হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় বাসচালকের পর এবার অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৬ জুন) রাত ১২টার দিকে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার জালালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাব্বিরকে প্রধান এবং লিটনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। বাসচালক সাব্বির মিয়াকে (২৭) নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছ, ভুক্তভোগী তরুণী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও তিনি ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। রোববার ঢাকা থেকে দাদার বাড়ি বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে বের হয়ে প্রথমে বিলাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। ঘুমিয়ে পড়ায় শায়েস্তাগঞ্জে নামতে না পেরে বাসটি শেরপুরে চলে যায়। শেরপুরে থেকে ফের ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামক বাসে করে নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচংয়ের পথে রওনা দেন তিনি। যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রী নামা-ওঠার পর বাসটি ফাঁকা হয়ে যায়। শেরপুর এলাকায় পৌঁছালে বাসে একা থাকেন ওই তরুণী। এ সুযোগে প্রথমে হেলপার লিটন ও পরে চালক সাব্বির পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরে আউশকান্দি এলাকায় তার চিৎকারে স্থানীয়রা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়। নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় স্থানীয়রা বাসচালক সাব্বিরকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে এবং তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং থানায় আটক আসামির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর খোঁজখবর নেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণী বর্তমানে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
র্যাব জানিয়েছে, অভিযুক্ত লিটনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মন্তব্য করুন