

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আল আমিন নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে তাকে নাকে খত দিয়ে শহরের প্রধান সড়কে হামাগুড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। গত ১ ডিসেম্বর মাদ্রাসার শিক্ষক শিশুটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। এরপর শিশুটি শুক্রবার বাসায় গিয়ে খাওয়া বন্ধ করে মন ভার করে বসে থাকে। তার মা বিষয়টি জানতে চাইলে সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘটনাটি জানায়। শিশুটির পরিবার এলাকার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক অস্বীকার করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আটক করে মারধর করে শহরের প্রধান সড়কে নাকে খত দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ঘোরায়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শিশুটির মা বলেন, আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় হাফেজ হওয়ার জন্য ভর্তি করিয়েছি। ওই শিক্ষক আমার ছেলের সঙ্গে কয়েকদিন আগে যে খারাপ কাজ করেছে বাসায় এসে কান্না করতে করতে আমাকে জানায়। আমি কুলাঙ্গার শিক্ষকের বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিন বলেন, আমি শয়তানের প্রলোভনে পড়ে ছাত্রের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছি।
আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, আসামি আল আমিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন