শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতার হামলা

অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু ও অ্যাড. মশিয়ার রহমান। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু ও অ্যাড. মশিয়ার রহমান। ছবি : সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালায় জামায়াত নেতার নেতৃত্বে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তালা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুরে রহিমাবাদ গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

হামলায় আহত হয়ে তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রহিমাবাদ গ্রামের আবতার মোড়লের স্ত্রী রমেছা বেগম।

আহতের ছেলে স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, গ্রামের মধ্যে একটি রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুপুরের পর বৈঠকে বসাবসি হয়। সেখানে সাত্তার মোড়ল ও আনিছ মোড়ল রাস্তা করতে দেবে না বলে বাঁধা দেয়। আমার বাবা প্রতিবাদ করলে বাবা-মা ও আমাকে দলবল নিয়ে মারধর করে। মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীরা সবাই জামায়াতের কর্মী-সমর্থক।

এদিকে, সাংবাদিক রাজুর মাকে সন্ধ্যায় তালা হাসপাতালে দেখতে ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান খাঁন নাজমুল হুসাইন নামের অপর এক সাংবাদিক। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই পুনরায় আবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলার শিকার সাংবাদিক খাঁন নাজমুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি সহকর্মী রাজুর মাকে দেখা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাই। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই জরুরি বিভাগের সামনে তালা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের টিম সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. মশিয়ার রহমান ও তালা উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর নেতৃত্বে ২০-৩০ জন জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা আতর্কিতভাবে হামলায় চালিয়ে আমাকে মারধর করে। ৫ আগস্ট পরবর্তী যুব জামাতের নেতা রেন্টুর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমিজমা মীমাংসার নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগও রয়েছে।

হামলার বিষয়ে তালা উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু কালবেলাকে বলেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আমরা মীমাংসার জন্য গিয়েছিলাম। এ সময় সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতি হয়। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. মশিয়ার রহমান কালবেলাকে বলেন, সাংবাদিক নাজমুলকে আমি বলেছি এটা পারিবারিক বিষয়। ভিডিও করা, পত্রপত্রিকায় দিয়ে থানা পুলিশ করার দরকার নেই। এ সময় তর্ক হয়। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিল তারা ক্যামেরা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এতে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়েছে।

তালা থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দীন কালবেলাকে বলেন, দুপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। সেই জেরে সন্ধ্যায় আবার মারধরের ঘটনা ঘটেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য সাংবাদিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণ গেল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের

তারেক রহমান কবে ফিরছেন, জানালেন সালাহউদ্দিন আহমদ

সাফ অ্যাথলেটিক্সেও হতাশা, হিটই শেষ করতে পারলেন না শিরিন

ইয়ামালের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ রিয়াল মাদ্রিদ

ওমরাহ যাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম করল সৌদি

বিএনপির ২০০ প্রার্থী চলতি মাসে পাচ্ছেন ‘সবুজ সংকেত’

পাকিস্তানে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

কালশীতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতার হামলা

বিশ্ববাজারে আবার চাঙা হচ্ছে স্বর্ণের দাম

১০

অতীতের মতো আবারও বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্বে লিপ্ত : মঞ্জু

১১

কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ঘোষণা স্থগিত

১২

পাশের দোকানে ক্রেতা বেশি, মালিককে মারধর অন্য ব্যবসায়ীর

১৩

গোয়ালঘরে আগুন, কৃষক অগ্নিদগ্ধ

১৪

মিষ্টিকুমড়া চাষে কৃষকের মুখে মিষ্টি হাসি

১৫

মিরপুরের কালশীতে কমিউনিটি সেন্টারে ভয়াবহ আগুন

১৬

দলীয় কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ

১৭

অধ্যাপক শফিকুলের সহায়তায় স্বপ্ন জয়ের পথে জবি শিক্ষার্থী ইমন

১৮

কনের বয়স কম জেনে না খেয়ে ফিরে গেলেন ইউএনও

১৯

গণতান্ত্রিক উত্তরণে হঠকারিতার কোনো অবকাশ নেই : সাইফুল হক

২০
X