

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগকে পুণর্বাসিত করতে অতীতের মতো বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব শুরু করেছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দলীয় প্রার্থী অ্যাডভেকেট মতিউরের পক্ষে প্রচারণা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বাকশালী ও ফ্যাসিবাদী রাজনীতি অতীতেও প্রত্যখ্যাত হয়েছিল। মানুষ তাদের সন্ত্রাসবাদী নৃশংস রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তাদেরকে বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং অশুভ রাজনীতি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে দীর্ঘ দিন পরে হলেও রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছিল।
মঞ্জু আক্ষেপ করে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান না হলে খালেদা জিয়া এখনও জেলখানায় বন্দী থাকতো আর জামায়াতকে নিষিদ্ধ দল হিসেবে আওয়ামীলীগের মত চোরা গোপ্তা রাজনীতি করতে হতো। এক বছর না পেরুতেই এই দুই বড় দলের যে আচরণ আমরা দেখলাম তাতে হতাশ না হয়ে উপায় নেই।
ঝিনাইদহ- ১ আসনে এবি পার্টির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতা সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারই সমর্থনে আজ শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর মাঠে এক সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন শৈলকূপা উপজেলা আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদীউজ্জামান খোকন, এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সহকারী জুলাই অভ্যুত্থান বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ও জেলা সদস্য সচিব নাজমুস সায়াদাত।
এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এলাকার গুণি-জনদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। প্রধান অতিথি গুণি জনদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, পুরোনো দিনের রাজনীতি মানেই হলো নিজেদের বাহাদুরি প্রচার করা আর প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা জারী রাখা। লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতার বদল হয়, একদল জেলে যায় এবং আরেকদল এসে সব দখল করে। জনগণ এসবের ওপর ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বলেই ’২৪ -এর গণবিস্ফোরণ ঘটেছে। ফলে এবার একটি দলকে দলবল, গোষ্ঠীসহ সীমান্তের ওপারে পালাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন মানে যদি হয় শুধু ক্ষমতা বদল তাহলে সেটাতো ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এবারের নির্বাচনকে যদি আমরা নিয়ম ও ইতিহাস বদলের নির্বাচন বানাতে পারি তাহলেই কেবল দেশের মুক্তি আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শহীদেরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাত থেকে আমাদেরকে মুক্ত করেছেন কিন্তু আমরা শহীদের আকাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র বিনির্মান করতে পারি নাই। আমরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারি নাই, রাষ্ট্র আমাদের অধিকার ফিরে দেয় নাই। রাষ্ট্র আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরন করতে পারে নাই। তাই আগামী নির্বাচনকে বাংলাদেশ পরিবর্তনের নির্বাচনে পরিণত করার মধ্যে দিয়ে জুলাইয়ের শহীদদের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে হবে।
মন্তব্য করুন