

দিনের শেষে যখন আপনি ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরেন, তখন নিশ্চয়ই চান ঘরটা হোক শান্ত, পরিষ্কার এবং আরামদায়ক। এমন একটা ঘর যেখানে নেই তেলাপোকার দৌরাত্ম্য, নেই পিঁপড়ের সারি, নেই মশার ঝাঁক বা বিরক্তিকর বাজে গন্ধ।
কিন্তু ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার রাখা বা প্রতিটি কোণ খেয়াল করা সবসময় সহজ হয় না। তাছাড়া বাজারে যেসব কেমিক্যালযুক্ত স্প্রে বা পেস্ট কিলার পাওয়া যায়, সেগুলো অনেক সময় ক্ষতিকর এবং দামেও বেশি।
কিন্তু সুখবর হলো - আপনার ঘরের কাছেই রয়েছে অসংখ্য প্রাকৃতিক উপাদান, যেগুলো খুব সহজেই ঘরকে রাখতে পারে পরিষ্কার, পোকামাকড়মুক্ত এবং সতেজ। লেবু, লবঙ্গ, তুলসী, নিমপাতা, পুদিনা - এই সাধারণ জিনিসগুলোই ঘর পরিষ্কারে হতে পারে আপনার নিঃশব্দ সহকারী। এগুলো সস্তা, নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং ব্যবহার করাও খুব সহজ।
আজ চলুন দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু ম্যাজিক টিপস, যেগুলো খুবই সহজ এবং ঝামেলাহীন।
লবঙ্গ–লেবুর জাদু
একটি লেবু কেটে তাতে লবঙ্গ গেঁথে ঘরে রাখলে মশা-মাছি আর আসে না। একই সাথে ঘরে ছড়ায় দারুণ ফ্রেশ গন্ধ।
তুলসী গাছ
তুলসী গাছ মশা ও পিঁপড়ে দূরে রাখে এবং বাতাসও বিশুদ্ধ করে।
নিমপাতার ধোঁয়া
শুকনো নিমপাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া দিলে মশা, মাছি, ছারপোকা সব পালায়। এটা প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে।
বেকিং সোডা ও লবণ
রান্নাঘরের কোণায় ছিটিয়ে দিলেই পিঁপড়ে ও তেলাপোকা আসে না।
পুদিনার পানি
পুদিনা পাতা ফুটানো পানি স্প্রে করলে তেলাপোকা ও মশা কমে যায়।
সাদা ভিনেগার
জানালা-টেবিল ভিনেগার দিয়ে মুছলে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়, মাছিও আসে না।
কর্পূর
জ্বালিয়ে ঘরে রাখলে মশা-মাছি দূর হয় এবং ঘর থাকে সতেজ।
বোরিক পাউডার
পিঁপড়ের পথে ছিটিয়ে দিন—পিঁপড়ে পুরোপুরি চলে যাবে।
- আলমারিতে তেজপাতা রাখুন—পোকা ধরবে না।
- সাবানের পানি তেলাপোকার ওপর স্প্রে করলে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়।
- কফির গুঁড়ো পিঁপড়ে-মাছি দূর করে।
- দারুচিনি গুঁড়ো পিঁপড়ে তাড়ায়।
- শুকনো লেবুর খোসা তেলাপোকা কমায়।
- সাবান ও লেবুর পানি গাছের পোকা দূর করে।
- লবণ পানি স্প্রে বাথরুমের ফাঙ্গাস কমায়।
- পেঁয়াজের রস মশা দূরে রাখে।
- আদার পানি মেঝে পরিষ্কার ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করে।
- বালিশের নিচে শুকনো নিমপাতা রাখলে ছারপোকা থাকে না।
- চালের ড্রামে শুকনো মরিচ দিলে পোকা ধরে না।
- ঘর নিয়মিত খোলা রাখলে সূর্যের আলোতেই অনেক পোকামাকড় দূর হয়ে যায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর পরিষ্কার রাখলে শুধু পোকামাকড়ই দূর হয় না, ঘরের পরিবেশও বদলে যায়। আপনি যে টিপসগুলো সুবিধাজনক মনে করেন, সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন। দেখবেন আপনার ঘর ঝকঝকে, সুগন্ধি আর স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে খুব সহজেই!
মন্তব্য করুন