পিরোজপুরের নেছারাবাদে ক্লাসে পড়া দিতে না পারায় সাইদুল ইসলাম (৯) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ফেলে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. নুরুন্নবী বিরুদ্ধে। তিনি আল-কারীম ইসলামিয়া ক্যাডেট হিফজ মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও উপজেলার পশ্চিম সোহাগদল গ্রামের মো. সাদেক হোসেনের ছেলে।
শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিচার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুটির দাদা মো. আব্দুস সালাম।
আহত শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলামের দিনমজুর বাবা মো. মোস্তাকিন বিল্লাহ কালবেলাকে জানান, গত ৫ জুন ক্লাসে পড়া নেওয়ার সময় আমার ছেলে সাইদুল ইসলামকে পড়া জিজ্ঞাসা করলে মুখস্থ বলতে পারেনি। তাই ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. নুরুন্নবী ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেঞ্চের ওপর ফেলে দিলে তার ডান হাতের দুটি হাড় ভেঙে যায়। ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের কাউকে জানাননি এবং কোনো চিকিৎসাও করেনি। এখন দিনমজুর বাবা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তিনি ছেলের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার চান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, আহত শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলামের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ছেলেটির ডান হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। শুনেছি টাকার অভাবে ওর চিকিৎসা হচ্ছে না। এভাবে ছোট শিশুটির সঙ্গে শিক্ষকের আচরণ করা ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. নুরুন্নবীকে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার সুপার মো. হাফেজ হোসাইন আহমদ কালবেলাকে বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। আমি ঘটনার সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলাম না। ওই ছেলেটার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বরিশালের দিকে যাচ্ছি। তবে তাকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন