

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ কথা নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল, গণভোট ও ভোটের আগে-পরে নানা বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, চলতি সপ্তাহেই তপশিল ঘোষণা করা হবে। আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুইজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তপশিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে, না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় তিনি বলেন, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে ব্যালট ছাপানো হবে প্রবাসী ভোটারদের জন্য। ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। ইসির প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক ও পোস্ট অফিস খোলা থাকবে।
অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে গণভোট হবে।
সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করা হয়। কিন্তু সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইদিনে হওয়ায় ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, শুরু থেকে ইসির প্রস্তুতি ছিল শুধু সংসদ নির্বাচনের। সে হিসেবে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসি আগামী নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এখন সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একইসঙ্গে গণভোটও হবে। একজন ভোটারকে দুটি করে ভোট দিতে হবে। এতে ভোট দিতে সময় বেশি লাগবে।
এ জন্য ভোটকেন্দ্র বা ভোটকক্ষ বাড়াতে হবে কি না, তা বুঝতে সম্প্রতি রাজধানীর একটি ভোটকেন্দ্রে মক ভোটিংয়ের আয়োজন করেছিল ইসি। ওই মক ভোটের প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনায় ইসি বলেছে, প্রতিটি ভোটকক্ষে একটির জায়গায় দুটি করে গোপন কক্ষ (যেখানে গিয়ে ভোটার ব্যালট পেপারে সিল দেন) স্থাপন করা হলে ভোটকেন্দ্র বাড়াতে হবে না।
মন্তব্য করুন