শিয়ালের দুটি ছেলে হাবি আর জাবি
বুনোপথে হেঁটে যেতে ভয়ে খায় খাবি।
বাতাসের ঝাপটায় বাজে তালপাতা
ওরা ভাবে, এলো দানো, গিলে খাবে মাথা।
দুজনে গুটিয়ে লেজ দৌড়ায় আর
বাঁচাও বাঁচাও বলে দেয় চিৎকার।
আষাঢ়ে ডোবার জলে ডাকে যদি ব্যাঙ
হাবি-জাবি কাঁদে ভয়ে, আরও কাঁপে ঠ্যাং।
হঠাৎ বিষ্টি এলে টাপুর টুপুর
ওরা বলে, ওই বাজে ভূতের নূপুর!
রংধনু দেখলেই আকাশের গায়
বুক করে ধড়ফড়, প্রাণ যায় যায়!
কীভাবে আনবে ধরে মুরগি-ছাগল
কিচ্ছু বোঝে না যেন বদ্ধপাগল।
মা-বাবায় এনে দিলে তবে খেতে পায়
খিদে পেলে কখনোবা বাসিপচা খায়।
পেটের পীড়ায় ভোগে তাই মাঝে মাঝে
শিয়ালের ছেলেদের এগুলো কি সাজে?
শিয়ালেরা চিরকাল চালাকের রাজা
হাতি বাঘ সিংহকে দিতে পারে সাজা।
কিন্তু হাবি ও জাবি ভীতু বোকারাম
রাখবে কেমন করে বংশের নাম?
এই নিয়ে মা-বাবার শুধু ভাবাভাবি
কীভাবে চালাক হবে হাবি আর জাবি?
ডাক্তার-কবিরাজ খুঁজে হয়রান
সারা বন ঘুরে শেষে পেল সন্ধান
এক যে শিয়াল বুড়ো মহাকবিরাজ
বলল, ওষুধ খেলে হয়ে যাবে কাজ।
শিকড়বাকড় ছেঁচে রস দিল খেতে
‘সব ভয় নিশ্চয়ই কেটে যাবে এতে।’
নিয়মকানুন আরও দিল কিছু দিয়ে
খেলাধুলা করে যেন রোজ মাঠে গিয়ে।
সাহসী জন্তু যারা আছে বনে বনে
তাদের জীবনকথা রাখে যেন মনে।
আর শুধু নিয়মিত ইশকুলে যাক
বাড়বে সাহস-জ্ঞান, হবেই চালাক।
মন্তব্য করুন