

ঢাকাই সিনেমার গর্জিয়াস হিরোইন ইয়ামিন হক ববি। বেশ ফ্যাশনিস্তা তিনি। রূপ ও সাজের বাহারে যে কোনো জমকালো আয়োজনের সবটুকু আলো নিজের দিকে শুষে নেওয়ার দক্ষতা রয়েছে তার। সম্প্রতি ফ্যাশন নিয়ে নিজ ভাবনা কালবেলার সঙ্গে ভাগ করেছেন এই তারকা।
শাড়ির প্রতি ভীষণ দুর্বলতা রয়েছে নায়িকার। তবে পরতে বেশ সময় লাগে বলে সবসময় সব অনুষ্ঠানে শাড়ি পরে যাওয়া হয় না। ববি বলেন, শাড়ি পরতে অনেক প্রিপারেশন লাগে। মানসিকভাবেও প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই শুটিং কিংবা কোনো প্রোগ্রাম ছাড়া শাড়ি পরা হয় না। অনেকে বলে শাড়িতে আমাকে খুব ভালো লাগে। তবে শাড়ি কমই পরি। জামদানি পছন্দ করি খুব। আমার ওয়ার্ডরোবে অনেক জামদানি শাড়ি রয়েছে।
নিয়মিত পরিধেয়র ক্ষেত্রে জিন্স, টি-শার্ট ও ফতুয়াই পছন্দ এই নায়িকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের পোশাকে ছবি পোস্ট করে হরহামেশাই ভক্তদের নজর কাড়েন ‘বিজলি’খ্যাত নায়িকা।
ব্র্যান্ডের পোশাক-পরিচ্ছদের প্রতি শৈশব থেকেই ঝোঁক রয়েছে ববির। তবে ব্র্যান্ডের বাইরে যে বেরোন না, তা কিন্তু নয়। বললেন, নন-ব্র্যান্ড ইউজ করি মাঝেমধ্যে। পোশাকে আরামের পাশাপাশি সৌন্দর্যটাও খুঁজে ফেরেন এই নায়িকা। তার মতে, ড্রেসের বেলায় কমফোর্ট ও গুড লুকিং—দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। ববি বলেন, আমি বিশ্বাস করি কমফোর্টেবল না হলে গুড লুকিংয়ের পোশাকে খুব অস্বস্তি লাগে। একটি ড্রেস প্রোপারলি প্রেজেন্ট করতে কমফোর্ট ফিল করাটা জরুরি। নইলে ওই পোশাকে আমাকে সুন্দর
লাগবে না।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গর্জিয়াস সাজে তাকে দেখেছেন ভক্তরা। দেশি-বিদেশি নানা ব্র্যান্ড শোভা পেয়েছে তার সাজে। যদিও পরিধেয়র ব্র্যান্ড বা দাম বাতলে দিতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না ববি। বললেন, আমি প্রমিস করেছি ড্রেস নিয়ে শো-অফ করব না। এটা করলে মা ও বোন খুব বকা দেয় আমাকে। শো-অফটা পছন্দ করি না। প্রাইস বলা, ব্র্যান্ড দেখানো—এগুলোতে আমার খুব আনইজি লাগে।
ববি শপিং সারেন দেশ-বিদেশ উভয় জায়গা থেকেই। বললেন, দেশেও শপিং করি। দেশের বাইরে গেলে একসঙ্গে অনেক কিছু কিনে নিয়ে আসি। অস্ট্রেলিয়া থেকে বেশি শপিং করা হয়। আমার দুই বোন ও মা ওখানে থাকে। সেখানে গেলে অনেক শপিং করি। ইন্ডিয়া থেকেও শপিং করা হয়। থাইল্যান্ড থেকেও কিনি। রাফ ইউজ করার জন্য থাই জিন্স ও টি-শার্ট তো বেস্ট। ভারী কিছু পোশাক পার্টিতে পরার জন্য হলে দেশ থেকেও কিনি।
এক পোশাক বারবার পরতে দ্বিধা নেই ববির। ‘নোলক’র নায়িকা বললেন, কোনো পোশাক কয়েকবার রিপিট করা খুব বেশি খারাপ নয়। পোশাক ওয়েস্টেজ করা উচিতও না। স্টাইল চেঞ্জ করেও তো পরা যায়।
ডায়মন্ডেও আগ্রহ আছে নায়িকা ববির। ববির ভাষ্য, ডায়মন্ড পরলে মেয়েদের খুব সুন্দর লাগে। হীরাখচিত একটি ঘড়ির সঙ্গে জুড়ে আছে তার আবেগ। সেটি গিফট করেছেন তার বাবা। সাত বছর ধরে ওই ঘড়িটিই হাতে আগলে রেখেছেন তিনি। খোঁজ দ্য সার্চ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক ববির। একে একে রাজত্ব, ওয়ান ওয়ে, অ্যাকশন জেসমিন, আই ডোন্ট কেয়ার, হিরো দ্য সুপারস্টারসহ অসংখ্য সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। গত ঈদে ববির অভিনীত ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমাটি মুক্তি পায়।