অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ব্যক্তিজীবনে বরাবরই লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। নিজের অধিকার বাস্তবায়নে একচুলও ছাড় দেন না পর্দার এই ‘রেহানা’। মিথ্যার আশ্রয় নিতে অপছন্দ করেন তিনি। তাই সত্যের সঙ্গেই থাকেন এবং কথা বলেন সোজাসাপ্টা।
এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা সানী সানোয়ার পরিচালিত সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। এতে প্রথমবারের মতো একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। সিনেমার প্রচারণায় ‘কালবেলা’য় এসে শেয়ার করেন নিজের কাজের অভিজ্ঞতা ও কিছু ব্যক্তিগত গল্প। আলাপের শুরুতেই এ অভিনেত্রী খোলামেলা কথা বলেন তার প্রেম ও বিয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে। জানান, বিয়ের আগে প্রেমে জড়ালে পরিবার থেকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তাকে। বিয়ের পর কী ঘটেছিল, সেটিও শেয়ার করেন তিনি।
পরে বাঁধন মুখ খোলেন ব্যক্তিগত জীবনে পাওয়া অপ্রীতিকর ও বাজে প্রস্তাব নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শুধু মিডিয়ায় নয়, সবক্ষেত্রেই এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন আমার সন্তানের অ্যাডভোকেটের পক্ষ থেকেও আমি বাজে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয়। তবে এখন আর এসব নিয়ে ভাবি না, কারণ আমি জানি কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়।’ এমন স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়ার জন্য আগেও আলোচনায় এসেছেন বাঁধন। তার বিশ্বাস, স্বচ্ছতাই মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি। অভিনয়ে বরাবরই সিরিয়াস বাঁধন। কাজকে হৃদয় দিয়ে ধারণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই পরিশ্রমী এবং কাজের ক্ষেত্রে শতভাগ নিখুঁত হতে চাই। ভালো না লাগলে কোনো কাজই করি না। ভার্সেটাইল গল্পে অভিনয় করতে ভালো লাগে। কারণ নতুনত্ব না থাকলে সেই কাজ করে কোনো আনন্দ নেই।’ ‘এশা মার্ডার: কর্মফলে’র পর বাঁধনের আরও একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। নাম ‘মাস্টার’; পরিচালনায় রয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। সিনেমাটি চলতি বছরই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’-এ বাঁধনের পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, নিবিড় আদনান, হাসনাত রিপন, সরকার রওনক রিপন, শিল্পী সরকার অপু, এ কে আজাদ সেতু, ইশিকা সাকিন ও সৈয়দ এজাজ আহমেদ।
মন্তব্য করুন