বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) বন্ধ বস্ত্রকলগুলো চালুর জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করলেও তাতে সাড়া মিলছে না। এ কারণে শিগগিরই পাটকলগুলো চালু করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় পুনরায় দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে পাটকলগুলো চালুর স্বার্থে পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) শর্ত শিথিল করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি টেক্সটাইল জোন এলাকায় টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আনোয়ারুল আশরাফ খান, আব্দুল মমিন মণ্ডল, মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, রাগেবুল আহসান, মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এবং মাসুদা সিদ্দীক বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় বন্ধ থাকা বিটিএমসির ১৬টি কল পিপিপির ভিত্তিতে পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ফেনীতে অবস্থিত দোস্ত টেক্সটাইল মিলস চালুর জন্য পরপর তিনবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই এ পর্যায়ে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আবার দরপত্র আহ্বান করা হবে। মাগুরা টেক্সটাইল মিলস চালুর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
সংসদীয় কমিটিকে মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ১৬টি বস্ত্রকলের মধ্যে ঢাকার আহমেদ বাওয়ানী টেক্সটাইল মিল হস্তান্তরের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। গাজীপুরে কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের জমি ওরিয়ন-কাদেরিয়া টেক্সটাইলস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা বিভাগের অনুমোদন পেলে শিগগির চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত আর আর টেক্সটাইলস মিলস ও রাজশাহী টেক্সটাইলস মিলস চালু করতে বেসরকারি অংশীদারের সঙ্গে চুক্তি সই হবে। এ দুটি কলের চুক্তি সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
এর বাইরে ৮টি মিল পুনরায় চালু করার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। এগুলোর বিষয়ে পরে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। আর টাঙ্গাইল কটন মিলস চালু করার কার্যক্রম মামলার কারণে বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে বিটিএমসির বন্ধ মিলের সংখ্যা ২৫টি। এর মধ্যে ২০টি মিল ইজারা ভিত্তিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আবার চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে ১৪টি মিলের লিজচুক্তি হয়েছে।