অনাবৃষ্টি ও টানা খরায় তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে নওগাঁর পোরশা উপজেলার কৃষকদের বোরো ধানের ক্ষেত। টানা খরার কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ধানের শিষ হলুদ ও লালচে বর্ণ হয়ে যাচ্ছে। পানির সংকটে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে চাষকৃত বোরো ধানের জমিও।
কয়েকদিনের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকায় পোরশা উপজেলায় ধানে হিটশকের শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে বোরো আবাদে কাঙ্ক্ষিত ফলন না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে চাষাবাদে ব্যয় করা অর্থ ওঠার চেয়ে লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবং খরায় ধানের এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। এতে বোরো ধানের ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
চক বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষক ওহেদুর আলী জানান, একদিকে বৃষ্টি নেই অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে সময়মতো সেচ দিতে পারছেন না তারা। এজন্য ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। সময়মতো বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান তিনি। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান উৎপাদন কম হবে এবং তাদের খরচ উঠবে না বলে মনে করেন এই কৃষক। একই কথা নিতপুর মাস্টারপাড়া কৃষক তসলীম ও শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক ইসরাফিলের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ সময় খালবিলের পানি শুকিয়ে বোরো ফসলে এ সংকট দেখা দিয়েছে। তবে লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে তিনি উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, বোরো ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যেও ফসল ভালো রাখার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।