১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম মহানগর শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া। এরপর ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে থানা থেকে মহানগর ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় দলের প্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাজ্জাদ ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-যোগাযোগ সম্পাদক। এজন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে চারটি মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় তাকে।
অথচ ৩৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সমালোচিত হওয়ার মতো কোনো কর্মকাণ্ডে কখনোই জড়ায়নি তার নাম। বরং শিক্ষাগত যোগ্যতা, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং দলের প্রতি আনুগত্যে সাজ্জাদ ভূঁইয়া নিঃসন্দেহে ক্লিন ইমেজের নেতা। সেই ইমেজ এবং দলীয় আনুগত্যকে ভরসা করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আসন্ন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছেন তিনি।
সাড়ে তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনে যে ত্যাগ ও পরিশ্রম করেছেন, এবার তার মূল্যায়ন পাবেন বলে আশাবাদী সাজ্জাদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোও বলছে, নগর যুবদলের শীর্ষ পদের প্রার্থীদের মধ্যে সাজ্জাদের নামও বেশ ভালোভাবেই আলোচনায় রয়েছে। সংগঠন সূত্র আরও জানায়, সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া একজন গতিশীল, শিক্ষিত, সৎ, ত্যাগী, ক্লিন ইমেজের, দক্ষ, মেধাবী যুবনেতা। যিনি তার মূল্যবোধ এবং রাজনীতির প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাজ্জাদের রাজনৈতিক যাত্রা ছাত্রদলের মাধ্যমে। তিনি হাঁটি হাঁটি পা পা করে ওয়ার্ড ছাত্রদল, থানা ছাত্রদল হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন প্রায় ১১ বছর।
তিনি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-যোগাযোগ সম্পাদক ছিলেন প্রায় সাত বছর। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের এবং দেশে উত্থান ঘটা ফ্যাসিবাদী শক্তির অন্ধকারময় বছরগুলোয় সাজ্জাদ জনগণের অধিকারের জন্য একজন নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। একজন সত্যিকার পথিকৃৎ তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
দমন-পীড়নের মুখে তার সাহস ও স্থিতিস্থাপকতা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী যুবলীগের হামলা তাকে আন্দোলন থেকে দমাতে পারেনি। অবস্থান এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কারণে দায়ের করা হয়েছিল মামলা ও শিকার হয়েছিলেন নির্যাতনের। কিন্তু তার সংকল্প কেবল শক্তিশালী হয়েছে। অসাধারণ সংগঠন দক্ষতা ও অবিচল নিষ্ঠার জন্য পরিচিত সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া প্রতিটি স্তরের পার্টির নেতাকর্মীদের কাছে ভালোবাসা এবং প্রশংসা অর্জন করেছেন।
সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি দীর্ঘ সময় বিএনপির রাজনীতিতে আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাবরণ করেছি। পরিবারের চেয়েও দলকে বেশি সময় দিয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু দলকে আঁকড়ে রয়েছি; হাল ছাড়িনি। তৃণমূল থেকে উঠে আসা যুবদলের এই নেতার আশা কমিটি হবে ত্যাগীদের নিয়ে। সেখানে কোনো সুযোগসন্ধানী বা অনুপ্রবেশকারী স্থান পাবে না।
তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান একজন শিক্ষিত ও ত্যাগী মানুষ। তিনি কমিটিতে নিশ্চয় ত্যাগীদেরই মূল্যায়ন করবেন। সেই হিসেবে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে আশাবাদী। তা ছাড়া দলের স্বার্থে যে কোনো নেতৃত্বে থাকতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন