প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মো. আবু জাফর রাজুর নেতৃত্বে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এ সমাবেশ করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার উছলাপাড়া থেকে শুরু হওয়া শান্তি সমাবেশের র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সেখানে শান্তি সমাবেশ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মো. আবু জাফর রাজু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন চলমান রয়েছে সেই উন্নয়ন জনগণ চায়। কোনো ধরনের হরতাল ও অবরোধ জনগণ চায় না। জনগণ এখন উন্নয়নমুখী। প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার পর কুলাউড়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ খাতে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রায় হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কুলাউড়ায় নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌকার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করব। এ জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম, সহসভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম বদর। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. মমদুদ হোসেন, হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্স, শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।
এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চা বাগানের নারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন