্য করুন