বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৫ এএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

থানায় ঘুরে বেড়ান আসামি, পুলিশ বলছে জানি না

থানা চত্বরে আসামি আব্দুর রশিদ। ছবি : সংগৃহীত
থানা চত্বরে আসামি আব্দুর রশিদ। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে বিস্ফোরক মামলার আসামি হয়েও থানার ভেতরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কখনো মিলিত হচ্ছেন চা চক্রে। তারপরও তিনি অধরা। এমএ রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের চারাবাই এলাকার বাসিন্দা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তিনি সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন চৌহাট্টা পয়েন্ট এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সেদিনকার হামলায় আন্দোলনকারীদের অনেকেই আহত হয়েছিলেন।

এ ঘটনায় বর্তমানে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় বসবাসরত হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে একটি মামলা করেন।

মামলার শীর্ষ আসামিদের তালিকায় রয়েছেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন, সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমানসহ ৭৭ জন নামোল্লেখ। অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জন আছেন। জেলা যুবলীগ নেতা এমএ রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ ওই মামলার ৪৪ নম্বর আসামি।

জানা গেছে, বিস্ফোরক মামলার আসামি হয়েও শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার থানায় প্রবেশ করেন এমএ রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ করতে দেখা যায় তাকে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় জয়নাল উদ্দিন নামে এক সহযোগীসহ বিয়ানীবাজার থানার ডিউটি অফিসারের রুমে তাকে দেখা যায়।

তবে মামলার আসামি হয়েও অবাধে থানায় প্রবেশ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছবেদ আলী বলেন, আমি কিছুই জানি না।

জানতে চাইলে মুঠোফোনে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফ উজ্জামান প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, ‘কে বিস্ফোরক মামলার আসামি? আমি চিনি না ভাই। ছবি থাকলে পাঠান?’

এদিকে, এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত ও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ শাফী মাহমুদ রাসেল মুঠোফোনে জানান, ‘মো. রাজন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলাটি করেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।’

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অন্য আরেকটি থানায় যাতায়াত করছেন কীভাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

০২ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

টিকাটুলিতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

বিয়ের প্রলোভনে ‘ধর্ষণ’, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করতে যান ছাত্রদল নেতা, অতঃপর...

ছাত্রীদের হলে পুরুষ স্টাফ দিয়ে তল্লাশি

দাম কমলো ইন্টারনেটের

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভাবার অনুরোধ তারেক রহমানের

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জুলাই নিয়ে পুলিশ সদস্যের ‘আপত্তিকর’ পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

১০

শাহজালালে বোয়িং বিমানে লাগেজ ট্রলির আঘাত

১১

আখতারকে রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

১২

মধ্যরাতে বরখাস্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার

১৩

‘একসঙ্গে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারব না’

১৪

জুলাই যোদ্ধার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম ২ জায়গায়

১৫

বিএনপির অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

১৬

রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে লায়ন্স ক্লাবের খাবার বিতরণ

১৭

জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় / নির্বাচনী জোট গঠনে একমত

১৮

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসার সুপার কারাগারে

১৯

তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে জুলাই আন্দোলন সফল হতো না : মুরাদ

২০
X