কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ এএম
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

তিব্বতে বিশ্বের বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি

রয়টার্সের প্রতিবেদন
তিব্বতে বিশ্বের বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি
ছবি: সংগৃহিত

তিব্বতের পূর্ব সীমান্তে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণের এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই খবর জানা গেছে।

পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্প অব চায়নার ২০২০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইয়ারলুং ঝাংবো নদীর নিম্নাঞ্চলে এই বাঁধটি নির্মিত হবে। এই প্রকল্প থেকে বছরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধটিও চীনে অবস্থিত। দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত থ্রি গোর্গেস ড্যামের বার্ষিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৮৮ দশমিক ২ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। অর্থাৎ, নতুন প্রকল্পের ক্ষমতা হতে পারে এর প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেশি। থ্রি গোর্গেস ড্যামের চেয়ে এই প্রকল্পের ব্যয়ও অনেক বেশি। কারিগরি খরচসহ সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ১৪ লাখ লোককে পুনর্বাসন ব্যয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বুধবার চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে চীনের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রকৌশলের মতো বাঁধ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাত ও তিব্বতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রাকৃতিক কারণে ইয়ারলুং ঝাংবো নদী নতুন প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের জন্য যে স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে মাত্র ৫০ কিলোমিটার গতিপথের মধ্যে ২ হাজার মিটারের বেশি গভীরতায় নদীটির পানি পতিত হয়। ফলে এখানকার স্থিতিশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরের বিপুল সম্ভাবনার পাশাপাশি অসংখ্য কারিগরি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এই প্রকল্পের কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষের সম্ভাব্য সংখ্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বাস্তুসংস্থান এই তিব্বত উপত্যকায় প্রস্তাবিত বাঁধের পরিবেশগত প্রভাব নিয়েও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

অবশ্য চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, প্রস্তাবিত প্রকল্পে পরিবেশ বা ভাটির পানি প্রবাহে মারাত্মক কোনো প্রভাব পড়বে না। আঞ্চলিক বাস্তুসংস্থানের নকশা পাল্টে দেওয়া ও ভাটির দিকে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশ ও ভারতের দিক থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। তিব্বতের সীমানার বাইরে এই ইয়ারলুং ঝাংবো নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। এটি ভারতের অরুণাচল ও আসাম প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তারপর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাই চীনের এ নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশ ও ভারতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ে যা জানা জরুরি

বিপাকে স্বরা ভাস্কর

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মাঝ আকাশে নগ্ন অবস্থায় ধরা বিমানবালা

মরদেহ দাফনের পর জীবিত ফিরে এলো রবিউল!

সারাক্ষণ চার্জার প্লাগে রাখেন? জানে নিন কী হতে পারে

এশিয়া কাপে ভারতের একাদশ কেমন হবে, জানালেন তারকা ক্রিকেটার

বায়ুদূষণের শীর্ষে দুবাই, ঢাকার অবস্থান কত

মৌদিকে আদর্শগত শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করলেন বিজয়

কেবিন ক্রুদের আসল কাজ কী

১০

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১১

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বড় সুখবর দিল সরকার

১২

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে এবার আইপিএলে কাজ করা অ্যানালিস্ট

১৩

আমরা লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে : নেতানিয়াহু

১৪

৩ প্যাকেট কাঁচা নুডলস খেয়ে ১৩ বছরের কিশোরের করুণ পরিণতি

১৫

তিস্তার বন্যায় কৃষকের স্বপ্ন ভাসছে অনিশ্চয়তার অথৈ জলে

১৬

ব্যাংকিং টিপস / ব্যাংকের সুদের হার ও চার্জ সম্পর্কে সচেতন থাকুন

১৭

শতভাগ লুটপাটমুক্ত দল জামায়াতে ইসলামী : ড. মোবারক

১৮

মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে এসে মারা গেলেন ছেলেও

১৯

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

২০
X