দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করে সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে সর্বাত্মক অবরোধ পালন করছে বিএনপি। এদিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ সমমনা বেশকিছু রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রিসহ নির্বাচনের সার্বিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও দলটির অনেক সাবেক ও বর্তমান নেতা রয়েছেন নির্বাচনী আলোচনায়।
ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো দলের হয়ে ভোটে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন অনেকে। আরও বেশ কয়জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ঘিরে রয়েছে গুঞ্জন। এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এস এ কে একরামুজ্জামানকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। গুঞ্জন উঠেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি।
জানা গেছে, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন এস এ কে একরামুজ্জামান। তবে এর আগেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘কুলা’ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন একরামুজ্জামান। কিন্তু একবারও সংসদে যেতে পারেননি তিনি।
গুঞ্জনের ব্যাপারে জানতে চাইলে এস এ কে একরামুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম, দেশে এসে এখনো অবসর হতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে, আপাতত মামলা নিয়েই ভাবছি। ২ থেকে ৩ দিন পরে নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব, আমাকে ভাবতে দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্টে অনেক আওয়ামীপন্থি আইনজীবী নেতাদের মুখে এমন আলোচনা শুনেছি। এ ছাড়া স্বতন্ত্র মনোনয়নের জন্য উনার পক্ষের কিছু লোক নাসিরনগরের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে স্বাক্ষর নিচ্ছেন বলেও খবর পাচ্ছি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন, আমি লোকমুখে উনার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ব্যাপারটি শুনেছি। এ ছাড়া নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে উনার লোকজন এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরও সংগ্রহ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আমরা আমাদের দলের সিদ্ধান্তে এক দফার দাবিতে আন্দোলনে আছি এবং নির্বাচন বর্জন করছি। কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে আসে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। চলমান আন্দোলনে যদি কেউ দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং আমরা দলের পক্ষেই থাকব।
মন্তব্য করুন