আসামের অন্যতম আলোচিত কেন্দ্র হলো ধুবরি। বাঙালি অধ্যুষিত এই অঞ্চলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ১০ লাখেরও বেশি ভোটে হেরেছেন এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল। টানা তিনবার জয়ী বদরুদ্দিনের চতুর্থবার জয়ের আশায় পানি ঢেলে দিল ধুবরিবাসী। এই আসনে এবার জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী রাকিবুল হোসেন। খবর এই সময়ের।
একসময় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা বদরুদ্দিন বিতর্কিত মন্তব্য করে বরাবর খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মেরূকরণের রাজনীতির অভিযোগে সরব ছিল বিজেপিও। ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটে জোটবদ্ধ হয়ে লড়লেও ভোটে হারের পর বদরুদ্দিনের দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে কংগ্রেস। তার পরও এবারের লোকসভা ভোটে বদরুদ্দিন কংগ্রেসের ‘বন্ধুতা’ চেয়েছিলেন বলে সেখানকার রাজনীতিবিদদের দাবি। তবে শুরু থেকেই তার বিষয়ে নিমরাজি ছিল কংগ্রেস। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই এআইইউডিএফ একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কিন্তু সবকটিতেই হেরেছে তারা।
২০০৯ সাল থেকে ধুবরি বদরুদ্দিন আজমলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। নিজেকে বাঙালি মুসলিমদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা বদরুদ্দিন এবার নির্বাচনে ধরাশায়ী হবেন—এমনটা আগেই আঁচ করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে তিনি ১০ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারবেন—এটি কেউ কল্পনাও করেনি।
৭ মে তৃতীয় দফার নির্বাচনে আসামের ধুবরি কেন্দ্রে পড়েছে রেকর্ড ভোট। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, এই আসনে ২৬ দশমিক ৬ লাখ ভোটারের মধ্যে ২৪ দশমিক ৫ লাখ ভোট পড়েছে। শতাংশের হিসাবে যা ৯২ দশমিক শূন্য ৮। তখনই বোঝা গিয়েছিল এবার পরিবর্তন আসতে চলেছে। গত মঙ্গলবার ভোটের ফল ঘোষণার পর তা স্পষ্ট হলো।
এদিকে দীর্ঘদিন বাঙালি মুসলিমদের ভোট পেয়ে আসা এই আসনে কংগ্রেস গত কয়েকবারের নির্বাচনে বেশ পর্যুদস্ত হয়েছিল। অনেকের মতে, এর নেপথ্যে কারণ বদরুদ্দিন আজমল। এবার নিজের পুরোনো আসন ফিরে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস।