ইসলামী বক্তা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নুরুল ইসলাম ফারুকী নিজ বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় ফারুকীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে ফয়সাল ফারুকী মামলা করেন। আলোচিত এ হত্যা মামলার ৯ বছর পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, সার্বিক তদন্ত শেষ হয়েছে। শিগগিরিই এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে। এতে এ হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ সুপার কাশেম খান কালবেলাকে বলেন, বিচারের জন্য সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। মামলার গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট পর্যালোচনা শেষ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরিই আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মামলায় পর এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন হাদিসুর রহমান সাগর, আবু রায়হান, আব্দুল গফ্ফার, মিঠু প্রধান, খোরশেদ আলম, রিয়াজ ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিঠু, কাজী মো. ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, বাপ্পী মিয়া, আব্দুল্লাহ আল তাসনিম, রাইসুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ, তরিকুল ইসলাম, আলেক ব্যাপারী, মোস্তফা আহমেদ ও মোজাফ্ফর হোসেন ওরফে সাঈদ।
এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফারুকীর বাসায় কলিংবেল চাপে দুর্বৃত্তরা। দরজা খুললে দুজন বাসায় প্রবেশ করে তার সঙ্গে ড্রয়িং রুমে বসে। কিছুক্ষণ পর আরও ৬ থেকে ৭ জন বাসায় ঢোকে। বসার স্থান সংকুলান না হওয়ায় ফয়সালের মামাতো ভাই মারুফ হোসেন ভেতর থেকে চেয়ার আনতে যান। ফিরে এসে দেখেন ফারুকীর মাথায় পিস্তল ও চাপাতি ধরে রেখেছে আসামিরা। পরে তারা বাসার সবাইকে বেঁধে ফারুকীকে হত্যা করে। আসামিরা বাসা থেকে টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও ক্যামেরা নিয়ে যায়।
ফয়সাল ফারুকী বলেন, ৯ বছর হলো বাবা খুন হয়েছেন; কিন্তু তদন্ত শেষ হচ্ছে না। আমরা হতাশ ও ব্যথিত তবুও আশায় আছি। সিআইডি তদন্ত করে যাচ্ছে। এর একটা সুরাহা হবে।
মন্তব্য করুন