একটা সময় প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলেই দেখা যেত মডেল ও অভিনেত্রী ইশানা খানকে। অভিনয় করতে করতেই একসময় পরিচয় হয় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার সাররিফ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনিও যখন দেশে আসতেন তখনো টুকটাক নাটকে অভিনয় করতেন। ইশানার সঙ্গেই সাররিফ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। এভাবেই পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রণয়—তারপর বিয়ে। ভালোবেসে দুজন দুজনার হয়ে গেলেন ২০১৯ সালের ১০ জুলাই।
একসময় ইশানা পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে একটি স্টুডেন্ট মাইগ্রেশনবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে তার চাকরিও হয়। এরই মধ্যে ইশানার কোলজুড়ে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। নাম রাখেন সায়েশান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি পুত্র সন্তানের মা হন।
ইশানা বলেন, ‘আপাতত আমি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছি। অফিস থেকে আসার পর সাররিফও আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করে। সত্যি বলতে কী মাতৃত্বের স্বাদটা ভীষণ উপভোগ করছি, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি অর্থাৎ অ্যাপোলো ইন্টারন্যাশনালের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে মাতৃত্বকালীন ছুটিটা অনায়াসে উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছে। সেইসঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা যে, তিনি আমাকে সুস্থ সন্তান দান করেছেন। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ রাখেন, আমি আমরা যেন তাকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি। তবে এবার অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছা রয়েছে। কারণ দেশের বাইরেও আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেহেতু আমি একজন মডেল অভিনেত্রী। তাই এ প্ল্যাটফর্মে আবারও নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছা আছে।’
ইশানা অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘সেই রকম বাকি খোর’, ‘ভ্রমর’, ‘ফেরা’, ‘ফোকাল পয়েন্ট’, ‘ছুটে চলা’, ‘অন্য নাটকের গল্প’, ‘মাইকিং’, ‘ড্রিম অব লাইফ’, ‘নীল দেয়াল’, ‘লাভার বয়’, ‘বোকা প্রেম’, ‘মতি মিয়ার কীর্তি’, ‘রক্ত ছায়া’, ‘ভালোবাসার শেষ’ উপখ্যানসহ বেশকিছু দর্শকপ্রিয় নাটক।