দাবি আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। পরে হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আমরা ক্লাস বর্জন, ক্লিনিক্যাল ও ল্যাব প্র্যাকটিস বন্ধ ঘোষণা করেছিলাম।
আরেক শিক্ষার্থী শামীম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার চার মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যারা আমাদের লাঞ্ছিত করেছে, তারা এখনো ক্যাম্পাসে বহাল আছে। তাদের অনতিবিলম্বে বদলি বা অপসারণ করতে হবে। নইলে আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর হামলায় মদদ দিয়েছেন শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম। অথচ তারা এখনও সপদে বহাল আছেন। তাদের অপসারণ করতে হবে। আমরা আজকে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভের পাশাপাশি অধ্যক্ষ স্যারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। যতদিন দাবি পূরণ না হবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- হামলার প্রায় সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বদলি বা অপসারণ না করায় সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা। বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। অভিযুক্ত শিক্ষক, তাদের পরিবার ও সহযোগীদের বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন রুটিন প্রকাশ।
দাবি মানতে দেরি করা হলে পর্যায়ক্রমে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি পালন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত এনে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনা বা হুমকি দেওয়া হলে তার দায়ভার অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের ওপর বর্তাবে এবং শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকারে চলবে।
বরিশাল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ হোসনেয়ারা আখতার বলেন, শিক্ষার্থীরা যে বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে সেখানে আমার কিছু করার নেই। এটা মন্ত্রণালয়ের বিষয়, তারাই দেখবে।
মন্তব্য করুন