তারাবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০২:১৬ এএম
আপডেট : ২৯ মে ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

চিরসবুজ হুমায়ুন ফরীদি

চিরসবুজ হুমায়ুন ফরীদি

ছিলেন জাত অভিনেতা। করেছেন দাপটের সঙ্গে অভিনয়। রাঙিয়েছেন মঞ্চ ও রুপালি পর্দায় নায়ক ও খলনায়ক হয়ে। তার রক্তেই মিশে ছিল অভিনয়ের সব দর্শন, যা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি সহকর্মী ও দর্শকের। টানা তিন দশক নিজের অভিনয়ের জাদুতে বুঁদ করে রেখেছিলেন সবাইকে। তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন দেশের অভিনয় জগতের চিরসবুজ নন্দিত অভিনেতা প্রয়াত হুমায়ুন ফরীদি। আজ তার জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে ফরীদি ছিলেন দ্বিতীয়।

শিক্ষা অঙ্গনেও মেধার প্রভাব রেখেছেন তিনি। ১৯৭০ সালে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জৈব রসায়ন বিভাগে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্থগিত হয়ে যায় তার পড়াশোনা। স্বাধীনতার পর অর্থনীতি বিষয়ে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেধার স্বাক্ষর রাখেন প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলেও।

ছাত্র থাকাকালে হুমায়ুন ফরীদি নাট্য সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৪ সালে প্রথম কিশোরগঞ্জে মহল্লার মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। টিভি নাটকে প্রথম অভিনয় করেন ‘নিখোঁজ সংবাদ’ শিরোনামের নাটকে। ফরীদির প্রথম অভিনয় করা সিনেমার নাম ‘হুলিয়া’।

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র—এ মাধ্যমেই সমানতালে তিন দশক আলো ছড়িয়ে হয়ে উঠেছিলেন দেশের শোবিজের অন্যতম সেরা অভিনেতা।

যেখানেই তিনি অভিনয় করেছেন, সেখানেই পরশ পাথরের মতো আলো ছড়িয়েছেন। নায়ক-খলনায়ক দুই চরিত্রেই ছিলেন সাবলীল। মঞ্চ দিয়ে অভিনয়ে এলেও নাটকে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল।

ফরীদি অভিনীত জনপ্রিয় টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’, ‘বকুলপুর কতদূর’, ‘মহুয়ার মন’, ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’, ‘একদিন হঠাৎ’, ‘চানমিয়ার নেগেটিভ পজিটিভ’, ‘অযাত্রা’, ‘পাথর সময়’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’, ‘সংশপ্তক’, ‘কোথাও কেউ নেই’ ইত্যাদি।

নব্বই দশকের শুরুর দিকে তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফরীদির। এরপর একে একে অভিনয় করেন ‘সন্ত্রাস’, ‘দিনমজুর’, ‘বীরপুরুষ’ ও ‘লড়াকু’ সিনেমায় খলচরিত্রে। ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। এ ছাড়া নৃত্যকলা ও অভিনয় শিল্পের জন্য ২০১৮ সালের একুশে পদক (মরণোত্তর) লাভ করেছিলেন এই অভিনেতা।

২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন বাংলা সিনেমার এই কিংবদন্তি। তিনি চলে গেলেও অভিনয়ে এখনো দর্শকের হৃদয়ে বেঁচে আছেন। তাইতো অভিনেতার জন্মদিনে এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্মরণ করছেন ভক্ত ও সহকর্মীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাশিয়ার তেল কেনায় ভারত শাস্তি পেল, চীন পেল না কেন?

সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সারওয়ার আলম

টিউমারের ভারে থমকে আছে শিশু মুকাব্বিরের দুরন্তপনা

১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নিখোঁজ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা উদ্ধার

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত মাহবুবুল আনামের

চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

এবার কোথায় বসবেন তারা

খাবার প্লেটের আকারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কী সম্পর্ক রয়েছে

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৫ বাংলাদেশি

১০

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

১১

বিপিএল খেলা তারকা ক্রিকেটার প্রথমবার নাম লেখালেন সিপিএলে

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

১৩

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১৪

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

১৫

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

১৬

সিপিএলে ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও জয় পেয়েছে দল

১৭

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির প্রতিবাদে মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৮

লুটের ২ শতাংশ পাথরও উদ্ধার হয়নি

১৯

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অবস্থান

২০
X