পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না মোকলেছার রহমান (৩২) নামের এক যুবকের। বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে গলাকাটা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের ধনমন্ডল ঢাকাইয়া পাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে মরদেহটি দেখতে পান নিহতের চাচি মোকসেদা বেগম।
নিহত মোকলেছার একই এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের একমাত্র ছেলে। স্থানীয় খোঁচাবাড়ি বাজারে একটি কসমেটিকসের দোকান চালাতেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ ঘিরে তদন্ত শুরু করে এবং আলামত সংগ্রহ করে। সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দুপুর দেড়টায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে হেফাজতে নেয়।
নিহতের বাবা মো. শাহাবুদ্দিন জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে মোকলেছার তার সন্তানকে দোকানে রেখে বাসায় ফেরে এবং পাশের বাড়ির একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খেতে যায়। এরপর সে আর দোকানে যায়নি বা বাসায় ফেরেনি। ভোরবেলায় পুত্রবধূ জানায়, সেই রাতে মোকলেছার বাড়ি আসেনি এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
তিনি দাবি করে বলেন, হত্যাকাণ্ডটি মোকলেছারের বন্ধুদের মাধ্যমেই ঘটেছে বলে সন্দেহ করছি।
মোকলেছারের স্ত্রী বলেন, বিকেল ৪টার দিকে আমার স্বামী দোকানে যায়। রাত ৮টার সময় আমি তাকে ফোন করে কিছু বাসার খরচ আনতে বলি। এরপর রাত ১১টা পর্যন্ত সে বাসায় না ফেরায় আমি বারবার ফোন করি, কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ পাই। পরে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে এক চাচি বাইরে মরদেহ পড়ে আছে বলে চিৎকার করলে গিয়ে দেখি এই অবস্থা।
চাচি মোকসেদা বেগম বলেন, আমি সকালবেলা ছাগল বাঁধতে সুপারি বাগানে যাই। তখন দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় সে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার কালবেলাকে বলেন, ঘটনাস্থলে সিআইডি ও পিবিআইয়ের দুটি দল রয়েছে এবং আলামত সংগ্রহ করছে। আলামত সংগ্রহ শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন