ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষ থেকে গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এখনো নিখোঁজ আরও তিনজন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফায়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার হওয়া হৃদয়ের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর এলাকায়। দীর্ঘদিন সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে গ্রিজার পদে কর্মরত।
নিখোঁজ জাহাজের মাস্টার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রুহুল আমিন খান, সুপারভাইজার চাঁদপুর সদরের বাসিন্দা মাসুদুল আলম বেল্লাল ও চালক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সরোয়ার হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সুগন্ধা নদীর পাড়ে তেলের ডিপোতে খালাস করা জন্য ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে আসে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটি। নোঙর করা অবস্থায় গত শনিবার দুপুরে বিস্ফোরিত হয়ে পুরো জাহাজে আগুন ধরে যায়। এতে চারজন দগ্ধ হন। নিখোঁজ হন আরও চারজন। নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা যৌথভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
দগ্ধদের প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল এবং পরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে বিস্ফোরণের শিকার জাহাজটি থেকে গত শনিবার পুরো রাত যৌথভাবে তেল অপসারণের কাজ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড। এরই মধ্যে ৬ লাখ লিটার তেল অপসারণ হয়েছে।
পেছনের অংশে বিস্ফোরণের কারণে তলা ফেটে জাহাজটি ধীরে ধীরে নিমজ্জিত হচ্ছিল। দ্রুত তেল অপসারণ করায় কিছুটা ভেসে ওঠে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির ঝালকাঠি ডিপো সুপার হোসেন আহম্মেদ জানান, নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে অত্যাধুনিক ল্যামোর সংযুক্ত বোট দিয়ে কাজ করেছে কোস্টগার্ড।
চার দিন আগে জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠিতে আসে। কিন্তু কোরবানির ছুটির কারণে ডিপোতে সরবরাহ করতে পারেনি।
মন্তব্য করুন