ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। নাটক, বিজ্ঞাপন নিয়ে গোটা বছর শুটিং শিডিউল থাকে তার। নির্মাতাদের কাছেও নাদিয়ার চাহিদা বেশি। বর্তমানে এ অভিনেত্রীর হাতে চার-পাঁচটির মতো ধারাবাহিক নাটক রয়েছে, যেগুলো প্রচার হবে টেলিভিশনে। বর্তমানে এসব নাটকের শুটিংয়ে ঢাকার বাইরে আছেন তিনি।
নাদিয়া বলেন, ‘বর্তমানে দেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলের নাটকের শুটিংয়ে ঢাকার বাইরে আছি। শিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিনই শুটিং থাকে। বেশ ভালোই ব্যস্ততা যাচ্ছে। আবার ধারাবাহিকের শিডিউল শেষ হলে কিছু প্যাকেজ নাটক থাকে, যেগুলোর কাজ একদিনই সম্পন্ন হয়ে যায়। তাই দর্শকদের ভালোবাসায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো ব্যস্ততা যাচ্ছে।’
এ সময় নাদিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়, মাঝে শুটিং বন্ধ রেখেছিলেন কি না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার শুটিং কখনোই বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। কারণ ধারাবাহিকের শুটিং বন্ধ রাখলে প্রচার বিড়ম্বনা হতো। তাই টুকটাক করে শুটিং চলছিল।’
সম্প্রতি এ অভিনেত্রীর ‘একটি খোলা জানালা’ শিরোনামে নতুন একটি ওয়েব ফিল্ম ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে। যেটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ। এতে একজন নার্সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে নাদিয়াকে। নিজের চরিত্রের প্রস্তুতি নিয়ে নাদিয়া বলেন, “নতুন নতুন চরিত্রে কাজ করতে আমি সবসময়ই ভালোবাসি। তেমনই একটি চরিত্রে অভিনয় করলাম ‘একটি খোলা জানালা’ ওয়েব সিরিজে। এখানে আমি একজন নার্সের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে চরিত্রে আমি আগে কখনো অভিনয় করিনি। তাই নিজেকে প্রফেশনাল নার্সদের মতো উপস্থাপনার জন্য হলিউড মুভি ও সিরিজের অংশবিশেষ দেখেছি। এরপর একা একা বাসায় অনুশীলন করতাম। যত সময় পর্যন্ত নিজে সন্তুষ্ট না হয়েছি, তত সময় পর্যন্ত অনুশীলন করেছি। যার ফল হিসেবে দর্শকদের ভালোবাসা পাচ্ছি।”
এর আগে ভিকি জাহেদের ‘রেডরাম’ ওয়েব ফিল্মে কাজ করতে দেখা যায় নাদিয়াকে। তবে ওটিটিতে সেভাবে নিয়মিত নন তিনি। ভবিষ্যতে এ প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত হতে চান কি না, জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘ওটিটির গল্পগুলো একটু আলাদা হয়। আমি গল্প প্রাধান্য দিয়ে এখন কাজ করছি। তাই এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করলে নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপনের সুযোগ থাকে বেশি। ভালো কাজ পেলে অবশ্যই নিয়মিত কাজ করব।’
ভিকি জাহেদের ‘একটি খোলা জানালা’ ওয়েব ফিল্মে সালহা খানম নাদিয়া ছাড়া আরও একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।